ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেপ্তার এবং মানহানির অভিযোগে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে নয়াদিল্লিস্থ মার্কিন দূতাবাসের বাইরে ব্যারিকেডসহ নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত সকল পুলিশ সদস্যদের তুলে নিয়েছে দেশটি। একই সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের কাছে ট্রাফিক পুলিশও প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতে অবস্থানরত সকল মার্কিন কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিমানবন্দদের বিশেষ পাস বাতিল করে দিয়েছে নয়াদিল্লি প্রশাসন। এমনকি মার্কিন দূতাবাসের জন্য আমদানি ছাড়পত্রও স্থগিত করা হয়েছে।
দেবযানীর সঙ্গে 'অগ্রহণযোগ্য আচরণের' প্রতিবাদে গতকাল ভারতে সফররত মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সরকারি ও রাজনৈতিক নেতারা বৈঠক বাতিল করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেন। দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও তা বাতিল করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা রাহুল গান্ধী ও বিরোধী দলের নেতা নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, গৃহকর্মীর ভিসা আবেদনে মজুরি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং তাকে চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিক না দিয়ে বেশি কাজ করানোর অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেপ্তারের পর প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায় নিউইয়র্কের পুলিশ।
এদিকে, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সুজাতা সিং-এর যুক্তরাষ্ট্র সফরে বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর বিষয়ে ভারতের অবস্থান ওয়াশিংটনের সামনে তুলে ধরেন, যার শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্যের বিষয়টি।
দেবযানীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একটি বার্তা দিতে চেয়েছে, যাতে আমরা ভেঙে পড়ি। এটা বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট কারণও আছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।