আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাত দিয়ে ধরে দেখুন যাদুঘরের জিনিস।। অভিনব প্রস্তাব এক যাদুঘরের


দৃষ্টিহীন আয়ালা হাত দিয়ে ধরে দেখছে পুরাকীর্তি হাত দিয়ে কোনো বস্তু স্পর্শ করবেন না। এই বাক্যটি যাদুঘরে গেলেই দেখতে পারবেন। নোটিশ দিয়ে এসব বলা হয়। কেউ যাতে লুকিয়ে যাদুঘরের জিনিসপত্র স্পর্শ করতে না পারে সেজন্য সেখানে পাহারা বসানো থাকে। যাদুঘরের এ চিত্র আপনি পৃথিবীর সব জায়গায় দেখলেও ফিলাডেলফিয়ার পেন যাদুঘরের জন্য নয়।

এখানে উল্টো হাত দিয়ে স্পর্শ করে পুরাকীর্তি দেখতে পারবেন আপনি। তবে অন্ধ ও কম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্নদের জন্য এরকম সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এঞ্জেল আয়ালা এমন একজন ব্যক্তি যিনি যাদুঘরের শিল্পকর্ম দেখার কোনো বড় ভক্ত ছিলেন না। কারণ সে জন্ম থেকে অন্ধ। তার স্কুলে পড়ার সাথীরা আগেভাগেই জানিয়েছিলো, যাদুঘরের প্রদর্শনী দৃষ্টিহীনদের জন্য নয়।

কিন্তু না। তা হলো না। দৃষ্টিহীনদের যাদুঘর দেখার সুযোগ করে দিলো পেন মিউজিয়াম। পাথরে লেখা হায়রো গ্রিলিফিক্স হাত দিয়ে দেখা হচ্ছে পেন মিউজিয়াম দৃষ্টিহীনদের পুরাকীর্তি হাত দিয়ে ধরে দেখার অনুমতি প্রদান করে। যাদুঘর কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে আয়ালার মত দৃষ্টিহীনরা এখন থেকে মিশরের ফেরাউনদের মূর্তি, হায়ারোগ্রিলিফস, চুনাপাথরের তৈরি জিনিস পত্র নিজেদের অনুভূতি ও বোধ শক্তি দিয়ে জানতে পারবে।

দৃষ্টিহীন আয়লা বলেন, হাত দিয়ে স্পর্শ করায় প্রতিটি বস্তু এখন আমি স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন মানুষের মত দেখতে পারছি। পুড়াকীর্তি সম্পর্কে মুখে বর্ণনা করা হত। এখন তার চেয়েও ভালো উপলব্ধি হচ্ছে আমার। ফিলডেলফিয়ায় অবস্থিত এই যাদুগরটি ইউনিভার্সটি অব পেনসিলভিনায় একটি অংশ। প্রাচীন ও বর্তমান কালের বহু সংগ্রহ আছে এই যাদুঘরটিতে।

গত বছর থেকে যাদুঘর কর্তৃপক্ষ দৃষ্টিশক্তি সম্পন্নদের পাশাপাশি দৃষ্টিহীনদের যাদুঘর দেখবার প্রস্তাব দিয়ে আসছে। যারা কম দেখতে পারে বা অন্ধ তাদের পুরাকীর্তির ওপর কোনো আগ্রহ থাকে না। এমনটা ভাবা হলেও। এটা সত্য নয়। সুযোগ করে দিলে এ বিষয়ে দৃষ্টিহীনদেরও যথেষ্ট আগ্রহ জন্মাতে পারে।

আগত দর্শণার্থীরা মমিকে হাত দিয়ে ধরে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মেট্রো শহরে এমন ধরনের অন্তত একটি যাদুঘর রয়েছে। ওইসব যাদুঘরে অন্ধ ও কম দৃষ্টিশক্তি লোকদের হাত দিয়ে স্পর্শ করে পুরাকীর্তি দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। পেন যাদুঘর অন্ধদের প্রতি সোমবার দুবার করে পুরাকীর্তি ধরার অনুমতি দেয়। পূর্বের পোস্ট জিনজারব্রেডের বিশ্বরেকর্ড জেল থেকে পালিয়ে ফিরে আসা
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।