বছর শেষ হওয়া মানেই পরীক্ষার ধুম পড়ে যাওয়া। স্কুলে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিকেই শুরু হয় ভর্তি উৎসব। কচিকাঁচাদের কাছে অবশ্য এই উৎসবের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বছর শেষে আসা কয়টা দিন, স্কুল বন্ধের দিন। কিন্তু সেদিকে তাকিয়ে থাকলে তো চলবে না, উৎসবে তো কাউকে না কাউকে শামিল হতে হবে। সে জন্যই কিনা কে জানে নতুন স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করানো নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দেন অভিভাবকরা।
বাবা-মায়েদের সম্মিলিত দৌড়ঝাঁপ নিয়েই ভর্তি উৎসবের পূর্ণমাত্রা পাওয়া। এই দৌড়াদৌড়ির মধ্যে অহেতুক জড়িয়ে যায় কচি কচি পোলাপানগুলো। ভবিষ্যতের ঝকঝকা দিনের দিকে তাকিয়ে এই দৌড়াদৌড়ি নিয়ে কম হল্লা হয় না। শুরুতে থাকে ভর্তি ফরম কেনার উৎসব। তার পাশাপাশি আবডালে চলে ভর্তি কোচিং।
লিখিত পরীক্ষার পেরেশানি যতটুকু সম্ভব কমিয়ে এখন মৌখিক পরীক্ষার দিকে ঝুঁকেছে এ উৎসব। অনেক অভিভাবকই এই ভেবে পেরেশান হন_ মৌখিক পরীক্ষায় কী প্রশ্ন করবেন কর্তৃপক্ষ? শুরু হয় আবার মৌখিক পরীক্ষার জন্য দৌড়ঝাঁপ। বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি থেকে শুরু করে বিসিএস ভর্তি গাইড থেকেও প্রযোজনীয় দুয়েকটা সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন শিখিয়ে রাখা যেতে পারে। কে জানে জ্ঞানার্জনে তো ক্ষতি নেই। ওই যে একটা কথা আছে না- যদি লাইগা যায়! লাইগা গেলে তো গেলই না গেলে 'যদি'র মুখোমুখি হতে চায় না কেউ।
ভর্তির গ্যারান্টি না পাওয়া পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ চলতে থাকে। এই স্কুলে না হলে ওই স্কুলে, ওই স্কুলে না হলে সেই স্কুলের দিকে নজর রাখা হয়। ফাঁকতালে বাটে পড়ে অবুঝ সন্তানরা। ভর্তি নিয়ে এই দৌড়ঝাঁপে তাদের হয়রান হলে চলবে না। কারণ তারাও তো দেখে অভিভাবকরা কীভাবে ছুটছে।
এ ছোটাছুটি ভর্তি হওয়া অবধি চললে না হয় এককথা ছিল। সারা বছর তোতাপাখির ট্রেনিং পাওয়া ছেলেপেলেদের সঙ্গে বাবা-মায়েরাও কি কম টেনশনে থাকেন? থাকেন না। তাই তো বইয়ের বোঝা নিয়ে তাদেরও ছুটতে হয় স্কুলের দিকে। সন্তানের পাশাপাশি যদি তারাও কিছু শিখে ফেলেন তাহলে তো মন্দ হয় না। এক ঢিলে দুই পাখি শিকার বলা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।