ইকোনোমিস্ট
আজকে কি অবরোধ, নাকি হরতাল, নাকি দুটোই? অনেকই হিসেবও হারিয়ে ফেলেছেন; নাগরিকেরা এগুলোর অবসান চায়: খালেদা বেগমের ও শেখ হাসিনার ক্ষমতার লড়াই ২৩ বছরে ক্রমেই চরমের দিকে গিয়েছে; এবার খুন, পোড়ানো, আহত ও সম্পদ ধ্বংসের যে ইতিহাস হয়েছে, মানুষ এর শেষ দেখতে চায়।
খালেদা বেগম শীঘ্রই অবরোধ পবরোধ ভুলে যাবেন, উনাকে লালঘরে যেতে হবে, উনার গেরিলারা পালাবার যায়গা খুজে পাবে না: বড় লাঠি আসছে: প্রেসিডেন্ট উনার বাসভবন মাউন্ট এলিজাবেথ ছেড়ে ঢাকা অফিসে এসেছেন, বড় লাঠি-ওয়ালারা রাস্তায় আসছে, শিবিরের গেরিলারা নিজকে ছাত্রলীগ হিসেবে পরিচয় দেবে।
তত্বাবধায়ক কিংবা সর্বদলীয় সরকার হোক, যেভাবেই হোক শেখ হাসিনাই ক্ষমতায় আসবে: হাসিনা একটা ব্যাপারে বোধ হয় কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, খালেদা বেগম যেন আরেকবার গ্রেনেড আক্রমণের সুবিধা না পায়, ও উনার 'রাজনৈতিক নেতাদের' আবার বাংলাদেশ সরকারে আনতে না পারে।
শক্তি ও কারচুপিতে দু'জনেই ওস্তাদ: অবরোধ, হরতাল হলো শক্তি; তত্বাবধায়ক ও সর্বদলীয় সরকার হলো কারচুপির কারকানা; এবং এগুলো পুরো জাতির স্বাধীনতার ফলকে সালমান, ফালু, ফারুক, শাহ আলম, বাবুল, বাদল, ওরিয়ন, আবুল খায়ের, বসুন্ধরা, ডান্ডি ডাইং, মন্নুসিরামিক, সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, নর্থ সাউথেদের ঘরে পৌঁছায়ে দিয়েছে। এগুলোর অবসান হওয়া দরকার, সেই অবসানের শুরুর শুরু হওয়া দরকার।
২৩ বছরের ইতিহাস থেকে বুঝা যাচ্ছে, এই ২ অপশক্তির অবসান ঘটানোর ক্ষমতা সাধারণ নাগরিকদের নেই: এদের দ্বংসের চাবি এদেরই হাতে; জেনারেল জিয়াকে থামাতে পেরেছেন জিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সাথীরা; বেগম খালেদাকে তামাতে পারবে শধু শেখ হাসিনা, এবং উল্টোটাও সত্য; সুতরাং তাই হোক; যেহেতু বড় লাঠি এখন শেখ হাসিনার হাতে, সেই বেগম খালেদার পতন ঘটাক; শুধু বেগম খালেদার পতনের পর, শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয়তা শেষ হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।