সেই ছোট্ট বেলা থেকে যে কোন দেশাত্ববোধক গান শুনলেই অন্যরকম অনুভূতিতে মনটা ভরে যেত। শিহরিত হতাম, রোমাঞ্চিত হতাম। জানিনা সবারই এরকম হয় কিনা। বুঝলাম দেশকে ভালবাসি। প্রচন্ড রকম ভাবেই ভালবাসি।
আজও তা একতিল পরিমাণও কমে নি। তা দেশকে তো সবাই ভালবাসে এত ঢাকঢোল পিটিয়া বলার কি আছে তাই না? বলার আছে বলার আছে।
দেশকে তো আমরা সবাই ভালবাসি। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া আর সবার ভালাবাসা এরকম আগে আমার সবকিছু ঠিক থাকবে তারপর দেশকে নিয়ে চিন্তা করা যাবে। নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে আমরা আর দেশকে ভালবাসতে পারি না।
তাই তো আজ আমার অভাগা মাতৃভূমির এ অবস্থা। প্রত্যেকে নিজের নিজের কাজটুকু ঠিকমত করলেও কিন্তু দেশেরই উপকার হয়। সেটা না করে আমরা যা করি সেটা হল একে অপরের দোষ ধরে বেড়াই। আগে তো নিজের দোষ গুলো শুধরাই।
কত অদ্ভুত দেশপ্রেম যে আমি দেখছি আশেপাশে।
কবে কবে দেখা পাব সবকিছু উজাড় করা দেশপ্রেমিকের দেখা। আমাদের জন্মে আমাদের সময়ে সেরকম কেউ জন্মায় নি এটাই আফসোস। অথবা আছে সেরকম কেউ যার খোঁজ আমরা আজও পাই নি।
আমার এক আপা আমার এক সময়ের কলিগ। এখন দেশের বাইরে আছেন।
পড়াশোনা করতে গেছেন। সঙ্গত কারণে নাম বলতে পারছি না। এমনিতে ফেসবুকে তার কোন এক্টিভিটিজ থাকে না। কিন্তু দেশের যে কোন সংকট কালে জ্বালাময়ী পোস্ট শেয়ার করতে তার জুড়ি নাই। তার দেশপ্রেমের বন্যা বয়ে যায়।
অথচ যখন দেশে ছিলেন এম এস থিসিস জমা দেয়ার পর ল্যাবে এক বছর ছিলেন একদিনের জন্য ও একটা কাজ করেন নাই। শুধু অফিসের ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের প্রফেসরদের মেইল করা ছাড়া কিছুই করেন নি তিনি এই এক বছরে। দেশের গবেষণায় ওনার মূল্যবান সময় উনি নষ্ট করেন নি। উনার মত দেশপ্রেমিকেই তো ভরে আছে আমার দেশ। হায় জন্মভূমি!
আরেক রকম দেশপ্রেমিক হলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কিছু শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, যারা শিক্ষক নিয়োগ কমিটি গুলোতে থাকেন।
শুধুমাত্র শক্তিশালী লবিং আছে বলে এমন সব নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ দেন যাদের বেশিরভাগেরই না আছে বিষয়সংশ্লিষ্ট পরিষ্কার জ্ঞান না আছে ভাল ফলাফল। এরাই হবে ভবিষ্যতে আমার সন্তানের শিক্ষক। হায় জন্মভূমি!
চলবে...।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।