আগামী বছর জাতিসংঘের অধিবেশনে ভারত কে শান্তি পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ দেয়া হবে কি না এই নিয়ে ভোটাভুটি হবে! এই সময় বাংলাদেশের একটা ভোট ভারতের জন্যে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ! আর বাংলাদেশের কোন দেশপ্রেমিক সরকারপ্রধান সেটা দেবে না, এমন কি বি এন পিও যে সেটা দেবে না এটা নিশ্চিত! ভারতের রাষ্ট্রপতি যখন এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে বাংলাদেশে এসেছিলো তখন খালেদা জিয়া তার সাথে দেখা করেননি (যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে) শুধু মাত্র এই কারনেই! কেননা খালেদা সরাসরি এই বিষয়ে অস্বীকৃতি জানাতে চাননি... কিন্তু ভারত ঠিক-ই তার মনোভাব বুঝে গিয়েছিলো!
কোন কিছু পরোয়া না করেই হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে! নিজস্ব লোকজন বসিয়ে আর বেতন বাড়িয়ে দিয়ে আমলাতন্ত্র হাতে রেখেছে, পুলিশ হাতে রেখেছে, র্যাব হাতে রেখেছে ! ডিভশন র্যাংক আর বরাদ্দ বাড়িয়ে হাতে রেখেছে বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে ... বড় অংকের টাকা খাইয়ে, সুযোগসুবিধা দিয়ে ও প্রয়োজনে ব্লাকমেইল করে হলেও হাত করে নিয়েছে মিডিয়াকে ...
নির্লজ্জ ভাবে নির্বাচন ডাকাতি হচ্ছে ,আন্দোলনকারীদের মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি ছোঁড়া হচ্ছে যা কোনপ্রকার মানবতার পর্যায়ে পরেনা ... একটু দুর্বল রাজনীতিবিদদের কিনে ফেলা হয়েছে ও হচ্ছে ... যাদের কেনা যাচ্ছে না তাদের অনেক কেই অনেক রকম চাপ তৈরি করে আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে ... আর বাকিদের গ্রেফতার, গুম ও হত্যা করা হচ্ছে ...... এসব দেখে জনগন আতঙ্কিত হচ্ছে... আর বেশী বেশী খোলসে ঢুকে যাচ্ছে... ভেতরে ভেতরে ডুকরে কাঁদছে ... বউ পেটাচ্ছে ... টিভি ভাঙছে এবং এক পর্যায়ে হতদ্যোম হয়ে মুষড়ে পরছে ... উৎফুল্ল কর্ম তৎপর মানুষ গুলো দিগভ্রান্ত ঘর কুনো হয়ে যাচ্ছে...
স্পষ্টতই এভাবে আর সুস্থ আন্দোলন চালানো সম্ভব নয়! কোন ভাবেই আর সুস্থ আন্দোলোন চানালো সম্ভব নয় ...
এই ভাবে একদিন খালেদা জিয়াকেও কে ধরে ফেলা হবে ... তার বলা হবে গ্রেফতার কিংবা আটক নয় আসলে উনি অসুস্থ ... চিকিৎসার জন্যে হাঁসপাতালে নেয়া হয়েছে ... ... তার পর এথ্রাইটিসের উন্নত চিকিৎসার জন্যে প্রাইভেট বিমানে লন্ডন পাঠানো হবে... জয় বাংলার মিছিল হবে !
অনিয়ন্ত্রিত দিগভ্রান্ত ঘর কুনোরা আর কোন আশা দেখবে না, ভরসা খুজে পাবে না ... আন্দোলন বলতে আর কিছু থাকবে-ই না ... দিগভ্রান্ত ঘর কুনো মানুষেরা কেউ কেউ উন্মাদ হয়ে যাবে, কেউ কেউ করবে আত্নহত্যা ... ইতিমধ্যে বাংলাদেশে কয়কেটি বড় আকারের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে দিগভ্রান্ত ঘরকুনো মানুষের সংখ্যা আরো বাড়বে ... আরো বাড়বে ... বেড়েই চলবে ...
ইতিমধ্যে সামান্য ভোটের ব্যবধানে জাতিসংঘের শান্তিপরিষদের স্থায়ী পদ পেয়ে যাবে ভারত ... এবার গনজাগরন মঞ্চের উচ্ছ্বাসিত বিবৃতি আর চেতনার উন্মাদনায় মুহুর্মুহু উচ্চারিত হবে ...... জয় বাংলা ... জয় বাংলা ( দুই এক জন আবার আরো আস্তে ও কেউ কেউ জোড়ে চেতনার চিৎকারে বলে উঠবে বন্দে মাতরম)
দিগভ্রান্ত মানুষ গুলোর কিছু করার নাই! কিছু করার নাই???
সুযোগ বুঝে কে বা কাহারা ডাক দিয়ে নিয়ে যাবে একজন দুই জন ... একজন দুই জন ...
সে এক অন্যরকম উত্তাপ ... বারুদ আর লোহার ঝন ঝনে কেউ কেউ খুজে পাবে উত্তাল স্রোত আর মুক্তির দর্শন ... গেরিলার দল গুলো প্রথম প্রথম নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিবে নোয়াখালি, রংপুর কিংবা নড়াইল ... কেউ কেউ বলে উঠবে মৌলবাদ, হায় দেশ গেলো, মিডিয়া তে রব উঠে যাবে জঙ্গি... জঙ্গি ... এক সমস্য সুস্পষ্ট গৃহযুদ্ধ ...
আবার গড়ে উঠবে প্যারামিলিটারী মিলিশিয়া বাহিনী ...... সাথে আছে যৌথ বাহিনী ... সেঞ্চুরি মানিক হবেন প্যারামিলিটারী মিলিশিয়া বাহিনির সভাপতি আর দিদারুল আলম মাসুম সাধারন সম্পাদক ... জয় বাংলা ...... বন্দে মাতরম !
এখন ভারত সুপার পাওয়ার ... শান্তি পরিষদের নব্য স্থায়ী সদস্য... আর প্রতিবেশি দেশে চলছে মারাত্মক গৃহযুদ্ধ ... কে ঠেকায়? কে? তার সাথে আরো আছে নাসিরুদ্দিন, ইমরান আর বাপ্পাদিত্য... স্লোগান উঠবে শাহবাগে... বন্দে মাতম... চেতনার মাথা গরম ... নান্না বিরিয়ানী গরম, লাকি, শাম্মি আর ফাল্গুনি গরম !!!
আরেকবার গঠিত হবে মিত্র বাহিনী ...!!! বন্দে মাতরম হয়ে যাবে জয় হিন্দ !
শুরু হবে জয় হিন্দ এর সাথে এক দুর্ভাগা জাতীয়তাবাদের যুদ্ধ ...!!!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।