সৎ লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব যেমন জান্নাতি পরিবেশের নিশ্চয়তা দেয় তেমন অসৎ সঙ্গের কারণে জাহান্নামের পরশ দুনিয়ার জীবনেও অনুভূত হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুমিনদের সব ক্ষেত্রে সৎ সঙ্গী বেছে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। বুখারি শরিফের ১৯৫৬ নম্বর এবং মুসলিম শরিফের ৬৪৫৩ নম্বর হাদিসে সৎ সঙ্গী বেছে নেওয়া এবং অসৎ সঙ্গী থেকে দূরে থাকার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। 'হজরত আবু মুসা আশআরী (রা.) বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উপমা হলো সুগন্ধি বিক্রেতা এবং হাপর চালনাকারী (কামার)।
আতর বিক্রেতা হয় তোমাকে কিছু দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে কিছু ক্রয় করবে অথবা (অন্তত) তার সুঘ্রাণ লাভ করবে। পক্ষান্তরে হাপর চালনাকারী হয় তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে। ' (বুখারি)
বনু্ল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরেকটি হাদিসে। হজরত আবু হুরাইয়া বর্ণিত ওই হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষ তার বন্ধুর দীনের অনুসারী হয়ে থাকে। অতএব তোমাদের কেউ বন্ধু নির্বাচনের আগে লক্ষ্য করা উচিত সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে (মুসনাদে আহমাদ থেকে মিশকাতে)।
অর্থাৎ প্রতিটি মুমিনের উচিত বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরেক জন মুমিনকে বেছে নেওয়া। এর ব্যত্যয় হলে অর্থাৎ বন্ধুটি যদি ভিন্ন পথের যাত্রী হয় তবে তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বন্ধুত্ব পাতানোর ক্ষেত্রে কীভাবে এগোতে হবে সে দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরেক হাদিসে। মিকদাদ ইবনে মাদি কারিব (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার কোনো মুসলিম ভাইকে ভালোবাসে তবে সে যেন তাকে জানায় যে, সে তাকে ভালোবাসে (তিরমিজি)
এ ধরনের আগ্রহ বন্ধুত্বের ভিতকে যেমন মজবুত করে তেমন তা স্থায়ী হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎ বন্ধু বেছে নেওয়ার তাওফিক দান করুন।
লেখক : ইসলামী গবেষক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।