আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৩ই জুনের সেই প্রতিবেদন এবং এন্থনী ম্যাসকারেনহাস

“আমি নিরালায় একা খুজেঁ ফিরি তারে, ‍স্বপ্নবিলাসী, কল্পনাপ্রবণ আমার আমিরে.........”

১৩ই জুন, ১৯৭১ সাল। লন্ডনের বহুল পঠিত পত্রিকা ‘দি সানডে টাইমস’-এর পাঠকদের সকালের কাগজটি হাতে আসার পর স্তম্ভিত হয়ে থাকতে দেখা যায়। পত্রিকার একটি প্রতিবেদন পড়ে তাদের সাথে বিশ্ববাসীও হয়ে পড়েছিলো হতভম্ব, বিহ্বল। প্রতিবেদনটি শুরু হয়েছিলো- আবদুল বারী ভাগ্যের ভরসায় দৌড় দিয়েছিল। পূর্ব বাংলার আরো হাজার মানুষের মতো সেও একটা ভুল করে ফেলেছিলো — সাংঘাতিক ভুল –ও দৌড়াচ্ছিলো পাকসেনাদের একটি টহল-সেনাদলের দৃষ্টিসীমার মধ্যে।

পাকসেনারা ঘিরে দাঁড়িয়েছে এই চব্বিশ বছরের সামান্য লোককে। নিশ্চিত গুলির মুখে সে থরথরিয়ে কাঁপে। “কেউ যখন দৌড়ে পালায় তাকে আমরা সাধারণত খুন করে ফেলি”, ৯ম ডিভিশনের জি-২ অপারেশনস-এর মেজর রাঠোর আমাকে মজা করে বলেন। কুমিল্লার বিশ মাইল দক্ষিণে মুজাফরগঞ্জ নামে ছোট্ট একটা গ্রামে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। “ওকে আমরা চেক করছি কেবল আপনার খাতিরে।

আপনি এখানে নতুন এসেছেন, এছাড়া আপনার পেটের পীড়া রয়েছে। ” “ওকে খুন করতে হবে কেন?” উদ্বেগের সঙ্গে আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। “কারণ হয় ও হিন্দু, নয়তো বিদ্রোহী, মনে হয় ছাত্র কিংবা আওয়ামী লীগার । ওদের যে খুঁজছি তা ওরা ভালমতো জানে এবং দৌড়ের মাধ্যমে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করে। ” “কিন্তু তুমি ওদের খুন করছো কেন? হিন্দুদেরই বা খুঁজছ কেন?” আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম ।

রাঠোর তীব্র কন্ঠে বলে উঠলেন, “আমি তোমাকে অবশ্যই মনে করিয়ে দিতে চাই, তারা পাকিস্তান ধ্বংস করার কী রকম চেষ্টা করেছে। এখন যুদ্ধের সুযোগে ওদের শেষ করে দেয়ার চমৎকার সুযোগ পেয়েছি। ” “অবশ্য,” তিনি তাড়াতাড়ি যোগ করেন, “আমরা শুধু হিন্দুদেরই মারছি। আমরা সৈনিক, বিদ্রোহীদের মতো কাপুরুষ নই। তারা আমাদের রমণী ও শিশুদের খুন করেছে।

” না, কোনো চলচ্চিত্রের রগরগে কাহিনী তারা পড়েননি, তারা পড়েছিলেন সেই সময়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া কোটি বাঙ্গালীর একজনের জীবনের শেষ দিনের বর্ণনা। শিউরে উঠেছিলেন সেদিন বিশ্ববাসী। প্রতিবাদ শুরু হয়েছিলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, শুরু হয়েছিলো বাঙ্গালীদের পক্ষে জনমত। আর বিশ্ব জনমতকে বাঙ্গালীদের পক্ষে নিয়ে আসার এই প্রতিবেদন লিখেছিলেন এক পশ্চিম পাকিস্তানী, যার নাম এন্থনী ম্যাসকারেনহাস। ১৯২৮ সালের ১০ই জুলাই ভারতের গোয়ার কাছাকাছি বেলগাওম নামক জায়গায় এক রোমান ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহন করেন ম্যাসকারেনহাস।

