আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি আর কি খয়েছেি ! খয়েছেে আমার ময়িা ভাই, সে গরুর গাড়ীতে আসছে ।



নিমন্ত্রন খেতে গিয়ে দুভাই এত বেশী খেয়েছে যে বড় ভাই খাওয়ার আসন ছেড়ে উঠতে পারেনি,খাওয়ার আসনেই শুয়ে পড়েছে । দুজন নিকটাত্মীয় ছোট ভাইয়ের দুবাহু তাদের নিজেদের কাধে নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো। পথে লোকজন দেখছে একজন সুস্থ্য সবল মানুষ অন্যদুজন মানুষের কাধে ভর করে উসখুস করতে করতে যাচ্ছে। পথচারী একজন জিজ্ঞাসা করলো ভাই কি হয়েছে আপনার ? অন্যের কাধে ভর করে এমন উুহ আহ করে চলছেন কেনো ? দুজন নিকটাত্মীয়ের একজন বললেন,ভাই নিমন্ত্রন খেতে গিয়ে একটু বেশী খেয়ে ফেলেছেন তাই এ অবস্থা । পথচারী বললেন একটু রয়ে সয়ে খেলে হয়, এত খাওয়ার দরকার কি ? জবাবে ছোট ভাই বললেন আমি আর কি খেয়েছি ! খেয়েছে আমার মিয়া ভাই, খাওয়ার আসন ছেড়ে উঠতে পারেনি,খাওয়ার আসনেই শুয়ে পড়েছে, সে গরুর গাড়ীতে আসছে।

গরীব মানুষের পক্ষের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অল্পকজন নেতাদের সামন্য সম্পদের বিবরন দেখে আমরা অবাক হচ্ছি এরা এত সম্পদের মালিক ! বি এন পি নেতাদের সম্পদের পরিমান,জাতীয় পর্টির নেতাদের সম্পদের পরিমান,জামায়াতের নেতাদের সম্পদের পরিমান,হিন্দুদের ইন্ডিয়ায় পাচার করা সম্পদের পরিমান এত যে গরুর গাড়ীতেও হবেনা। অসৎ রাজনীতিক আমলা ব্যবসায়ী শিল্পপতিরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে , আইন করে সাদা বানিয়ে ব্যাক্তি সম্পদ বৃদ্ধি করেছেন আর মুল্যবোধ গড়ে তুলেছেন টাকার মালিক হওয়া অহংকারের,গর্বের। গরীব হওয়া লজ্জার,অপমানের,উপহাসের ! এ মুল্যবোধ এর উৎপত্তিস্থল সময় প্রকৃতি থেকে সম্পদের ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃতির শুরু থেকেই। গরীবরা গরীব হয়েও দু:খ কষ্ট ভুলে বড়লোকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় এ মুল্যবোধও এর অংশ। অথচ এখনও দেশের বেশীরভাগ মানুষ বস্তি ফুটপাত আর গ্রামের জীর্ণশীর্ণ ঘরে কষ্টকর নিষ্ঠুর অনিশ্চয়তায় অমানবিক জীবন যাপন করে।

শ্রমিকের ন্যুনতম মজুরী আট হাজার দুরে থাক পাচ হাজার তিনশো হতেই কত মৃত্যু কত ধ্বংস । প্রত্যেক পরিবারকে মাসে দশ হাজর টাকা ভাতা দাবী সেখানে বেমানান ? ! বাংলাদেশে গড়ে প্রতি পরিবারে পাচজন করে মোট প্রায় তিন কোটি পরিবার। যার মধ্যে শতকোটি টাকার মালিকের সংখ্যা ও তাদের মোট সম্পদের পরিমানের দিন দিন বৃদ্ধির যে অনুপাত, আর বিদেশী ঋণের সমস্ত ভার, তা শোধ করছে সকল মানুষ। বিদেশী ঋণের সুবিধাভোগী মুষ্টিমেয় রাজনীতিক আমলা ব্যবসায়ী শিল্পপতি। লক্ষকোটি ডলারের বিদেশী ঋণী প্রকল্পের জন্য মুষ্টিমেয় রাজনীতিক আমলা ব্যবসায়ী শিল্পপতির হানাহানির স্বীকার হচ্ছে সকল মানুষ।

