আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফোর-জি প্রযুক্তি পাচ্ছে ৫ প্রতিষ্ঠান

সাধারণত এলটিইকে ফোর-জি প্রযুক্তি বলেই ব্যবহারকারীরা চেনেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশে ইন্টারনেট আরো সহজলভ্য করতেই ৫ প্রতিষ্ঠানকে ‘এলটিই’ লাইসেন্স দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ”
বর্তমানে বাংলা লায়ন, কিউবি, টেলিকম কোম্পানি, ম্যাংগো এবং রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বিটিসিএল এই সেবা চালুর লাইসেন্স পাচ্ছে।
তবে লাইসেন্স বাবদ এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুণতে হবে ২৪৬ কোটি টাকা।

ইতোমধ্যেই রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান মাল্টিনেটের মালিকাধীন বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ লিমিটেডকে (বিআইইএল) ২৪৬ কোটি টাকা দিয়ে এলটিই লাইসেন্স ও দুই হাজার ৬০০ ব্যান্ডে তরঙ্গ বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।



সুনীল কান্তি বোস বলেন, “নীতিমালা অনুযায়ী এই অপারেটর কেবল ডেটা সার্ভিস দিতে পারবে, কোনভাবেই ভয়েস সার্ভিস দিতে পারবে না। ”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি পুরনো হয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন প্রযুক্তিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ”
একটি বিদেশি (দক্ষিণ কোরিয়া) প্রকল্পের মাধ্যমে বিটিসিএল এলটিই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা দেবে। সচিব বলেন, “লাইসেন্স বা তরঙ্গ ফি ওই প্রকল্প থেকেই দেয়ার কথা রয়েছে। ”
মোবাইল ফোন অপারেটরদের অভিযোগ, থ্রিজির জন্য প্রতি মেগাহার্টজ যেখানে ২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার (২১০০ ব্যান্ড) নিলামে তরঙ্গ বরাদ্দ নিতে হয়েছে, সেখানে খুব কম দামে (২৬০০ ব্যান্ড) ওয়াইম্যাক্স অপারেটররা আরো আধুনিক প্রযুক্তিতে চলে যাচ্ছে।


তাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে এলটিই লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর আপত্তি জানিয়ে আসছিল।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সব ধরনের নিয়মনীতি অনুসরন করেই এ লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে, এর ফলে মোবাইল অপারেটরদের ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই। ”
২০০৮ সালে নিলামের ভিত্তিতে ২১৫ কোটি টাকা দরে দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলা লায়ন ও কিউবিকে ওয়াইম্যাক্স লাইসেন্স দেয়া হয়। ব্রডব্যান্ড ওয়ারলেস একসেস (বিডব্লিউএ) নীতিমালা সংশোধনের পর ইন্টারনেট সেবা এলটিইর জন্য নিলামের আর প্রয়োজন পড়ছে না।
এর ফলে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে যোগ্যতা প্রমাণ হলে, সরকার ইচ্ছা করলেই লাইসেন্স এবং লাইসেন্সপ্রাপ্তদের চাহিদা অনুযায়ী তরঙ্গ বরাদ্দ দিতে পারবে।


২০০৮ সালের নিলামে ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিলো। এদের মধ্যে বাংলালায়ন ও কিউবি লাইসেন্স নেয় এবং ম্যাংগো ছাড়া বাকি সবাই আর্নেস্ট মানি তুলে নেয়। আগের নিলামের উপর ভিত্তি করেই ম্যাংগোকে এলটিই লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি।
গত অক্টোবর মাসে বিডব্লিউএ গাইডলাইন সংশোধনের বিষয়টি প্রকাশ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.