তিনি পড়াশোনা করেন করাচীর সেইন্ট প্যাট্রিক্স কলেজে। ১৯৪৮ সালে তিনি বোম্বেতে রয়টার্স সংবাদ সংস্থায় যোগদান করেন। পরিবর্তীতে তিনি পাকিস্তানের করাচীতে চলে আসেন। তিনি সেখানে পাকিস্তানের নিজস্ব সংবাদ সংস্থা এপিপি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৮ সালের দিকে করাচী টাইমস-এ সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে তিনি ছিলেন করাচীর ‘দি মর্নিং নিউজ’-এর সহকারী সম্পাদক। সেই সুবাদে পাকিস্তানের অনেক হোমরা চোমরা ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় ছিলো। মার্চের শেষের দিকে যখন পূর্ব পাকিস্তানে দুই ডিভিশন সৈন্য গোপনে পাঠানো হয় তথাকথিত বিদ্রোহীদের খুঁজে বের করার জন্য, তখন পাকিস্তান সরকার আটজন পাকিস্তানী সাংবাদিককে আমন্ত্রন জানায় পূর্ব পাকিস্তান ঘুরে যাবার জন্য। উদ্দেশ্য ছিলো- পূর্ব পাকিস্তান স্বাভাবিক অবস্থায় আছে- প্রতিবেদনের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের জনগনকে এই ধারণা দেওয়া। এই প্রতিনিধি দলেই ছিলেন এন্থনী ম্যাসকারেনহাস।

বাকী সাতজন সাংবাদিক পাকিস্তানী সামরিক জান্তার নির্দেশ মানলেও ম্যাসকারেনহাস ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করলেন। তিনি বুঝতে পারলেন, যা দেখেছেন, তা কখনোই পাকিস্তানের পত্রিকায় লিখতে পারবেন না, তাকে লিখতে দেওয়া হবে না। এর পূর্বে তথ্য মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদের আদেশে মার্চের ২৫/২৬ তারিখ নিয়ে একটি প্রতিবেদন তিনি লিখেছিলেন, যে প্রতিবেদনে ছিলো অবাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে বাঙ্গালী সৈন্যদের প্রতিরোধ। কিন্তু রিপোর্টটিতে ভয়াবহরকমের সেন্সর করা হয়। এমনকি দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতার প্রসঙ্গ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সেন্সর করেছিল।

এ-ব্যাপারটিই তার নীতিবোধকে পীড়া দিচ্ছিল। এই প্রসঙ্গে তার স্ত্রী ইউভোনে পশ্চিম লন্ডনে বসবাসের সময় স্মৃতিচারণ করেন, “আমি কখনো আমার স্বামীকে এই অবস্থায় দেখিনি। তিনি ছিলেন সম্পূর্ণভাবে মর্মাহত, পীড়িত, বিপর্যস্ত এবং ভয়ঙ্করভাবেই আবেগাক্রান্ত। তিনি আমাকে বললেন, তিনি যা দেখেছেন, তা যদি লিখতে না পারেন, তাহলে লেখাই ছেড়ে দিবেন”। ম্যাসকারেনহাসের স্ত্রী ইউভোনে আরো স্মৃতিচারণ করেছিলেন, “তার (ম্যাসকারেনহাস) মা সবসময়ই তাকে বলতেন সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে।