সুবিধা ভোগ করবে মুষ্টিমেয় রাজনীতিক আমলা ব্যবসায়ী শিল্পপতি, আর ঋণ শোধ করতে হবে সকল মানুষের ! কষ্ট ভোগ করতে হবে সকল মানুষের ! ব্যাক্তি মালিকানা সম্পদের সীমাবদ্ধ আইনই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে লোভাতুর রাজনীতির পরিবর্তে বেশীরভাগ মানুষের কল্যানের রাজনীতি প্রচলন শুরু হতে পারে। এত অশান্তি,এত মৃত্যু তা শুধু মুষ্টিমেয় ধনী বড়লোকের সম্পদ আর ক্ষমতার মোহের কারণে। অবশ্যই আইন হতে হবে যে আপনারা যতখুশী রাজনীতি করুন,কিন্তু একটা নির্দিষ্ট পরিমানের বেশী সম্পদের মালিক হতে পারবেননা,আপনারা যত খুশী ঘুষ দুর্নীতি করুন কিন্তু— একটা নির্দিষ্ট পরিমানের বেশী সম্পদের মালিক হতে পারবেননা,এবং যেকোন বৈদেশিক চুক্তি স্বাক্ষরের আগে অবশ্যই জনমত যাচাই করতে হবে এবং কোনভাবেই দেশবিরোধী চুক্তি করা যাবেনা। ভোটের নাম করে জনগনের নাম ভাংগিয়ে সীমাহীন সম্পদের মালিক হবেন আর বেশীরভাগ মানুষ বরাবরই বঞ্চিত হবে তা হতে পারেনা। মানুষকে কতদিন ধোকাবাজীর মধ্যে রাখবেন।

দিনের আলোর মত সকল মানুষের কাছে আপনাদের লোভাতুর রাজনীতির রূপ স্পষ্ঠ হচ্ছে। আর কত ধন সম্পদের মালিক হলে আপনারা এই হানাহানি বন্ধ করবেন । ৪২ বছরেও আপনারা বস্তি ফুটপাত আর গ্রামের জীর্ণ শীর্ণ ঘরে বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্যকর ঘর ,স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন,সুপেয় পানি,স্বল্প মুল্যে সুচিকিৎসা,বিনা মুল্যে উচ্চ শিক্ষা কিছুই দিতে পারেন নাই। আপনারা দিয়েছেন কষ্টকর নিষ্ঠুর অনিশ্চয়তার জীবন। প্রচন্ড অভাবের মানসিক যন্ত্রনা আর লুটপাট করে,কালোকে সাদা করে মেয়ের হাত খরচ মাসে দশ লক্ষ দিয়ে বিলাসী জীবনের কোন তফাৎ আপনাদের কাছে নেই।

আরো ও কত টাকা কড়ি ধন সম্পদ চাই আপনাদের ! শুধু নিজেদের টাকা কড়ি ধন সম্পদ বৃদ্ধির রাজনীতি তা সকল মনুষের রাজনীতি নয়,অবশ্যই তা দেশের শতকরা ২০ ভাগ মানুষ নামের অমানুষের রাজনীতি। ধোকাবাজির রাজনীতি অব্যাহত রাখতে চাইলে আপনাদের বলতেই হবে গরীবের ভালো করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা শুধু গরীবকে শোষন আর নির্যাতন করতে পারি। গরীবের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ধনী বড়লোকের ধন সম্পদ রক্ষা ও বৃদ্ধিতে আইন পাশ করি,দেশ বিরোধী চুক্তি করি। অন্যথায় সাদাকে সাদা বলুন যা সত্য ।

সুবিধামত কাটাছেড়া করে সংবিধানকে যেভাবে শুধু নিজেদের করেছেন তা আর করবেননা। সংবিধানে বেশীরভাগ মানুষের জন্য অর্ন্তভুক্ত করুন যে বস্তি ফুটপাত আর গ্রামের জীর্ণশীর্ন ঘরে বসবাসকারী সকল মানুষের পাকাঘর স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ,সুপেয় পানি সরবরাহও প্রত্যেক পরিবারকে মাসে দশ হাজর টাকা ভাতা এবং নিরাপত্তা প্রদান হবে রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য। মন্ত্রী এম পি বড় আমলাদের শপথ নিতে হবে যে,” আমি মন্ত্রী হবো কিন্তু টাকার মালিক হবো না,আমি এম পি হবো কিন্তু টাকার মালিক হবো না,আমি বড় আমলা হবো কিন্তু টাকার মালিক হবো না,আরো ও শপথ নিতে হবে রাজনীতিকে রোজগেরে পেশা বানাবো না,রাষ্ট্রীয় সম্পদ আইন করে সাদা বানিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়বো না। তাই হবে সত্যিকার কল্যাণের রাজনীতি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।