গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় এই অভিনেতাকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার চাচাত ভাই অভিনেতা দিলু খান বুধবার বেলা আড়াইটায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। ”
এর আগে কিছু গণমাধ্যমে খালেদ খানের মৃত্যুর খবর প্রচার করা হলেও তা সঠিক নয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে মঞ্চ ও টেলিভিশনের অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলীরা বারডেম হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন।
দিলু খান জানান, বুধবার সকালে খালেদ খানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চিকিৎসকদের এক দফা আলোচনা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখে চিকিৎসকরা পরবর্তী অবস্থা জানাবেন।
খালেদ খান সোমবার ভাই শাহীন খানকে সঙ্গে নিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রুহুল আমিনের কাছে যাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করলে তাকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, খালেদ খান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর থেকেই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
খালেদ খান দীর্ঘদিন ধরে মোটর নিউরন সমস্যায় ভুগছিলেন। এর ফলে তার শরীরের মাংসপেশী অকেজো হয়ে যায়।
সোমবার তার অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে তাকে দেখতে যান অভিনয়শিল্পী আতাউর রহমান, লাকী ইনাম, নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, ঝুনা চৌধুরী, অমৃতা খান, ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, সাংবাদিক আবেদ খান এবং নাগরিক নাট্যাঙ্গন ও সুবচন নাট্য সংসদের বেশ কজন কর্মীসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।
আশির দশকে মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন খালেদ খান।
তিনি হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক নাটক 'এইসব দিনরাত্রি' ও ইমদাদুল হক মিলনের 'রূপনগর' নাটকে অভিনয় করেন।
নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের হয়ে তিনি মঞ্চে ৩০টির বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। নির্দেশনা দিয়েছেন ১০টির বেশি নাটক।
অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি নাগরিক নাট্যাঙ্গনের 'রক্ত করবী' নাটকের বিশু পাগল চরিত্রে অভিনয় করেন। সুবচন নাট্য সংসদের 'রূপবতী' নাটকেরও নিদের্শনা দেন।
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক তার স্ত্রী।
কণ্ঠশিল্পী ফারহিন খান জয়িতা তাদের সন্তান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।