লেখাটা আমার এক বড় ভাইয়ের লেখা-
একজন আমাকে প্রশ্ন করেছেন, ২৯ ডিসেম্বর বিএনপি'র 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'তে বিএনপি কোন পতাকা নিয়া আসবো? চান-তারা পতাকা নাকি!! আই মিন পাকিস্তানের পতাকা নাকি! প্রশ্নের জবাবটা নানাভাবেই দেয়া যায়। তবে আজ হঠাৎ এই বিষয়ে আমার নিজস্ব কিছু ভাবনা ব্যাখ্যার তাগিদ বোধ করছি। আশা করছি, এই ভাবনা কারো সাথেই মিলে যাবে না। সুতরাং আমরা যেহেতু গণতন্ত্রে প্রবলভাবে বিশ্বাসী, সেহেতু অবশ্যই যাদের সাথে মিলে যাবে না, তাঁরা ইচ্ছেমত গালাগালি করতে পারেন। আর যাদের সাথে এই ভাবনা মিলে যাবে, তাদের বলছি, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, অনভিপ্রেত কাকতালমাত্র।
(দয়া করে আবার বইলেন না, কাকাতাল কেন, কেন বকতাল কিংবা টিয়াতাল না)
আমি চিরকালের বিরোধীদল।
গত বিএনপি সরকারের আমলের বছর তিনেকের মধ্যে খালি আল্লাহ আল্লাহ করতাম, কবে এই টার্ম শেষ হইব! কবে ইলেকশন হইব!! মনে আছে, তারেক রহমানের কর্মকাণ্ড নিয়া এক ধরনের দমবন্ধ ফিলিং হইত। তখনকার আলতাফ, বাবর, হারিস চৌধুরীদের কথা মনে পড়ে। মনে হইত দেশে শ্বাস নেয়ার মতন পরিস্থিতি পর্যন্ত নাই!চারপাশ থেকে কণ্ঠনালী চেপে ধরা হয়েছে, যাতে কথা বলতে না পারি। শ্বাস নালী চেপে ধরা হয়েছে যাতে শ্বাস নিতে না পারি!
নিজামী আর মুজাহিদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা দেখলে দম বন্ধ হয়ে আসতো।
মনে হতো স্বাধীন দেশের বাতাসে বিষ, নিঃশ্বাস নিতে পারতেছি না। মুজাহিদ যেইদিন বলছিল, দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই, সেইদিন অক্ষম আক্রোশে চিৎকার করেছিলাম। মনে আছে, আমার এক ফ্রেন্ড, মহিবুল, বর্তমানে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে পাশ করেছে, তখন ও সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করতো, ওর কাছে আমি আর আমার বিশ্ববদ্যালয়ের এক বন্ধু 'আলোকা' মিলে গিয়েছিলাম, যুদ্ধাপরাধিদের বিরুদ্ধে কিভাবে মামলা করা যায় তার প্রক্রিয়া জানতে। গিয়ে শুনি, এটা ব্যাক্তির না, রাষ্ট্রের এখতিয়ার। আমার চারপাশের লোকজন তখন আমারে কইত, আমি নাকি আওয়ামিলীগ! কট্টর আওয়ামীলীগ।
তো সেই কট্টর আওয়ামীলীগ আমি এখন আবার আমার চারপাশের লোকজনের কাছে কট্টর আওয়ামী বিরোধী। গতকাল কি এক পোস্ট লিখলাম, দেখি সেইটার নিচে কেউ কেউ ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে 'ছাগু' বলারও চেষ্টা করছে! তো এ নিয়ে আমার আপত্তি নাই। রক্তগরম নব প্রজন্মের চিন্তা আর চেতনার ধরন আর ভাষা খানিকটা হইলেওতো বুঝি। আমিও বাঙালী, নানান হুজুগে আমিও লাফাই, তারাও লাফাবে, এইটাই স্বাভাবিক। বাঙালী খুব কমই মাথা দিয়া চিন্তা করছে।
হুজুগে বাঙালী শব্দতো আর এমনে এমনে চালু হয় নাই। তো হুজুগে লাফানো চলতে থাকুক। আমিও লাফাইতে থাকি।
লাফানো শুরু করলাম শাহবাগ নিয়া। লাফাইতে গিয়া একসময় ক্লান্ত হয়ে গেলাম! ক্লান্ত হয়ে চুপচাপ ঘুমাইয়া পড়লাম।
অনেক কিছু না বোঝা ভালো। তাই সব বুঝ বাদ দিলাম। হয়ে গেলাম দ্বিপদী তৃণভোজী চতুস্পদ! সেই থেকে রাজনীতির মতন বিষয় নিয়ে কথা বলতে প্রবল অনাগ্রহ বোধ করি। এই প্রবল অনাগ্রহের পেছনে রয়েছে, একদল রক্তগরম চেতনার নতুন প্রজন্ম। আর তাদের পিঠ চাপড়ে উদ্দেশ্য হাসিল করা ধুরন্ধর এক পরগাছা বুদ্ধিজীবীশ্রেণী।
তেনারা ডিফাইন করে দেন। হোয়াট ইজ হোয়াট? মানে, কি হইলো কি? তেনারা এই রক্ত গরম চেতনাকে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করলেন যে, দেশের সমগ্র তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব দিচ্ছে এরা। এরা যা ভাবছে, বাকীরাও তাই ভাবছে, ভাবতে বাধ্য, গনতান্ত্রিক চেতনার দেশ বলে কথা! এদের বাইরে যারা ভাবছে তারা আসলে পথভ্রষ্ট। এই নির্মাণ প্রক্রিয়া নতুন কিছু না, এ দেখে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, এ চলে এসেছে, চলছে, চলতেই থাকবে!
