আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুবু-আপার বার্তালাপ (কল্পিত)

ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে তা থৈ তা থৈ থৈ দিমি দিমি দ্রম দ্রম । । ভূত পিশাচ নাচে যোগিনী সঙ্গে । । ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।

। দানব দলনী হয়ে উন্মাদিনী আর কি দানব থাকিবে বঙ্গে । । আপাঃ কেমন আছেন বুবু? বুবুঃ এইতো আপা। আপনারা যেমন দোয়া করছেন।

আপাঃ গতরাতে নাকি আলসারের ব্যথা বেড়ে গিয়েছিলো আপনার? বাড়বে নাইবা কেন সারাদিন দেশের জন্য ছুটোছুটি। নাওয়া-খাওয়ার নাই ঠিক। এই বয়সে এত অনিয়ম করলে কি চলে। বুবুঃ নাহ আপা। এখন বেশ ভালো আছি।

বসে থাকি কি করে বলেন। কত বড় দায়িত্ব ঘাড়ে। আমার অনিয়ম হলেও দেশের তো হতে দিতে পারিনা। আমার কথা বাদ দিন। আপনিও কি কম করছেন।

ডায়াবেটিকের রোগী হয়েও এক মূহুর্তের বিশ্রাম আছে আপনার। সকালে এ জ়েলা তো বিকেলে ওই জ়েলা। আজ এ দেশ তো কাল ওই। আপাঃ আর লজ্জা দিবেন না বুবু। কিইবা করলাম আর দেশের জন্য।

আপনার দেশ চালানোর কষ্ট একটু হলেও যদি কমে আমার কারণে তাহলেই আমি স্বার্থক। বুবুঃ তা ভাই, আপনার ছেলেও কিন্তু কম যায়না। আজকালের তরুণদের একটা আদর্শের বড় অভাব ছিলো। আপনার ছেলে সে অভাব ঘুচিয়েছে। আর দিনে একবার হলেও তার এই বুড়ি খালার খবর নেবেই।

অনেক দোয়া করি জীবনে অনেক বড় হোক। আপাঃ ছোটবেলা থেকেই তো ওর খালু আর বাবার আদর্শে মানুষ। তরুণদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন ওর। আপনার দোয়া খুব প্রয়োজন ওর বুবু। যাই বলেন না কেন, আপনার ছেলে বিদেশে আমাদের মাথা উঁচু করে রেখেছে।

শিক্ষা-দীক্ষা, চলনে-বলনে এরকম ছেলের মা হওয়া শত জন্মের ভাগ্য। ওকে মুখে তুলে খাইয়েছি কতদিন হয়ে গেলো। বিদেশে কি খায় না খায় ছেলেটা। এবার এলে আমার কাছে ক’দিন রেখে দিবো বুবু। আপনি কিন্তু না করতে পারবেন না।

বুবুঃ না করবো কেন আপা। ওতো আপনারও ছেলে। আপনার হাতের লাউ-চিংড়ির কি ভক্ত সে। বলে আমি কেন আপনার মতো রাধঁতে পারিনা। এবার আমাকে শিখিয়ে দেবেন।

দেখি পাগলটা খেয়ে কি বলে। আপাঃ ওহ বুবু, কথায় কথায় ভুলেই গিয়েছিলাম আপনাকে বলতে। গতকাল গোলাম ফোন দিয়েছিলো। ওরা চায় এবার ওদের সাথে জোট বাঁধি। এমন রাগ উঠলো মুখের উপর ফোনটা রেখে দিলাম।

সেক্রেটারিকে বলে দিয়েছি ওদের ফোন আসলে যাতে আমাকে না দেয়। বুবুঃ ভালো করেছেন আপা। আর আমাকে তো স্বৈরাচার টা অস্থির করে রেখেছে জোট করার জন্য। আজ এটা পাঠায় তো কাল ওটা। সেদিন দিলাম বিশাল ঝাড়ি।

লজ্জাও নেই লোকটার। আপাঃ একদম উচিত শিক্ষা দিয়েছেন বুবু। এদের জন্য কোন সহানুভূতি দেখানোর দরকার নেই। বুবুঃ আপা আজ রাখি। এক্ষুনি বিজিবির সাথে বসতে হবে।

বিএসএফ বেশি বাড়াবাড়ি করছে। আপাঃ ঠিক আছে বুবু। আমিও এখন মেডিকেল যাবো টাঙ্গাইলের মেয়েটাকে দেখতে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।