আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪৫০ আলোকবর্ষ দুরের গ্রহ।

মহাজাগতিক ধূলিকনা,আর দূরবর্তী নক্ষত্রের আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা গাসের সমন্ময়ে একটি নতুন গ্রহ সৃস্টির প্রাথমিক অবস্থার ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে জ্যোতির্বিদরা। ছবি তোলার এই কাজে তারা ব্যাবহার করেছে সমুদ্র পৃস্ট থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মিটার উঁচুতে আন্দিজ পর্বতে স্থাপিত, আ্যটাকামা সাবমিলিমিটার আ্যরে বা ALMA দূরবীন,ব্যাবহার করে বিজ্ঞানীরা গ্রহটির প্রথম ছবি তোলে। এই গ্রহটি নতুন একটি নবজাতক তারকা যার নাম এইচডি-১৪২৫২৭ এর চারিপাশের মহাজাগতিক বস্তুকনাগুলোকে সংযুক্ত করছে। এই নক্ষত্রটি লুপাস তারা মন্ডলের পাশে অবস্থিত। গ্রহ সৃস্টির এই ছবি দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ভালো একটা ধারনা পাবেন,এই যে আমাদের সৌ্রজগতের সবচেয়ে বড় দুটি গ্যাসীয় গ্রহ শনি এবং বৃহস্পতি কি ভাবে সৃস্টি হয়েছে সেই সর্ম্পকে।

কারন নতুন এই গ্রহটিও এই দুটি গ্রহের মত গ্যাসীয় গ্রহ। এক কথায় জ্যোতির্বিদদের কাছে এটি "গ্যাস দৈত্য" গ্রহ জন্মের হিসাবে এটা নতুন একটি দৃষ্টিকোণ অর্জন করেছেন। পৃথিবী থেকে এই নক্ষত্রটির দূরত্ত ৪৫০ আলোকবর্ষ (এক আলোকবর্ষ= ৫,৮৭৮,০০০,০০০,০০০ মাইল, ৯,৪৫৭,৭০২,০০০,০০০ কিঃমিঃ)। বিজ্ঞানীদের ধারনা এই গ্যাস এবং ধূলিকনার যে বৃত্ত এই নক্ষত্রের চারিপাশে দেখা যাচ্ছে তা লক্ষ বছর আগে জমা হওয়া শুরু হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর আগে গ্রহ সৃস্টির আভাস পেয়েছেন কিন্তু এই প্রথমবার তারা সরাসরি এই দৃশ্য দেখতে পারছেন।

চিলির জ্যোতির্বিজ্ঞানী সাইমন কাসাসসুস। যিনি এই গবেষনার নেতৃত্বে আছেন সে ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স রেকর্ডারকে জানান। এই গ্রহটির বাইরের চাকতির আকারে কিছু গ্যাস বলয়ের আকারে ধরে রেখেছে,সেই সাথে গ্রহটির ভিতরে চাকতিটি গ্যাসের মাধ্যমে আস্তে আস্তে ফুলে উঠছে। আর এই গ্যাসের বেশিরভাগই এসেছে নক্ষত্রটি তৈরী হবার পড়ে এর অবশিস্ট গ্যাস থেকে। এই গ্রহটি সর্ম্পকে আরো খবর জানতে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

ছবি গুগল।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।