শুরু হোল, থাবড়া দিয়া মুখ বন্ধ করে দেওয়া। তোমাকে আমার মত করেই চিন্তা কোর্টে হবে, না হইলেই তুমি অমুক।
তুমি এই বলতে পারবা না, সেই বলতে পারবা না। মজার ব্যাপার হইতেছে, আপনে গায়ের জোরে, কিংবা নির্দিষ্ট লেবেল সেঁটে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কারো মুখ বন্ধ করতে পারেন, কলম বন্ধ করতে পারেন, চিন্তা বন্ধ করতে পারেন না। বরং আপনার অমন মানসিকতা তৈরি করে নতুন ক্ষোভ, নতুন বিভাজন। এই বিভাজনটা দীরঘমেয়াদে ভয়ংকররকম ক্ষতিকর! আপনি যতই আপনার ভাবনাকেই একমাত্র সঠিক মনে করে খুঁটা গেঁড়ে দেন না কেন, মনে রাখবেন এই খুঁটা গেঁড়ে বাদবাকী ভাবনাকে লোক করে দেয়াটা ক্ষতিকর, বিশাল ক্ষতিকর! কিংবা দ্যা ওয়ে ইউ আর রিয়াক্তিং ক্যান মেক অ্যা হিডেন এক্সপ্লোশন টু সাম আদার'স মাইন্ড, এন্ড ডোন্ট ইগ্নোর দ্যাট!
বাট সেটা এতো বড় দাগে, এতো কট্টরপন্থায়, এতো স্বৈরাচারী মানসিকতায় আপনারা করেছেন যে, যে নতুন প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে একটা দীর্ঘসময়ের চেষ্টায় একতাবদ্ধ হয়েছিল, তাকে আপনারা মাত্র কয়েকমাসে ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে দিয়েছেন। এই বিভাজনের ফলাফল আমাদের দীর্ঘদিন বইতে হবে, কিন্তু এর দায় কে নেবে? আপনি? জানি নেবেন না।
আপনাদের দৌর ওই রক্তগরম চেতনা পর্যন্তই।
এখন আপনারা সেই বিভক্তির প্ররোচকগুলোকে ব্যাবহার করছেন সবক্ষেত্রেই। এমনকি তা ব্যাবহার করছেন সরকারের সকল ধরনের খামখেয়ালীপনাকে বৈধতা দিতেও। যখনই সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দল কোন ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করবে, তখনই আপনাদের সেই এক রা, বিরোধীদল হরতাল দিলেও সেই এক রা, অবরোধ দিলেও সেই এক রা! তাহলে বিরোধীদল কি করবে? মেনে নেবে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন? ইজ ইট ইওর স্ট্যান্স?
দ্রব্যমুল্য বাড়ছে? আপনে কথা বলতে পারবেন না, তাইলেই আপনে ছাগু, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য এসিসব বলতেছেন, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়া কথা বলবেন, ট্রানজিট নিয়া কথা বলবেন, টিপাইমুখ নিয়া কথা বলবেন, সুন্দরবনে ইন্ডিয়ান তাপবিদ্যুতকেন্দ্র নিয়া কথা বলবেন, সাগর-রুনি নিয়া কথা বলবেন, তত্ববধায়ক নিয়া কথা বলবেন... আন্দোলন করবেন! নেভার। বিকজ এইসবই বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র! কি অদ্ভুত!!
