টুইটার-ফেসবুকে নরেন্দ্র মোদীকেও এক দিকে পিছনে ফেলে দিচ্ছেন দিল্লির হবু মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রতিদিন ফেসবুক ও টুইটারে কেজরিওয়ালের অনুগামীদের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে ও যতজন 'লাইক' করছেন, সেটা মোদীর থেকেও অনেক বেশি। বস্তুত ভারতে এত দ্রুত হারে কারও ফেসবুক ও টুইটার জনপ্রিয়তা বাড়ছে না। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮ হাজার জন টুইটারে কেজরিওয়ালকে অনুসরণ করছেন। মোদীর সেখানে অনুসরণকারীর সংখ্যা দিনে গড়ে হাজার তিনেক করে বাড়ছে।

ফেসবুকে গড়ে দিনে ৪৫ হাজার জন কেজরিওয়ালকে লাইক করছেন, মোদীর ক্ষেত্রে তা ৩০ হাজারের মতো।

ফেসবুকে মোট লাইক ও টুইটারে মোট ফলোয়ারের হিসাবে মোদী অবশ্য কেজরিওয়ালসহ অন্য সব ভারতীয় নেতা ও নেত্রীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে। টুইটারে মোদীর মোট ফলোয়ার ৩০ লাখ ৩৯ হাজার ২৭৪ জন। কেজরির সেখানে ৯ লাখ ১৬ হাজার ৩ জন। ফেসবুকেও মোদীকে লাইক করেছেন ৬৯ লাখ ৭৫ হাজার ২১৮ জন, আর কেজরিওয়ালকে ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৫১০ জন।

কিন্তু দিল্লিতে সাম্প্রতিক সাফল্যের জন্যই কেজরিওয়ালের জনপ্রিয়তা যে অসম্ভব দ্রুত হারে বাড়ছে, তা তাঁর ফেসবুক-ট্যুইটারের জনপ্রিয়তাই প্রমাণ করছে। একইসঙ্গে তাঁর দল আপ-এর ওয়েবসাইট পোর্টালও দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। গত ১৫ দিনে ২ লাখ ২ হাজার ৯২৯ জন এই তাঁদের ওয়েবসাইট দেখেছেন।

তবে কেজরিওয়াল ও মোদী দুজনেই সামাজিক মিডিয়াকে খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পেরেছেন। মোদীকে এই কাজে সাহায্য করার জন্য প্রশিক্ষিত তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ারদের একটা দল আছে।

বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, কেজরিওয়াল আগে মোট সংখ্যার নিরিখে মোদীর ধারেকাছে পৌঁছান, তারপর তুলনাটা হতে পারে। কেজরিওয়াল দিল্লিতে কিছুটা ভালো ফল করতে পেরেছেন বলে সাময়িকভাবে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে পারে। কিন্ত্ত মোদীর জনপ্রিয়তা দীর্ঘদিন ধরে সমান ভাবে বেড়ে চলেছে। আসলে শহরের দিকের ১৫০-র বেশি লোকসভা আসনে ফেসবুক-টুইটার ইত্যাদির একটা প্রভাব থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দু-দিন আগেই দিল্লি এসে মোদী দলের নেতাদের বলেছেন, 'এই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে আরও বেশি করে নজর দিতে হবে।

সেই জায়গাতে কেজরিওয়ালের সাফল্য কিন্ত্ত চমকপ্রদ। '

।