আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জল আর যৌবন টান



নাম নিয়ে ভয় পাবেন না । আশা করি ভালো লাগবে । সুন্দরবনের জলসীমায় রাজত্ব করে কিছু জলদস্যু। তারা অবৈধভাবে বাঘ শিকার করে চামড়া পাচার করে বিদেশে। এছাড়া ছোটবড় লুটপাট তো আছেই।

এই জলদস্যুরাই নানা জায়গায় ডাকাতি করতে গিয়ে তুলে আনে গ্রামের মেয়েদের। নিজেদের যৌনক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি তারা এই মেয়েদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালায়। সুন্দরবন এলাকায় নৌকার ওপরই চলতে থাকে সেই ভাসমান ‘বেশ্যাপল্লী’। আর তাই ওই মেয়েদের বলা হয় ‘জলবেশ্যা’। জলবেশ্যা গল্পটি সম্পর্কে কবি আল মাহমুদ বলেন, ‘জলবেশ্যা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে জেগে উঠেছে।

আমার নিজের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে আমি যা দেখেছি, তাই উঠে এসেছে গল্পটিতে। জলবেশ্যাদের তো আমি নিজের চোখে দেখেছি, কথা বলেছি। তারপর তাদের নিয়ে লিখেছি। পরিচালক মুকুল রায় চৌধুরী ছবিটির গল্প প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ছবির গল্প মূলত জলবেশ্যাদের নিয়ে। কীভাবে তাদের এখানে আসা, তাদের অতীত সবকিছুই।

কিন্তু এত সহজে গল্পটা এগোয় না। মুম্বাই থেকে এক ফটোগ্রাফার ছবি তুলতে আসেন সুন্দরবনে। কিছুদিন যাওয়ার পর এই ছেলেটার খোঁজ পাওয়া যায় না। এই ছেলেকে খুঁজতে আসে তার এক বন্ধু। খুঁজতে এসে সে ঘটনাচক্রে ঢুকে পড়ে জলবেশ্যাদের ডেরায়।

এই ডেরায় এসে সে জানতে পারে তার ফটোগ্রাফার বন্ধুটির সঙ্গে এক জলবেশ্যার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এরপরই নানা রহস্য খুলতে শুরু করে বেশ্যাদের সাহায্যে। এইভাবেই গল্প এগোতে থাকে। ’ পরিচালক আরো বলেন, ‘বাংলা ছবিতে এর আগে এই ধরণের বিষয় নিয়ে কাজ হয়নি। আর এখনকার দর্শক অন্যরকম ছবি দেখতেই পছন্দ করে।

তাই এ ধরণের বিষয়টা আমি বেছে নিয়েছি। বিষয়টা শুনলেই মনে হচ্ছে খুব বোল্ড হতে চলেছে ছবিটা। বিষয় এবং দৃশ্য দুদিক থেকেই চলচ্চিত্রটি দর্শকদের জন্য খুবই আকর্ষনীয় হবে বলে বিশ্বাস করি। ’ চলচ্চিত্রটিতে অসংখ্য খোলামেলা দৃশ্য আছে বলে জানান পরিচালক। তবে এ নিয়ে তার যুক্তিও আছে।

তিনি বলেন, ‘আমার ছবি বেশ্যাদের নিয়ে গল্প বলে, খোলামেলা দৃশ্য তো থাকবেই। এটা তো ছবির অংশ। আলাদা কিছু নয়। ’ এ জলবেশ্যাদের নিয়েই কবি আল মাহমুদ লিখেছেন ছোট গল্প ‘জলবেশ্যা’। গল্পটি নিয়ে সম্প্রতি কলকাতায় নির্মাণ করা হয়েছে চলচ্চিত্র।

এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুই বাংলার চিত্রনায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবিটির নাম দেয়া হয়েছে ‘টান’। আগামী জানুয়ারিতেই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে জলবেশ্যার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও দেবলীনা চক্রবর্তী। দু’জনকেই বেশ খোলামেলা দৃশ্যে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।

জানা যায়, চলচ্চিত্রটির কিছু অংশের শ্যুটিং সুন্দরবনে হয়েছে। আর বেশিরভাগ অংশের শ্যুটিং হয়েছে কলকাতার বাইপাসের পাশে এক ভেরিতে। সেখানেই তৈরি হয়েছে জলবেশ্যাদের ভাসমান বেশ্যাপল্লী। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবলীনা চক্রবর্তী ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ এক জলদস্যুর চরিত্রে দেখা যাবে রাজেশ শর্মাকে। রয়েছে নতুন কিছু মুখও।

ভারতের পেপারে আল মাহমুদের নাম না দেখে আমি হতাশ । জল আর যৌবন টান আরও ছবি ও লেখা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।