তিনি আমাকে বলতেন, আমার সামনে পাহাড় থাকলেও সত্যের জন্য আমি এটি পেরিয়ে যাবো। তিনি কখনই ভীত হতেন না”। আর তাই তার অসুস্থ বোনকে দেখতে যাওয়ার ভান করে ১৮ই মে মঙ্গলবার তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে এসে হাজির হলেন লন্ডনস্থ দি সানডে টাইমসের কার্যালয়ে। তিনি তাদের জানাতে চাইলেন, পূর্ব বাংলা ছেড়ে ৫০ লক্ষ থেকে প্রায় এক কোটি লোককে কেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যেতে হয়েছে তার পেছনের কাহিনী। তিনি সোজাসাপ্টভাবে জানালেন পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর পশ্চিম পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বর্বরতার কাহিনী।

‘দি সানডে টাইমস’-এর সম্পাদক হ্যারল্ড ইভানস তার সাথে এন্থনী ম্যাসকারেনহাসের সাক্ষাতকারের বর্ণনা দেন এইভাবে, "the bearing of a military man, square-set and moustached, but appealing, almost soulful eyes and an air of profound melancholy". ইভানস লিখেছিলেন, “মার্চে বাঙ্গালী নিধনে তিনি ছিলেন খুবই মর্মাহত। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তিনি হচ্ছেন এক গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পশ্চিম পাকিস্তানী সেনা অফিসারদের তিনি বলতে শুনেছেন- একমাত্র এই হত্যাযজ্ঞই হচ্ছে সমস্যা সমাধানের ফাইনাল বা সর্বশেষ উপায়”। ইভানস রাজী হলেন এই প্রতিবেদন তার পত্রিকায় ছাপাতে। ম্যাসকারেনহাস জানতেন, এই প্রতিবেদন লেখার পর তার পক্ষে আর করাচি ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে না। তিনি ‘দি সানডে টাইমস’-কে জানালেন তিনি পাকিস্তানে আর ফিরে না-যাবার ব্যাপারে মনস্থির করেছেন; এজন্য তাকে তার বাড়ি, তার সম্পত্তি, এবং পাকিস্তানের সবচেয়ে সম্মানীয় একজন সাংবাদিকের মর্যাদার মায়া ত্যাগ করতে হবে।

তার একটিমাত্র শর্ত ছিল - তার স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তান নিরাপদে করাচী থেকে লন্ডনে না আসা পর্যন্ত যেনো তার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা না হয়। তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, ম্যাসকারেনহাসের পক্ষ থেকে যখন "Ann's operation was successful". এই তারবার্তাটি ইভানস পাবেন, তখন তারা প্রতিবেদনটি প্রকাশের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবেন। ইউভোনে স্মৃতিচারণ করেন, “পরেরদিন দুপুর তিনটায় টেলিগ্রাম অফিস থেকে লোক আসেন আমার বাসায়, আমাকে ম্যাসকারেনহাস টেলিগ্রাম করলেন – দ্রুত লন্ডনে চলে আসার জন্য। ব্যাপারটা এই রকম, আমার সন্তানদের জাগিয়ে তুলে বললাম- চলো, আমাদের এখনই লন্ডনে যেতে হবে। এটি ছিলো ভয়ংকর ব্যাপার।

আমাদের যা কিছু পরিচিত, সবকিছুকেই পিছনে ফেলে যেতে হবে”। “আমরা প্রত্যেকেই একটি মাত্র সুটকেস নিতে পেরেছিলাম। আমরা প্রত্যেকেই এমনভাবে কাঁদছিলাম, যেনো কোনো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছি”, বলেছেন ইউভোনে ম্যাসকারেনহাস। কোনো রকম সন্দেহের উদ্রেক যাতে না হয়, সেজন্য এন্থনী ম্যাসকারেনহাস আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। দশ দিন অপেক্ষা করার পর সানডে টাইমসের এক নির্বাহীর ব্যক্তিগত ঠিকানায় একটি বৈদেশিক তারবার্তা আসে।

