আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ন্যায়ের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাক, স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের জন্য তোমরা ন্যায়সঙ্গত বক্তব্য (সাক্ষী) দান কর। তাতে যদি তোমাদের নিজেদের বা তোমাদের পিতা-মাতার অথবা নিকটাত্মীয়দের ক্ষতি হয় তবুও।

দেশের জন্য উজাড় করা ভালবাসা

হতাশা একটি রোগ, তাই হতাশ হওয়ার কোন সুযোগ আমাদের নেই। একটি ছোট নদী বেশী দূর এগোতে পারে না, এক সময় সে নদী বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু যখন অনেক ছোট নদী এক জায়গায় গিয়ে মিশে তখন পদ্মা, মেঘনা, যমুনার সৃষ্টি হয়। আজ যারা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে তারা কেউ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, এরা এক একটি ছোট নদী। এরা যেদিন এই পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে একত্রিত হবে সেদিন এই দেশেও শান্তি ও উন্নয়নের পদ্মা, মেঘনা, যমুনার সৃষ্টি হবে।

সেই দিনের জন্য আমদেরকে যার যার অবস্থান হতে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। আমরা অনেকে ভাল বলতে ও লিখতে পারি। কিন্তু আমাদের বলায় এবং লিখায় যখন সমাজে পরিবর্তন আসে না তখনই বুঝতে হবে কিছু এখনো শিখার বাকী আছে। আর তা হল Effective Communication. শুধু চিৎকার করলে পরিবর্তন আসবে না, কিছু নিজেকেও করে দেখাতে হবে। কিছু করতে পারলে ভাল।

আর না করতে পারলে, অন্যকে সেটা করতে না বলাই উচিত। ইদানিং সর্বত্র নিরাপদ দূরত্বে থেকে ঝুকিবিহীন বলার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে নেতা-নেত্রীদের মাঝে এটি ব্যাপক। নেতারা নিজেরা যা করেন না, তা অন্যদের করতে বলেন। কি ডান, বাম সবার একই চরিত্র। এখানেই আমার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা।

লিখার মাধ্যমেও পরিবর্তন আনা সম্ভব, তবে সেই লিখা অনেক বেশী হৃদয় স্পর্শী, যৌক্তিক এবং গতানুগতিকের বাইরে হতে হবে। এমনকি মসজিদের খতিব সাহেবও বলেই ক্ষান্ত, সমাজ পরিবর্তনে তার ভুমিকা যে অগ্রগণ্য এটি তার কর্মকাণ্ডে বুঝার উপায় নেই। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরে শান্তির Quote পোস্ট করছিলাম নিজেকে এবং কাছের মানুষকে শান্তনা দেওয়ার জন্য। কারণ, জানতাম বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের নিকট এই সব কথা পৌঁছানোর মত সুযোগ আমরা এই সময় পাব না। তবে আমার বিশ্বাস এই প্রক্রিয়ায় একটি প্রজন্মের শেষ সময় এখন, সংঘাত-হানাহানিতে এদের দিন শেষ হয়ে আসছে, এরা একে অপরকে ধ্বংস করার জন্য হেন পাপ নেই যে করবে না।

আর এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে আসবে আরেকটি প্রজন্ম যাদের হাতেই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ। তাই আজকে আর কোন ব্যক্তির বানী নয়, আজকে মহাগ্রন্থ আল কুরআন হতেই লিখছি- ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ন্যায়ের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাক, স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের জন্য তোমরা ন্যায়সঙ্গত বক্তব্য (সাক্ষী) দান কর। তাতে যদি তোমাদের নিজেদের বা তোমাদের পিতা-মাতার অথবা নিকটাত্মীয়দের ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে জেনে রেখ আল্লাহ তোমাদের চাইতে তাদের অধিকতর শুভাকাংখী। অতএব তোমরা বিচার করতে গিয়ে প্রবৃত্তির অনুসরণ কর না।

আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে মনে রেখ আল্লাহ তোমাদের সকল কাজকর্ম সম্পর্কে অবহিত’ (নিসা ১৩৫)। ---তানভীর আরিফ; চ,বি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।