নির্বাচনী হলফনামায় আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের সম্পদের সোয়াদুই হাজারগুণ পর্যন্ত সম্পদবৃদ্ধির হিসাব প্রকাশ করছে নির্বাচন কমিশন! শালা রাজাকার! সকলি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র!
একটা গল্প বলি, একলোক প্রতিবেশীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঋণ করেও দীর্ঘদিন ধরে তা ফেরত দিচ্ছে না।
অনেক চেষ্টার পরেও টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতিবেশী দিল মামলা ঠুকে। তো বাড়িতে যখন পুলিশ গিয়ে কোমড়ে দড়ি লাগিয়ে থানা হাজতে নিয়ে গেল তখন টনক নড়লো তার। মামলা জিততে উকিল ঠিক করলো সে। উকিল তাকে শিখিয়ে দিলো, কাঠগড়ায় প্রতিপক্ষের উকিল যখন ঋণের টাকা সম্পর্কে বা যেকোন বিষয়ে প্রশ্ন করবে সে যেন তখন উত্তরে কেবল অদ্ভূত একটা শব্দ করে “হুউমমম”।
এই একটা মাত্র শব্দ ছাড়া আর কোন কথা যেন সে না বলে।
তো নির্দিষ্ট দিনে আদালতে প্রতিপক্ষের উকিল যখন তাকে প্রশ্ন করা শুরু করলো, সে তখন প্রতি প্রশ্নের উত্তÍরে আজগুবি উচ্চারণে শব্দ করে “হুউমমম”।
শেষ পর্যন্ত আদালত তাকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হিসেবে রায় দিয়ে ঋণের মামলা থেকে মুক্তি দিলো। অবশেষে উকিল খুব প্রসন্ন মনে তার ফি’র টাকার জন্য মক্কেলের কাছে গেলো। উকিল মনে মনে ভেবে রেখেছে যে মক্কেল নিশ্চয়ই খুশি হয়ে তাকে তার প্রাপ্য সম্মানীর সাথে কিছু বখশিশও দিবে। কিন্তু হায় মক্কেলের কাছে টাকার কথা বলতেই সে সেই আজগুবি উচ্চারণে “হুউমমম”বলা শুরু করলো।
উকিল যতই টাকা চায় সে ততই জোরে “হুউমমম”বলে। অবশেষে উকিল বুঝতে পারলো নিজের খনন করা কূপে মানুষ কিভাবে পড়ে।
তো বর্তমান সময়ে সরকার আসলে সেই “হুউমমম” এর কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। বিরোধী দলের ডাকা যে কোন কর্মসূচী, যেকোন বক্তব্যকেই তারা একটি মাত্র বাক্য দিয়ে প্রতিরোধ করে যাচ্ছেন, জবাব দিয়ে যাচ্ছেন আর তাহলো ‘বিরোধী দল এই বক্তব্য দিয়েছে কিংবা এই কর্মসূচী দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়না। ”
আজ যিনি আমাকে বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর বিএনপি কি চানতারা পতাকা নিয়ে আসবে কিনা? শুনেই আমি অনেক্ষন বসে বসে হাস্লাম।
ইতিহাস আসলে একটা চক্র। এই চক্রে ১৯৭১ সালে ঠিক এইভাবেই খেলেছিল তৎকালীন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাত। কিছু হইলেই রে রে করে তেড়ে আসতো, এই বলে যে বাংলাদেশ হিন্দুস্তান হয়ে যাচ্ছে। হিন্দুস্তান হওয়া ঠেকাতে ফাকিস্তান হয়েই থাকতে হবে! আজ আপনারা সেই একই বটিকা দিয়ে যাচ্ছেন, বাংলাদেশ ফাকিস্তান হয়ে যাবে, সুতরাং আওয়ামীলীগ হয়ে থাকতে হবে! চানতারা পতাকা থেকে রক্ষা পাইতে হইলে আওয়ামীলীগ ছাড়া উপায় নাই। তাইতো?
