আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হতে পারেন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ

কোনো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসবাবপত্র ক্রয় করলেন আপনি, আধুনিক মানসম্পন্ন এবং ডিজাইনে স্বাতন্ত্র্য থাকায় বাসায় বেড়াতে আসা মেহমানদের কাছ থেকে প্রশংসামূলক মন্তব্য শুনতে ভালোই লাগছে আপনার।

বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ একটি ফোন এলো আপনার নম্বরে। মিষ্টি কণ্ঠে জানতে চাইল, কিছুদিন আগে ক্রয় করা ফার্নিচারটি নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট অথবা আপনার কোনো অভিযোগ রয়েছে কি-না। ফোনটি এসেছে আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে আসবাবপত্র ক্রয় করেছেন সেখানকার কাস্টমার কেয়ার বিভাগ থেকে। আধুনিক বিশ্বের ধ্যান-ধারণার স্পর্শেই বাংলাদেশে দ্রুত বিস্তার ঘটে চলেছে কাস্টমার কেয়ার বিভাগের।

এ বিভাগে কর্মরতদের প্রতিষ্ঠানের পণ্য সম্বন্ধে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে হয় এবং কাস্টমারদের পণ্য সম্বন্ধে প্রশ্নের উত্তর এবং অভিযোগের সমাধান দিতে হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ একটি সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী পেশা। এ পেশা ক্যারিয়ার গড়তে শিক্ষাগতযোগ্যতার পাশাপাশি স্পষ্ট বাচনভঙ্গি প্রয়োজন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এ পেশায় আসতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নূ্যনতম গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হয়। তবে বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ হতে ন্যূনতম মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হয়।

বিশেষ ক্ষেত্রে অনেক প্রতিষ্ঠানে এমবিএ ডিগ্রিধারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়।

অন্যান্য যোগ্যতা : এ পেশায় সফল হতে হলে একজন ব্যক্তির অবশ্যই কিছু গুণাবলীর প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই একজন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভকে সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্য সম্বন্ধে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হয় এবং তাকে প্রতিষ্ঠানের বিক্রীত পণ্যের মান, গুণাবলি, ভবিষ্যতে কী কী সমস্যা হতে পারে সে সম্বন্ধে যে কোনো অভিযোগ এলে তা সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সমাধান করার যোগ্যতা থাকতে হবে। একজন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানে আগত কাস্টমারদের সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। মূলত কাস্টমারদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সেতুবন্ধন রূপে কাজ করেন একজন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ।

এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একজন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভকে অবশ্যই বিনয়ী, মার্জিত, চটপটে, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে হয়। একজন কাস্টমার কী সমস্যা নিয়ে এসেছে প্রথমেই তা নিরূপণ করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের দক্ষতা একজন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভকে প্রতিষ্ঠানের নিকট গ্রহণযোগ্য করে তোলে। একেকজন কাস্টমারের মানসিকতা একেক ধরনের হয়। ফলে ধৈর্যের সঙ্গে সবার সমস্যা অনুধাবন করতে হয় এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাস্টমারদের সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। বেতন ও অন্যান্য সুবিধা : যে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশে একজন কাস্টমার কেয়ারের বেতন শুরুতেই ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

কাজের সময়সীমা : প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই একজন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করানো হয় না। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিনের কর্মঘণ্টাকে ভাগ করে ৬ ঘণ্টা হিসেবে একজন ব্যক্তিকে কাজ করতে দেওয়া হয়। তবে কোম্পানি ভেদে সময়সীমা কম-বেশি হতে পারে। এ ছাড়া একজন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভকে প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত সময় অনুযায়ী কাজ করতে হয়। অর্থাৎ কোনো মাসে সকালে আবার কোনো মাসে বিকালেও কাজ শুরু করার মানসিকতা থাকতে হয়।

চাকরির সুযোগ : কোনো প্রতিষ্ঠানে ৫ থেকে ১০ জন, আবার ৫ থেকে ১৫ জন কাস্টমার কেয়ার এঙ্িিকউটিভের কাজ করার সুযোগ হয়। তবে বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানিতে এ পেশায় কাজের পরিধি অনেক বিস্তৃত। এ সব প্রতিষ্ঠানে কয়েকশ' কাস্টমার কেয়ার এঙ্িিকউটিভের কাজের সুযোগ রয়েছে। এ সব পেশায় যে কেউ ত্বরান্বিত করতে পারে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।