আমি যা লিখি তা কিন্তু সব বেসিক থেকে ডিপার্টমেন্টে সক্কাল বেলা আইসাই শুনি ২০০ টাকা জরিমানা দেওন লাগব। মেজাজটা গেল খিচ্চা। কি আর করি!!! গেলাম ডিপার্টমেন্টে, অফিস পিওনকে একটু তেলাইয়া যদি মাফ করন যায়। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি তারা চাইলে পারেনা এমুন কিছু নাই। কিন্তু পিওন ভাই আমার দিকে এমুন ভাবে তাকাইল যে আমি এইমাত্র হের ঘরের বউ লইয়া ভাইগা যাওয়ার প্ল্যান করতাছি।

কিন্তু বিশ্বাস করেন ভাইজানেরা হের বউয়ের লগে কিন্তু আমার কোন সম্পর্ক নাই, এমন কি জীবনে দেখছিও না। আর আমার মত ভালো ছেলেরা কি এসব কথা মাথায় আনতে পারে!!! যাই হোক। ব্যর্থ মনোরথে ফিইরা আসলাম। কি আর করা! পকেটে দেখি ১০০ টাকা কম। চিন্তা কি!!! বন্ধু কাম রুমমেট আছে না।

। বন্ধুর কাছ থেকে টাকা লইয়া হাঁটা ধরলাম ব্যাংকের দিকে। এমন সময় দেখি কিছু পোলাপাইন ক্যাফেটরিয়ার কাছে জটলা পাকাইছে। আবার কেউ কেউ দেখি ছবিও তুলতাছে। বিনা পয়সায় মজা পাওয়ার লোভে আমিও আগাইয়া গেলাম কি হয় দেখার জন্য।

একটু গিয়াই খাইলাম টাশকি!!! আমার সামনে জ্বলজ্বল করতেছে এক রিয়েলিটি শো এর ব্যানার। ব্যনারের স্লোগানটাই টাশকি খাওয়ার মূল কারন। " ম্যাক্স ফেয়ারনেস যদি পুরুষ হও তাহলে ফেইস কর" রক্তে আগুন ধইরা গেল। এতবর চ্যালেঞ্জ!!! সরাসরি গেলাম ঐ জটলার মইদ্ধে। ঠেইলাঠুইলা আগানোর চেষ্টা করলাম।

না কেউ জায়গা দেয়না। অগত্যা কি আর করুম। খাড়াইয়া রইলাম আর বুঝলাম এই চ্যালেঞ্জ আমার মত অনেক পুরুষেরই রক্তে আগুন ধরাইয়া দিছে। কিছুক্ষনপর আমার সিরিয়াল আসল। একটা ফর্ম পূরণ করলাম।

তারপর তারা কয় আমার একটা ফডু তুলব। অগত্যা সালমান খানেরে নিজের যায়গায় দাঁড় করাইরা দিলাম। শুনলাম এখন নাকি অডিশনে ডাকব। আমি তো মনে করছিলাম এইখানেই সব খতম হইব। আবার অডিশন!!! অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হল।

আপনারাই কন ভাই এমুন চ্যালেঞ্জ হইলে আপনেরা কি করতেন!!!! ???!!! জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন ???!!! ।