আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছয় খুন: ২ দিনেও গ্রেপ্তার নেই

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সোমবার নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার ‘মোটিভ’ সম্পর্কেও তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।
তবে সম্ভাব্য কয়েকটি ‘ধারণা’ সামনে রেখে গোয়েন্দাদের তিনটি দল চাঞ্চল্যকার এ হতাকাণ্ডের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।   
পুলিশের ধারণা, ধর্মীয় আদর্শগত বিরোধ অথবা পুরনো শত্রুতা থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে। অবশ্য পরিবারের সদস্যদের ধারণা, এটা জঙ্গিবাদী এবং উগ্রপন্থীদের কাজ।
শনিবার সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশন রোডের ৬৪/৬ নম্বরে চার তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।


পুলিশ বলছে, হত্যাকারীরা মুরিদ সেজে ওই বাসায় ঢোকে এবং কথিত পীর লুৎফর রহমান ফারুক,  তার ছেলে সারোয়ার ইসলাম  ফারুক ওরফে মনির,  পীরের খাদেম মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মুরিদ মো. শাহিন, রাসেল ও মুজিবুল সরকারকে গলা কেটে হত্যা করে।
যুগ্ম কমিশনার মনিরুল এর আগে বলেছিলেন, ওই হত্যাকাণ্ডে ১০ থেকে ১২ জন অংশ নিয়েছিল বলে তারা ধারণা করছেন। তবে সোমবার তিনি বলেন, অন্তত ৮ জন এই হত্যায় জড়িত ছিল বলে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করে ওয়ারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন লুৎফরের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক। মামলাটি তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশে।


পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, লুৎফর কখনো নিজেকে ইমাম মাহাদী, আবার কখনো তার প্রধান সেনাপতি বলে দাবি করতেন। তিনি ও তার অনুসারীরা ধর্ম পালন করতেন ‘নিজস্ব নিয়মে’।
ওই বাসা থেকে ‘কিছু জিনিস’ খোয়া গেলেও এ ঘটনাকে ডাকাতি বলে মনে করছে না পুলিশ।
ঘটনার পর ওই বাড়ির আশেপাশের এলাকা থেকে ছয় জনকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
লুৎফরের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের চর বরুরি গ্রামে।

তার ছেলে সারোয়ার ইসলাম সিটি ব্যাংকের সদরঘাট শাখায় কর্মরত ছিলেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
 

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।