সর্বোচ্চ আদালতের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনায় (রিভিউ) কাদের মোল্লার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে বৃহস্পতিবার সকালে আবারো বসেছে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুনানির শুরুতেই কাদের মোল্লার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন এই বেঞ্চের কার্যতালিকায় এদিন আবেদনটি ৩ নম্বরে রাখা হয়েছিল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক সুলাইমান নিলয় জানান, সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
আদালতে প্রবেশের প্রতিটি ফটকেই পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।
আদালত প্রাঙ্গণের ভেতরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যকে দেখা গেছে।
সকাল থেকে সবাইকে তল্লাশি করে আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। শুনানির প্রথম দিন বুধবারও নিরাপত্তার এতোটা কড়াকড়ি ছিল না বলে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক নিলয় জানান।
একেবারে শেষ মুহূর্তে চেম্বার জজের আদেশে ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর বুধবার কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদনের বিষয়ে শুরুনানি শুরু হয়।
পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের ওপর চেম্বার আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে বলেও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জানায়।
এদিকে শীতকালীন অবকাশের আগে বৃহস্পতিবারই আপিল বিভাগের শেষ কার্যদিবস। এর মধ্যেই বিষয়টি নিস্পত্তি না হলে রায় কার্যকরের বিষয়টি আগামী বছর পর্যন্ত ঝুলে যেতে পারে বলে আদালতের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সাজা বাড়িয়ে ফাঁসির আদেশ দেয়।
এর আড়াই মাসের মাথায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দণ্ড কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রাতে এক আকস্মিক আদেশে ফাঁসি কার্যকর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থগিত করে দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।