আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘন কুয়াশায় নির্বিঘ্নে চলবে গাড়ি

কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে মহাসড়কে গাড়িচালককে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। তা ছাড়া বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে। গুরুতর এই সমস্যা নিরসনের চেষ্টায় মার্কিন গবেষকেরা উদ্ভাবন করেছেন একটি বিশেষ ক্যামেরা-প্রযুক্তি। এটি ঘন কুয়াশার মধ্যেও নির্বিঘ্নে গাড়ি চালাতে সাহায্য করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) প্রকৌশলীরা বলেন, তাঁদের তৈরি ক্যামেরা-প্রযুক্তিটি ব্যবহার করলে গাড়িচালকেরা দুধের মতো অস্বচ্ছ বস্তুর মধ্য দিয়েও দেখতে পাবেন।

সে ক্ষেত্রে কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে রাস্তা বা বিপরীতমুখী গাড়ি দেখতে তাঁদের কোনো সমস্যা হবে না। এ ছাড়া প্রযুক্তিটি আশপাশের অন্যান্য যানবাহনের অবস্থান ও দূরত্ব সম্পর্কেও চালককে বাড়তি তথ্য দিতে পারবে।

নতুন প্রযুক্তিটির কার্যপদ্ধতি প্রসঙ্গে গবেষকেরা বলেন, এতে সংযুক্ত ক্যামেরাটি অতি ক্ষুদ্র সময়ে (প্রতি ন্যানোসেকেন্ডে) আলোকরশ্মি পাঠাতে পারে। সেই আলো প্রতিফলিত হয়ে ফিরে এলে সামনের বস্তু সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়। এই প্রক্রিয়ায় সামনের সড়ক ও যানবাহনের অবস্থানের একটি ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) ছবি যন্ত্রের পর্দায় ভেসে ওঠে।

ঘন কুয়াশা বা ভারী বৃষ্টির মধ্যেও এই যন্ত্রের কার্যকারিতা অটুট থাকে। কারণ, বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে যন্ত্রটি পানির ফোঁটার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আলো ও অন্যান্য আলোর পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে। পুরো ক্যামেরা-প্রযুক্তিটি তৈরিতে ব্যবহূত যন্ত্রপাতির দাম পড়েছে মাত্র ৩০০ মার্কিন ডলার।

গবেষকেরা বলেন, ক্যামেরার আলো ফিরে আসার সময় এবং সেই সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্বের হিসাব করে সামনের অবস্থার সামগ্রিক অবস্থা ও যানের একটি থ্রিডি ছবি চালকের সামনে তুলে ধরা হয়। ফলে, চালকেরা সামনে অল্প দূরত্বে কিছু না দেখতে পেলেও সেই থ্রিডি ছবি দেখেই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

আগে থেকেই প্রচলিত ‘টাইম অব ফ্লাইট’ প্রযুক্তিতে আলো পাঠানো ও প্রতিফলিত হয়ে সেই আলো ফিরে আসার মধ্যবর্তী সময় হিসাব করে সংশ্লিষ্ট দূরত্ব ও নির্দিষ্ট বস্তুর অবস্থান জানা যায়। কিন্তু কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে অস্বচ্ছ বাধার কারণে এই প্রযুক্তি সামনের দূরত্ব ও বিপরীতমুখী গাড়ির অবস্থান সম্পর্কে সঠিক হিসাব করতে ব্যর্থ হয়। পরিণামে দুর্ঘটনা ঘটে। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই নতুন ক্যামেরাটিতে ‘টাইম অব ফ্লাইট’-এর সঙ্গে ‘ন্যানো ফটোগ্রাফি’ প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়। ফলে, ক্যামেরাটি বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো পাঠায় এবং বিক্ষিপ্ত আলো ও প্রতিফলিত আলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে।

ক্যামেরা-প্রযুক্তিটির নির্মাতা প্রকৌশলী অ্যাচুটা ক্যাডাম্বি বলেন, তাঁদের ব্যবহূত ক্যামেরার সাহায্যে যেকোনো অস্বচ্ছ বস্তুর থ্রিডি ছবি তৈরি সম্ভব। ফলে, ওই অস্বচ্ছ বস্তুর কারণে কতটুকু রাস্তাজুড়ে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা জানা সম্ভব হবে। টেলিগ্রাফ।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।