আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪০০ কোটি টাকার সহজ ঋণ পাবে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ

বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ওই প্রতিষ্ঠানকে ঋণদাতা তিনটি ব্যাংক এই সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।
রোববার দুপুরে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন ও ঋণদাতা পাঁচ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে সুর চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি বড় ধরনের নাশকতায় স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কোনাবাড়ির কারখানাটির বিপুল ক্ষতি হয়েছে। কীভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত চালু করা যায় সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেক্ষেত্রে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


ডেপুটি গভর্নর বলেন, “বর্তমান রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) নীতিমালার অধীনে আড়াই কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হবে। এসব ঋণের সুদ লাইবর (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট) এর সঙ্গে দেড় শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া ব্যাংকটিকে ঋণ প্রদানকারী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, এইচএসবিসি ও সিটি ব্যাংক এনএ আরও আড়াই কোটি ডলার ঋণ দিবে। ”
বর্তমানে ইডিএফ নীতিমালার আওতায়, লাইবরের সঙ্গে এক শতাংশ সুদ যোগ করে ব্যাংকগুলোকে অর্থায়ন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো আরো আড়াই শতাংশ সুদ যোগ করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে থাকে।


স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপকে অর্থায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ প্রদানকারী তিন ব্যাংককে লাইবরের সঙ্গে দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ যোগ করে অর্থায়ন করবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সুদের হারের সঙ্গে আরো ১ শতাংশ যোগ করে ব্যাংকগুলো স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপকে ঋণ দিবে।  
এছাড়া লেনদেনে গ্রেস পিরিয়ড, এক কোম্পানির এক্সপোর্টার রিটেনশন কোটার (ইআরকিউ) অর্থ প্রয়োজনে অন্য কোম্পানিতে ব্যবহার করার সুবিধাসহ বেশকিছু ছাড় পাবে প্রতিষ্ঠানটি বলে সাংবাদিকদের জানান এস কে সুর।
পাশাপাশি স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের রপ্তানি মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ অন্য কোম্পানির জন্য ব্যবহার করার অনুমোদনও দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, “এসব সুবিধা শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ক্ষতিগ্রস্ত কোনাবাড়ির কারখানাটির জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রয়োজ্য হবে।

অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য এগুলো প্রযোজ্য  নয়। ”
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লাহ মালিক কাজেমী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ নভেম্বর গাজীপুরের কোনাবাড়িতে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড  গ্রুপের কারখানায় আগুন লাগে। এতে কারখানাটির ১২ তলা ভবন এবং কয়েকটি কাভার্ড ভ্যান পুড়ে যায়।
১ ডিসেম্বর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নাশকতামূলক বলে উল্লেখ করে  এতে  প্রায় ১২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে বিজিএমইএ এবং কারখানার মালিকপক্ষ।


এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সহায়তা দাবি করেন স্ট্যান্ডার্ডের মালিকপক্ষ।
৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী কারখানাটি পরিদর্শনে যান।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।