আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ বিজয়ের দিন

এই ডিসেম্বরে বাঙালি পরেছিল বিজয়ের বরমাল্য।

একচলি্লশ বছর পর সেই ডিসেম্বরেই শুরু হলো কলঙ্কমোচনের নতুন অধ্যায়। বিয়ালি্লশতম বিজয় দিবসের আগমুহূর্তে ১৯৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের মৃত্যুদণ্ড প্রথম কার্যকর হলো। জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়েছে ১২ ডিসেম্বর। আর সেইসঙ্গে একাত্তরের গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগি্নসংযোগের মতো নির্মমতার বিচারহীনতা থেকে মুক্তি পেয়েছে জাতি।

এ দায়মুক্তির স্বস্তি ও সন্তুষ্টি নিয়ে আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের বিয়ালি্লশতম বার্ষিকী উদযাপন করছে বাঙালি জাতি। এ দিনে দায়মুক্তির সূচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ যে মুহূর্তে বিজয় দিবসের আনন্দে উদ্বেলিত ঠিক তখন একাত্তরে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা ও নির্মমতার দোসর জামায়াতে ইসলামীর উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতায় লিপ্ত। তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে একাত্তরের মতো ফের মেতে উঠেছে নারী ও শিশুসহ নিরীহ মানুষ হত্যা, লুটতরাজ আর অগি্নসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ আসার আগে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ আসন্ন মুক্তির অপেক্ষায় বেদনা-মিশ্রিত আনন্দে দিন কাটিয়েছিল। আর একচলি্লশ বছর পর দেশবাসী বিজয় দিবস উদযাপন করছে এক অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতি উদ্ভূত উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়।

বিশেষ করে বিরোধী দলবিহীন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, জামায়াত-শিবিরের চলমান নাশকতা, হত্যাসহ নানামুখী অপতৎপরতার মধ্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। এ অবস্থায় এবার উদযাপন করা হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। তবে শত উদ্বেগের মধ্যেও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে আরও বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে বিজয় দিবস।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় কার্যকর নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতি। বিজয় দিবসের আগে গতকাল পালিত হয় হরতাল।

আগের সপ্তাহগুলোতে চলেছে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি। বিজয় দিবসের পরও এ ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির আগে দেশে যে ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থির পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল কেন জানি আবার সেই পরিস্থিতি ফিরে আসার আলামত দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আবার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অতীত সাক্ষ্য দেয়, রাজনৈতিক সহিংসতা শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনে।

আর এর খেসারত দিতে হয় সরকারি ও বিরোধী দল নির্বিশেষে রাজনীতিকদেরই। জনগণকে তো মাশুল দিতেই হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার কার্যক্রম ও রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে চলছে ষড়যন্ত্র। অনেক তরুণযুবা বুঝে না বুঝে সেই ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছেন। ধর্মের নাম ভাঙিয়ে তাদেরকে সহিংস হতে প্ররোচিত করা হচ্ছে।

আইনের শাসনকে হুমকির মধ্যে ফেলার অপচেষ্টা হচ্ছে।

পঞ্চাশোর্ধদের স্মৃতিতে জাগরুক ১৯৭১-এর ভয়াল দিনগুলো। পুড়ছে গ্রামের পর গ্রাম, জনপদ, প্রাণভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে দিগবিদিক রুদ্ধশ্বাসে ছুটছে মানুষ। চারদিকে প্রতিরোধ যুদ্ধ, হানাদার বাহিনী ও তার দোসরদের হত্যা, অগি্নসংযোগ, লুটপাট, নারীর প্রতি অবমাননা, অকথ্য নির্যাতন এবং পৈশাচিকতা। এখন যাদের বয়স ৪২, তারা স্বাধীনতার প্রজন্ম।

তারা এবং আজকের প্রজন্ম কেউই মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। কিন্তু তাদের সবার অনুভবে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শাণিত চেতনা। সেই চেতনায় রয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন ও রায় কার্যকরের পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।

১৯৭১-এ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে রক্তের সাগর পেরিয়ে আসে বিজয়, প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা। ১৬ ডিসেম্বরে সৃষ্টি হয় বাঙালির নতুন ইতিহাস।

