আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিসিবি-প্রধান দুঃখিত কিন্তু শঙ্কিত নন

আশার বিপরীতে আশা নিয়ে ছিল বিসিবি। কিন্তু সব আশায় গুড়ে বালি। কাল সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দর থেকেই আর বের হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দুপুরেই পাড়ি জমিয়েছে দেশের উদ্দেশে। বাংলাদেশকে অনিশ্চয়তার সাগরে ডুবিয়ে ক্যারিবীয় যুবারা যখন শঙ্কামুক্তির আকাশে ডানা মেলেছে, বিসিবি-প্রধান নাজমুল হাসান তখন এলেন কার্যালয়ে।

জরুরি বোর্ড সভা শেষে জানালেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দল চলে যাওয়ায় আমরা দুঃখিত, কিন্তু শঙ্কিত নই। ’
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে গায়ে গা লেগে একগাদা ইভেন্ট বাংলাদেশে। যে নেতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে চলে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সামনের সবগুলো টুর্নামেন্টের জন্যই তা অশনিসংকেত হতে পারে। বিশেষ করে বৈশ্বিক ইভেন্ট বলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই সবচেয়ে বেশি আলোচনায়। নাজমুল হাসান অবশ্য পরশুই বলেছেন, শঙ্কিত নন তিনি।

তার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
কাল সেই চেষ্টার বর্ণনা দিলেন বোর্ড-প্রধান, ‘এখানে এমন কোনো পরিস্থিতি হয়নি যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চলে যেতে হবে। আমরা ওদের বোর্ডকে বলেছি, এখানে যে ককটেল ফেটেছে, সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে লক্ষ্য করে নয়। ক্রিকেটার বা ক্রিকেটের প্রতি কোনো হুমকি ছিল না। কদিন আগেই আইসিসি পরিদর্শক দলের হয়ে এখানে ঘুরে গেছেন আইসিসির নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

বলেছিলাম, চাইলে তাঁরা আইসিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কিন্তু তাঁরা আর কোনো সাড়া দেননি। যতদূর বুঝলাম আসলে ক্রিকেটারদের পরিবার একটু শঙ্কিত। তারাই বোর্ডকে বলেছে দলকে ফিরিয়ে নিতে। ’
সন্তানেরা এখন দেশের পথে থাকায় নিশ্চয়ই শঙ্কামুক্ত হয়েছেন ক্যারিবীয় যুবাদের অভিভাবকেরা।

কিন্তু শঙ্কার কালো মেঘ এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের আকাশে। তবে আরও একবার শঙ্কাগুলো উড়িয়ে দিলেন নাজমুল হাসান, ‘এশিয়া কাপ ও ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি অনেক দূরে, শঙ্কার কিছু দেখছি না। শ্রীলঙ্কা সফরটাও জানুয়ারির শেষে...এখনকার অবস্থা তো আর অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না। আর আমাদের এখানে যা চলছে সেটা কিন্তু রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নয়। হয়তো তাদের কিছু কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাস বলা যায়, কিন্তু এটা তো রাজনীতি নিয়ে।

অন্য অনেক দেশ আছে যেখানে আমরা যাই না, তাদের সঙ্গে তাই মেলানো যাবে না। ’
প্রয়োজনে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানালেন বিসিবি-প্রধান, ‘হরতাল-অবরোধের মধ্যেও আমাদের এখানে টুর্নামেন্ট হয়েছে, নিউজিল্যান্ড দল খেলে গেছে। চট্টগ্রামে একটি টুর্নামেন্টের সময় খেলার জন্য হরতাল অর্ধদিবস করে দিয়েছিল বিরোধী দল। এখানেও খেলার সময় বিএনপি মহাসচিব বলে দিয়েছিলেন ক্রিকেট খেলা হরতালের বাইরে। এতেই তো দেশে-বিদেশে সবার কাছে বার্তাটা পরিষ্কার হওয়া উচিত যে ক্রিকেট রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে।

দরকার হলে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে ক্রিকেটকে বাইরে রাখা হবে। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, জানুয়ারির মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান হবে। ’
শুধু ক্রিকেটাঙ্গন নয়, এই আশায় বুক বেঁধে আছে তো গোটা দেশই!

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।