১৯৮০ সালে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের যাত্রা হয়েছিল। প্রথম ট্রফি কার ঘরে গিয়েছিল জানেন? অনেকে আবার বলবেন যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে ট্রফিতো কারও ঘরে যাওয়ার কথা নয়। হ্যাঁ, মোহামেডান ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন প্রথম আসরে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ট্রফিটা প্রথম ঠাঁই পেয়েছিল গোপীবাগের ঘরেই। সেই ফাইনালের স্মৃতিচারণ করে কথাগুলো বললেন ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক হাসানুজ্জামান খান বাবলু।
বললেন, ১৯৭২ ও ১৯৭৫ সালে লিগের আগে স্বাধীনতা কাপ টুর্নামেন্ট হয়েছিল। এরপর ঢাকায় ফুটবলে লিগ ছাড়া অন্য কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন বাফুফের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন লিগকে আরও প্রাণবন্তু করে তুলতে তার আগে নতুন এক টুর্নামেন্ট করার। কলকাতাতেও লিগের আগে ফেডারেশন কাপ হয়। তাই সেটাকে অনুসরণ করে ঢাকাতেও ১৯৮০ সালে লিগের আগে ফেডারেশন কাপের যাত্রা হয়।
সে বছর মোহামেডান, আবাহনী, ব্রাদার্স ছাড়াও বিজেএমসি শক্তিশালী দল গড়ে। ফেডারেশন কাপে চারদলই সেমিফাইনালে উঠে। আবাহনীকে হারায় ব্রাদার্স আর মোহামেডান জিতে যায় বিজেএমসির বিপক্ষে।
বাবুল বলেন, ১৯৭৫ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়নের প্রথম বিভাগে অভিষেক ঘটলেও ২৯ বছর পর লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। অথচ ১৯৮০ সালে ফেডারেশন কাপ, ৮২ সালে আগাখান ও ৮৪ ডামফা কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
ফেডারেশনে কাপ প্রথম ফাইনালের স্মৃতিচারণ করে বাবুল জানালেন, সেবার ব্রাদার্সে আমি ও মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন রামা লুসাই। ফাইনালে তুলনামূলকভাবে আমরা প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও গোলের দেখা পাচ্ছিলাম না। মোহসিন আর আমি বার বার আক্রমণ চালালেও মোহামেডানের গোলরক্ষক পিন্টুর দৃঢ়তার কারণে জালে বল পাঠানো সম্ভব হয়নি। মোহামেডান যে একেবারে আক্রমণ চালায়নি তা বলব না। কিন্তু আমাদের ডিফেন্ডার সেলিম, নান্নু ও গোলরক্ষক শান্টু ভাইয়ের দৃঢ়তার তারাও এগিয়ে যেতে পারেনি।
বলে রাখা ভালো ১৯৮০ সালে সান্টু ভাই মোহামেডান থেকে ব্রাদার্সে। আর আমাদের ক্লাব থেকে পিন্টু মোহামেডানে যোগ দেন। সত্যি বলতে কি দুই গোলরক্ষকই ফাইনালে অসাধারণ খেলেন। নির্ধারিত সময়ে গোল না হওয়াতে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে দুই দলকে নামতে হয়। এখানেও ফলাফল নিষ্পত্তি হয়নি।
এখন যেসব ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোল না হলে শিরোপা নির্ধারণ করতে টাইব্রেকারে যেতে হয়। তখন সেই নিয়ম ছিল না। তখন যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা হতো। তাই ফেডারেশন কাপ প্রথম আসরে মোহামেডান ও ব্রাদার্স যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। কিন্তু এক ট্রফিতো আর দুই দল নিয়ে যেতে পারবে না।
কার ঘরে আগে ট্রফি যাবে সে জন্য পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেই টসের ব্যবস্থা করা হয়। টস করেন ফাইনালের প্রধান অতিথি তৎকালীন বিএনপি সরকারের তথ্যমন্ত্রী শামসুল হুদা। টসে আমরা জিতে গেলে ছয় মাসের জন্য ট্রফি আমরা নিয়ে যাই। এরপর আবার মোহামেডানের ঘরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।