এই প্রক্রিয়াকে কি বলে জানেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে 'মিশেল ফুকো' নামের বিশ্বখ্যাত এক সমাজ বিজ্ঞানীর ভাবনার ছিটেফোঁটা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।
তাতে 'ডিসকোর্স কিংবা ডিসকারসিভ' প্র্যাকটিস নামে একটা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছিলেন। তখন কিছু বুঝি নাই, এখনওযে বুঝি, এমন না। তবে বাস্তবতা কখনো কখনো কিছু বুঝায়। এটাকে বলে ভাষার মাধ্যমে জ্ঞান উৎপাদন। যেটা সবসময়েই হয়েছে।
এখনও হচ্ছে। এই জ্ঞান উৎপাদনের পিছনে মেলা টেকা পয়সার হিসাব আছে। গত ৩ বছরে মিডিয়ার ভাবভঙ্গী দেখলে ঠাহর পান না? ঠাহর পাবেন, সময় বেশি নাই। তবে একটা বাস্তবতা বুঝে নেন। বাংলাদেশের পতাকা চান-তারা হওনের আর সুযোগ নাই ইনশাল্লাহ! এইটা বোঝার জন্য পণ্ডিত হওনের দরকার নাই।
তবে যে ডিসকোর্স দিয়া বাদবাকী সব নাকচ করে দিতেছেন, মনে রাইখেন সেই ডিসকোর্সও এমনে এমনে আপনের মাথায় ঢোকানো হয় নাই। চালু হয় নাই। সেইখানে বরং চান-তারা না, পতাকার ব্যাকগ্রাউন্ডে সুস্পষ্ট জলছাপে 'তেরঙ্গা' স্থায়ী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কোটি কোটি গুণ বেশি শক্তিশালী! সুতরাং কথায় কথায় অন্যরে লেবেল মারা বন্ধ করেন। বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা বা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট খেলতে আসলে দেখা যাইত সবাইর রাইত দিনের ঘুম হারাম, ক্যামনে মুরালী, ভেট্টোরি কিংবা শেন ওয়ারনরে খেলবো! কি প্র্যাকটিস! ট্যাকটিকস!! খেলারদিন দেখা গেল মুরালীর খবর নাই, উপল চন্দনা ৬ উইকেট। ভেট্টোরির বলে ধুমসে রান, নাথান স্টল পার্টটাইম বল কইরা বাংলাদেশের ইনিংস ধ্বসাই দিছে, শেনওয়ার্নরে পিটাইয়া বলের সুতা খিলা ফালাইতেছে, কিন্তু ব্র্যাড হগ আইসা পুরা কোপা শামচু বানাই দিছে! সুতরাং খুব খিয়াল কইরা!!
এই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ কি? কেন বাংলাদেশের কোটি কোটি ডলারের বিজনেস চলে যাচ্ছে পাশের দেশে! কেন পাশের দেশের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংহ আইসা স্পষ্ট কইরা এরশাদরে কয়, তেনারা অমুককে ক্ষমতায় দেখতে চান? অমুককে দেখতে চান না? হু ইজ শি? তখন আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ হয় না? তখন কি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয় না? বাংলাদেশ কি তখন আর স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র না? নাকি উই আর অলরেডি...!! থাউক আর কইলাম না!
খালি একটা কথা কই, ফাকিস্তানের বেইল শেষ, সে ওই তালেবান, নিজ দেশের সেনাবাহিনী, আলকায়েদা, ইন্ডিয়া, কাশ্মির, আমেরিকা, আফগানিস্তান, অসংখ্য চরমপন্থী সামলাইতে গিয়াই লেজে গোবরে অবস্থা, অন্যের লেজ নিয়া চিন্তা করনের অবস্থা তার নাই।
অ্যান্ড ইউ হ্যাভ টু গেট দ্যা পয়েন্ট ইজ ভেরি ক্লিয়ার, ফাকিস্তানের বাংলাদেশের নাগাল পাওয়ার আর কোন উপায় নাই, না ভৌগলিকভাবে, না অর্থনৈতিক ভাবে, না সাংস্কৃতিকভাবে, না আর কোনভাবে... এইটা বাংলাদেশে যেসকল পাকি ছাগল আছে তাদেরও বোঝা উচিৎ। কিন্তু খুব খিয়াল কইরা হোয়াট ইন্ডিয়া ইজ ডুইং ইন এভ্রি সেক্টর? হোয়াট? অ্যান্ড দ্যা ওয়ে দে আর ডুইং, অ্যান্ড হাউ আওয়ার গভমেন্ট ইজ টকিং, একটিং, গভারনিং, মেকিং পলিসিস, ট্রিটিজ বিটুইন টু কান্ট্রিজ। রিড দিস কেয়ারফুলি... অ্যান্ড দিস ইজ দ্যা টাইম টু বি অ্যা বাংলাদেশি। অনলি বাংলাদেশি! ওয়ান অ্যান্ড অনলি বাংলাদেশি। সুতরাং কথায় কথায় ট্যাগিং বন্ধ করেন।
খালি চান-তারা কিংবা তেরঙ্গাই দেইখেন না, লালসবুজটা দেখেন...
লালসবুজ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।