জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দাবি করেছেন, তাঁর দল থেকে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তিন দিন চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি। দলটির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে একটি পক্ষ ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে। আজ সোমবার বারিধারার বাসভবনে এরশাদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘আমার কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন শনিবার। তাঁরা নেননি।
গতকালও গিয়েছিলেন, তাঁরা নেননি। আমার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির রুমে বসে আছেন। তাঁরা পদত্যাগপত্র নেননি। আমার দলের লোকজন তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে গেলে তিনি নেননি। বলেছেন, “আমি মিলিটারির লোক।
এসব ঝামেলায় জড়াতে চাই না। ” পদত্যাগ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। আসল কথা তোমাদের বলছি, আমরা তিন দিন চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারিনি। ’ তবে ডাকযোগে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
গণভবনের বৈঠকে জাতীয় পার্টিকে ১০০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আলোচনা হয়েছে—এমন একটি খবর আজ পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এরশাদ বলেন, ‘একটা কথা শুনলাম, জাতীয় পার্টিকে নাকি ১০০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। এই নির্বাচন অর্থহীন, ক্ষণস্থায়ী। এ সরকারও ক্ষণস্থায়ী। এই নির্বাচনে ১০০টি আসন দিলেই কি আর ২০০টি আসন দিলেই কি, কিছু যায়-আসে না। ’
বারবার মত বদলানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘চার বছর ধরে আমি বলে এসেছি একক নির্বাচন করব।
কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি আমি হব না। ’ একই সঙ্গে সব দল নির্বাচনে না গেলে তিনি যাবেন না বলে উল্লেখ করেন।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, তাঁর আশা ছিল, শেষ মুহূর্তে বিএনপি হয়তো নির্বাচনে যাবে।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের মিত্র জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আকস্মিক ঘোষণা দেন। পরদিন নির্বাচনকালীন সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার তাঁর দলের সাত মন্ত্রী-উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলেও জানান। এরপর গত কয়েক দিন জাপাকে নির্বাচনে ধরে রাখতে সরকারের বিভিন্ন তত্পরতা এবং পদত্যাগ নিয়ে এরশাদসহ তাঁর দলের নেতাদের নানা বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে ‘তামাশার’ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডাকযোগে পদত্যাগপত্র পাঠাতে চায় জাপা
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।