এই কুহিলীকার কুহু কুহু তানে
মুগ্ধ করেছিল আমার শীতের আম্রকানন
আমি এই মৌ এর গুঞ্জনে তীব্র এক সহনশীলতার
আবেশ নিয়ে শীতের এক রুদেলা প্রহর পারি দিয়েছিলাম
শীতের রাতে নীয়ন বাতি কে ঘিরে যে কোয়াশার খেলা
আমি হয়তো দেখেছি তোমার লোকানোর মতো
যেমনি পথ শেষে তুমি মিলে যেতে নদীর মতো দূরের কোন সীমানা পেড়িয়ে
বহতা নদীর বহমান ধারা বহিয়া চলে
আবার শীত আসবে কুহিলীকারা গাইবে
মৌ গুন গুনাবে
আমি তোমার আচলে গোচাবো
সকাল হয়ে যাবে।
কম্বল কিংবা লেপে মোরানো থেকে দেখটাকে বের করার অলসটা হয়তো কেটে যাবে ততদিনে
তুমার আচলের তাপ
আমাকে উদ্দ্বেলিত করবে
এবার আম্রমুকুল গুলোও বেশ
মোহিনির সুবাসে উদ্বেলিত বাতাস
আকাশও নম্র কিরণ বহন করে
শুধু বাতাশে হিম
কন কনে শীত চাঁদর মোড়াতে চাই,
শীতের তীব্রতা দাঁতে দাঁতে কংকন
ষ্টেশনের বাতি গুলো সোডিয়াম ফুরাই গেছে
আবছা অন্ধকারে যে শীশুটি দেখছি
তার গায়ে চাঁদর নেই,নেই জেকেট কিংবা উলের গরম কাপর
শুধুই একটা ছেড়া গেঞ্জি
হাত পেতে ২ টি টাকা ভিকছে
রাতের খাবার খাবে বলে
শীতের কোন পরোয়া নেই তার
শীত যেন পতিবার শখতা নিয়ে এসে
কাপিয়ে দিয়ে যায়
শহরের সমাজপতি বা পয়সাওয়ালারা
ভোটের প্রতিযোগিতায় জিতার জন্য
টিভি নামক রুপক স্বপ্নের ম্যাসিনটাতে
ভীড় করবে নিজের চেহেরা প্রদর্শনে
দানবির টাইটেল কেনার বাজারে
দু' চারটা গরম কাপর গরীবদের দিতে দেখে এই শীশুটিও হয়তো
এগিয়ে গিয়েছিল
এত গরীবের ভীরে পদদলিত হওয়ার ভয়ে ফিরে এসেছে হালি হাতে
তাই ছেড়া গেঞ্জিই পরি শুধু রাতে খাবার টা হলেই আজ
একটা স্বপ্নভোর ঘুম হতো
যদিও ষ্টেশনের ছাউনির নিচে এই ময়লা ফ্লোরই হবে বিছানা
তাতে কি মরার পরত মাটিই হবে বিছানা ।
আমি ভাবি ;
আমার কি করনীয়
আগামী বার তার দেখা মিললে
গায়ের জেকেটটা তাকে দিয়ে দিব
কিন্তু তাকে আর কি মিলবে
তাকে আর পাইনি কোনদিন
আরেক জন
এমন করে প্রতি দিনই হারিয়ে যাচ্ছি
এই অচেনা শীশুদের
যারা জানেনা তার কার
যারা বুঝেনা শীত গরমের তারতম্য
তাদের জন্য শীত, বসন্ত কি হেমন্ত।
আমিত রুপাকে হারিয়ে শীত, বসন্ত হেমন্ত চিনে গেছি
তাদের হারানো কতটুকু
তাদের আবার জীবন
বেচেঁ থাকার আয়োজন সবতো অবিজাত্য জনতার
যারা রাজনীতির হলি খেলতে জানেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।