বাঙলা কবিতা
দোয়েলই কাব্যিক পাখি। বিস্মৃতিকাতর। দ্যাখো, এই ষোলটি ভিটের বাইরে
যেতে চাইছে না! পাছে ভুলে যায়, উৎস-কুয়োর জল
চৈত্রকালে কীরকম আকালে পড়েছে!
চৈত্রের কথা রাখো। দ্যাখো, এই শীতে
কিশোর কবিটা কত কম্পমান, ঋজু হয়ে দাঁড়াতে পারছে না,
ক্ষয়কাশি আজকাল নিরাময়যোগ্যতায় আছে; তবু তার
শীতযুদ্ধ, রক্তবমি, গলির ধারের ওই উলঙ্গ ছেলের জন্য হাহাকার
বন্ধ হচ্ছে না; আরেকটি ছাব্বিশ সাল, সাতচল্লিশ,
বলো তো সুপর্ণা, খুব বেশি দূরত্বে কি সবুজ ব্যাঙের মিহিস্বপ্ন হয়ে আছে?
নদীগুলো মন্দাক্রান্তা। বাতাস কোথাও গাঢ় উত্তরের দিকে জমতে জমতে
কঠিনের চাঁই হয়ে আছে; শুধু তার ঝিরঝিরে দাঁতগুলো নড়েচড়ে ওঠে।
নাজ-নাজা-নাজি-নাজু... এইসব বিতর্ক রাখো তো! পরদেশি শীতনিদ্রা ভোলো,
এসো, এই প্রকট উত্তরজুড়ে হিমগিরিধামে তুমিমাত্র ব্রজের মহিষী;
উষ্ণতা জ্বালাও আর প্রণয়াভিধান খুলে স্বঘোষিত দেবীদের বলে দাও
ঠিক কাকে অগ্নি বলে, কাকে বলে আলো!
................
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।