সব উল্টে পাল্টে যায় ইদুরের ভয়ে বিড়াল পালায় হরিণ আতংকে বাঘ ডরায় চুপিসারে আঁধারে জলের ঘরে কে ঘন্টা বাজায়....
একখান চিঠি পাইবার মুন্চায়, রঙিন খামে ভরা চিঠি। সেই ক্লাস নাইন কি টেনে পড়ার সময় এখখান পাইছিলাম, অদ্ভুত এক অনুভুতি হইছিলো কিছুটা অজানা শিহরণ বেশিটা ভাইয়ার হাতে ধরা পরার ভয় । ভাইয়া আর আমি দুই রূম এ ঘুমালেও পরার টেবিল ছিল একটাই আর আমার কোনো তালা-চাবি ছিল না যে তালা দিয়ে রাখবো। তো সেই চিঠি নিয়ে পরলাম মহা টেনসনে, কোথায় বসে পড়ি, কোথায় রাখি ?? যদি কেউ দেখে ফেলে, আমি তো শেষ । দুদিন চিন্তিত মনে সেই চিঠি পকেটে নিয়ে ঘুরলাম এবং আবিস্কার করলাম সব থেকে নিরাপদ জায়গা হলো - টয়লেট!!।
যা ভাবা তা করা, টয়লেটে বসে একাধিকবার সেই চিঠি পরলাম এবং আরো বেশি পরিমান চিন্তিত মনে বের হলাম । এখন এই চিঠি রাখবো কোথায়? এর উত্তর কি হবে মানে চিঠি যে দিল সে আবার শেষের দিকে লিখেছে তাকেও ফিরতি চিঠি লিখতে । চিঠি তো নয় যেন এক মহা বিপদ আমার উপর ভর করেছে।
না সেই চিঠির বিপরীতে আমার আর লিখা হয়নি, আর সেই বিপদ (চিঠি ) থেকে মমতাময়ী মা আমাকে পরদিনই নিজ দায়িত্বে উদ্ধার করলেন চিঠি পকেটে থাকা সেই পেন্ট ধোলাই করে।
চিঠির সেই মানুষ্ কোথায় আছে আজ তা জানি না, সেই চিঠি চাপকলের পানিতে মিশে কতদূর ভেসে গিয়েছিলো তা ও জানি না।
এই যান্ত্রিক জীবনে আর কেও চিঠি লিখে না
এখন আর কেউ চিঠি দেয় না, রঙিন খামে ভরা চিঠি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।