তাতে লেখা ছিল, ‘আসার প্রস্তুতি সম্পন্ন, সোমবার জাহাজ ছাড়বে। ’ তার দেশত্যাগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে তিনি কোনোরকমে একটা রাস্তা পেয়ে যান। পাকিস্তানের ভেতরে যাত্রার শেষ পর্যায়ে তিনি বিমানে একজন তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাকে দেখতে পান যাকে তিনি ভালোমতোই চিনতেন। এয়ারপোর্ট থেকে একটি ফোনকল তাকে গ্রেফতার করার জন্য যথেষ্ট ছিল।

তবে কোনো ফোনকল হয়নি এবং তিনি মঙ্গলবার লন্ডনে এসে পৌঁছান। পরিবারসহ লন্ডনে আসার পরদিনই দি সানডে টাইমস প্রকাশ করে তার সেই বিখ্যাত প্রতিবেদন ‘Genocide’ নাম দিয়ে। এই ব্যাপারে খুব কমই সন্দেহের অবকাশ আছে যে, ম্যাসকারেনহাসের প্রতিবেদনটিই সর্বপ্রথম বিশ্ব জনমতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ করে তোলে এবং ভারতকে তার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা পালন করে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ‘দি সানডে টাইমস’-এর সম্পাদক হ্যারল্ড ইভানসকে বলেছিলেন, এই প্রতিবেদনটি তাকে এতোটাই মর্মাহত করেছিলো যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইউরোপীয়ান দেশগুলোর রাজধানীর সাথে এবং মস্কোর সাথে যোগাযোগ করেন বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর ভূমিকা জোরালো করার ব্যাপারে। তার এই প্রতিবেদন ছিলো, পাকিস্তানীদের দৃষ্টিভঙ্গিতে- এক বিশাল বিশ্বাসঘাতকতা।

তিনি একজন শত্রুপক্ষের এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন সেখানে। যদিও তিনি যা লিখেছিলেন, সে সম্পর্কে এখনো সেখানে (পাকিস্তানে) বলা হয়ে থাকে, এইসব কিছুর পিছনে ছিলো ভারতের প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭৬ সালে ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহন করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেও তিনি পাকিস্তানের রাজনীতির নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতেন এবং ১৯৭৯ সালে তিনিই প্রথম প্রকাশ করেন যে, পাকিস্তান নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৭২ সালে তিনি প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে একটি বই- The Rape of Bangladesh. ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো বাংলাদেশ সম্পর্কিত তার দ্বিতীয় বই Bangladesh: A Legacy of Blood. তিনি ১৯৫২ সালে বিয়ে করেছিলেন ইউভোনে ডি’সুজাকে।

তার ছিলো এক কন্যা এবং চার পুত্র সন্তান। ১৯৮৬ সালে তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সেই বছরেরই ৩রা ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিবারের সদস্যরা লন্ডনেই থেকে যান। ইউভোনে বলেছিলেন, “লন্ডনে সবাই ব্যস্ত।

এখানে কেউই আমাদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে না। করাচী থেকে এখানে ভিন্নতা অনেক, তবুও আমাদের কোনো আক্ষেপ নেই। আমরা সুখেই আছি, ভালোই আছি”। বাংলাদেশে তিনি শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ হোন। তার সেই প্রতিবেদনটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

এই প্রসঙ্গে জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মফিদুল হক বলেন, “এই প্রতিবেদনটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে লিখিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। এটি সেই সময়ে প্রকাশিত হয়েছিলো, যখন আমাদের দেশ বহিবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো এবং যখন সারা বিশ্বের জানার প্রয়োজন ছিলো- বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে কি হচ্ছিলো”। বাংলাদেশ সরকার যেসব বিদেশীদের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করেছেন, তাদের প্রথম দিকেই ছিলেন নেভিল এন্থনী ম্যাসকারেনহাস। তথ্যসূত্র এবং কৃতজ্ঞতাঃ Bangladesh war: The article that changed history Obituary of Mr Anthony Mascarenhas Anthony Mascarenhas- wikipedia মূল ইংরেজী প্রতিবেদন ফাহমিদুল হকের করা বাংলা অনুবাদ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।