আমাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জানান, জাতিসংঘ দূত বেলা পৌনে ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যসূচিতে তার সঙ্গে সাক্ষাতের কোনো কথা নেই।
অবশ্য একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা কার্যালয়ে রয়েছেন। তাদের কারো সঙ্গে ফার্নান্দেজ-তারানকো বসতে পারেন।
রাজনৈতিক সঙ্কট অবসানের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকায় আসা জাতিসংঘ দূত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।
গণভবনে সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ পেছানো যায় কি না- শেখ হাসিনার কাছে তা জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘের দূত। জবাবে প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন, তফসিল পরিবর্তনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। তাদের সঙ্গেই এ বিষয়ে কথা বলতে হবে।
তবে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করে আসছে, সেই ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় ফার্নান্দেজ-তারানকো আগ্রহ দেখাননি বলে জানান রিজভী।
প্রধানমন্ত্রীর পর রাতে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেন জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।
ওই বৈঠকের পর বিএনপির সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, আলোচনার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। দুই-একদিনের মধ্যে আবার আলোচনা হবে। এরপর এ বিষয়ে জানানো হবে।
জাতিসংঘ দূত রোববার সকালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বাড়িতে গেলে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়, তারা চায় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হোক, যাতে ‘সব দলকে’ নিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয়।
ওই বেঠকে জাতিসংঘ দূত কি বলেছেন জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন।
”
এরপর রোববার বেলা ১১টা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘন্টা বৈঠক করেন ফার্নান্দেজ-তারানকো।
তবে তাদের মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো পক্ষই সাংবাদিকদের কিছু জানায়নি।
পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে শুক্রবার রাতে ঢাকা পৌঁছান জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো। রোববার জামায়াতে ইসলামী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তার বসার কথা রয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি ভোট করবে তারা।
তবে বিরোধী দল বিএনপি এই নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। রাজনৈতিক সহিংসতায় গত তিন সপ্তাহে অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ৩ ডিসেম্বর আকস্মিক ঘোষণায় ভোটে না যাওয়ার কথা জানান এরশাদ। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের পদত্যাগেরও নির্দেশ দেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।