আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হৃতিক-সুজান বিচ্ছেদের নেপথ্য কাহিনী

'সুজান শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের বিবাহ সর্ম্পক ভেঙে দেওয়ার। সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেষ করে দেওয়ার আমাদের সতেরো বছরের প্রেমের সর্ম্পককে। আমাদের পরিবার খুব কঠিন সময়ের সম্মুখীন। মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে অনুরোধ এই সময়টা আমাদের একটু একা থাকতে দিন'। বউ সুজানের কাছ থেকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত শোনার পর থেকে হতাশ হৃতিকের মুখে ঠিক এই কথাই বেরিয়ে এল চাপা অভিমানে ভরা গলায়।

প্রায় সতেরো বছরের প্রেমের সর্ম্পক এক নিমেষে ভাঙতে দেখে বলিউডেও পড়ল অদ্ভুত হতাশার ছাপ। কপালের ভাঁজে উঁকি মারল বহু প্রশ্ন, যার উত্তর খোঁজার আগেই বাড়ির দোড়গড়ায় এসে পড়ল ডিভোর্স পেপার।

গত কয়েকদিন ধরেই রোশন পরিবার থেকে দূরে আছেন সুজান। দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হৃতিকের বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে উঠেছেন তিনি। বাবার বাড়ি থেকেই উকিলের কথা মেনে বিচ্ছেদ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছেন হৃতিকের ঠিকানায়।

বিচ্ছেদের খবরটি নিশ্চিত করলেও, বহুদিন ধরেই সুজান-হৃতিকের সর্ম্পকে অল্প অল্প চিড় ধরেছিল। প্রাথমিক শুরুটা হয়, হৃতিকের অগণিত বান্ধবীদের কারণেই। প্রথম প্রথম সুজান বান্ধবীদের সঙ্গে হৃতিকের ওঠা-বসাটা হালকা ভাবে নিলেও, পরে অবশ্য সুজানের মনে দাগ কাটতে শুরু করে সন্দেহ। ঠিক সেই সময়ই 'কাইটস' ছবির নায়িকা বারবারা মোরির সঙ্গে হৃতিককে নিয়ে গুঞ্জন রটতে শুরু করে। প্রথম প্রথম অবশ্য বারবার মোরি কাব্যকে সুজান খুব একটা পাত্তা না দিলেও, পরে সুজান বিশ্বাস করতে শুরু করেন যা রটে তার কিছুটা তো বটে।

তবে সবসময়ই মনের দিক থেকে পরিস্কার সুজান হৃতিককে সোজা সাপটা জিজ্ঞেস করেন বারবারা মোরি-র সঙ্গে হৃতিকের কি সর্ম্পক? সেই সময় অবশ্য হৃতিক সহজ সরল ভাবে প্রফেশনাল সর্ম্পক বলেই পুরো ব্যাপারটির ব্যাখা দেন।

সে কাব্য শেষ হয়ে যাওয়ার পর, বেশ আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিলেন হৃতিক-সুজান। দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সুখের সংসার। নিজেদের প্রেমের সফরকে সেলিব্রেট করতে গত বিবাহবার্ষিকীতেও একই ট্যাটু এঁকেছিলেন নিজেদের হাতে। এ সবের পরেও এমন কি ঘটল? যার পরিমাণ বিবাহ বিচ্ছেদ!

গত গণেশ পুজোতেও অনুপস্থিত ছিলেন সুজান খান।

অনুপস্থিত ছিলেন রাকেশ রোশনের জন্মদিনের পার্টিতেও। এমনকী হৃতিকের ‘কৃশ থ্রি’-এর প্রিমিয়ারে দেরিতে পৌঁছে, ছবি শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে পড়েন সুজান। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি মাথায় অস্ত্রপচার করাতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন হৃতিক। হৃতিকের সঙ্গে গিয়েছিলেন একমাত্র তার বাবা রাকেশ রোশন। খবর অনুয়ায়ী, সুজান নাকি যেতেই চাননি যুক্তরাষ্ট্র।

চিকিৎসা শেষে ঘরে ফিরতেই হৃতিক পেলেন এই খবর।

কানাঘুষোতে শোনা গিয়েছে শুধু হৃতিকের বান্ধবীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জন্যই নয়, সুজানের স্বাধীনতায় ক্রমশ বাধা দিচ্ছিলেন হৃতিক। বহুদিন ধরেই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ব্যবসায় ব্যস্ত ছিলেন সুজান। আর বউয়ের এই ব্যবসাকেই নাকি ভাল চোখে দেখছিলেন না হৃতিক। বহুবার নাকি এই নিয়ে ঝামেলাও হয় দু’জনের।

আর সব রাগ, ক্ষোভ অভিমানের রুপই যেন সুজান-হৃতিকের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত।

তবে হৃতিক নাকি প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে মানিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। সুজান অবশ্য একেবারেই সমঝোতায় যেতে ছিলেন নারাজ। তাই হয়ত হৃতিক তার ফ্যানদের উদ্দ্যেশে জানিয়েছেন, 'বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানকে আমি শ্রদ্ধা করি। বৈবাহিক সর্ম্পকে আমি বরাবরই বিশ্বাসী।

আমার নিশ্চয়ই কিছু ভুল রয়েছে যার জন্য আজ এইরকম সমস্যার সম্মুখিন। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা কাটিয়ে নতুন ভাবে সব শুরু করতে পারব। ফ্যানদের কাছ থেকে এইটুকুই শুভেচ্ছা চাই। '

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।