রচিত হয় গৌরবের বীরত্বগাথা। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আনুষ্ঠানিক আত্দসমর্পণ করে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর ৯৩ হাজার সদস্য। তিরিশ লাখ মানুষের আত্দাহুতি, দুই লাখ নারীর চরমতম মূল্যদান ও আপামর জনগণের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট-ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বিজয়, আমাদের বাংলাদেশ।

১৯৪৭-এ দেশভাগের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেও বাঙালির প্রকৃত স্বাধীনতা আসেনি। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হয় বাঙালির আত্দরক্ষার সংগ্রাম।

পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে আঞ্চলিক বৈষম্য অধীর করে তোলে পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকদের। নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বাতন্ত্র্য ঐতিহ্যের শেকড় থেকে উন্মেষ ঘটে বাঙালি জাতীয়তাবাদের। এই চেতনা থেকে প্রদেশের স্বায়ত্তশাসনের জন্য ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এজন্য পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে গ্রেফতার করে সামরিক আদালতে প্রহসনের বিচার শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে ঘটে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান।

মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার। সত্তরের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। শুরু হয় জনরায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তান শাসকচক্রের ষড়যন্ত্র। বাঙালির হাতে শাসনভার ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে গর্জে ওঠে বাংলাদেশ। একাত্তরের আগুনঝরা ৭ মার্চ সুদীর্ঘ দুই যুগের নিরবচ্ছিন্ন স্বাধিকার আন্দোলনের মাহেন্দ্রক্ষণে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সের জনসমুদ্রে জাতিকে শোনান মুক্তির গান।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবন থেকে ঘোষণা করেন : 'আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। ' দুর্বার প্রতিরোধে জেগে ওঠে বাংলাদেশ। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে নতুন রূপ নেয় জনযুদ্ধ। এরপর দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের এদেশীয় দোসর জামায়াতে ইসলামীর সৃষ্ট রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের নির্বিচার গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, অগি্নসংযোগ, লুটতরাজের ন্যক্কারজনক ইতিহাস। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ নেয় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার।

মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে এসে ডিসেম্বরের গোড়ায় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে গঠন করা হয় যৌথ কমান্ড। যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর পৌষের কুয়াশামাখা বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দখলদার পাকিস্তানি সেনাধ্যক্ষ নিয়াজি-ফরমান আলীরা মাথা নিচু করে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর অধিনায়কদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন। আর সূচিত হয় বাঙালির বিজয়। আজ সরকারি ছুটি। সারা দেশে উড়বে জাতীয় পতাকা।

লাখো মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভরে উঠবে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিমূল। জাতি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের পাশাপাশি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করবে জাতির জনককে। স্মরণ করা হবে মুক্তিযুদ্ধের কর্ণধারদের, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান দামাল মুক্তিযোদ্ধাদেরও। বিজয়ের এ দিনে সবার কামনা_ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। সমুন্নত থাকুক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

উগ্রপন্থা ও ধর্মীয় উন্মাদনাকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হোক। জাতির চলার পথ হোক কণ্টকমুক্ত।

বাণী : বিজয় দিবসের বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আমাদের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতার সুফল জনগণের দ্বারপ্রান্তে পেঁৗছে দিতে আসুন আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ গড়ার কাজে অবদান রাখি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব।

এ জন্য উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া তার বাণীতে বলেন, আমাদের মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও শত্রুদের চক্রান্ত আজও বিদ্যমান। ওদের হাত থেকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

কর্মসূচি : বরাবরের মতো এবারও নানা কর্মসূচিতে ঢাকাসহ সারা দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হচ্ছে দিনটি।

ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দর এলাকায় সূর্যোদয়ের সময় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা হবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিক, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর আমন্ত্রিত সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ। বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিলিত হবেন। সকালে ন্যাশন্যাল প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশ্বের বৃহত্তম মানব জাতীয় পতাকা বানানো হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনী নিয়োজিত থাকবে বিধায় এ বছর জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে না। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন পতাকায় সজ্জিত করা হবে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : সকাল পৌনে ৭টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। ৮টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী পরে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বিকাল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্র্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর পর্যন্ত বিজয় র্যালি করবে আওয়ামী লীগ।

বিএনপির কর্মসূচি : ভোর ৬টায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। এর পর সাড়ে ৭টায় শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা, বেলা ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা হবে।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।