রাজশাহীতে বোমা হামলায় পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ রায় নিহতের ঘটনায় বিএনপির মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও জেলা কমিটির সভাপতি নাদিম মোস্তফা সহ ১৮ দলের চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
গতকাল রাতেই বোয়ালিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দুটি দায়ের করেন।
এদিকে কনস্টেবল নিহতের জের ধরে গতকাল গভীর রাত থেকে আজ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গভীর রাতে অভিযানের সময় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের না পেয়ে তাদের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় তারা র্যাব ও পুলিশ।
এতে বিএনপি নেতা ও সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামন মনির, বিএনপি নেতা শাকিল আহমেদ নুরুজ্জামান টিটোসহ আরো ৫/৭ জন নেতাকর্মীর বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
মহানগর পুলিশ কমিশনার ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমন বলেন, 'মামলায় ৮০ জনের নাম উল্লেখসহ প্রায় সাড়ে চারশ নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। '
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর রাজারহাতা এলাকায় ১৮ দলের মিছিল শেষে দুপুরে পুলিশের কাডার্ভ ভ্যানে দুর্বৃত্তের ছোড়া হাতবোমার বিস্ফোরণে ৯ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ রায় সরকারকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপতাালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সাবদি গ্রামের বিমল সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী দীপ্তি সরকারও পুলিশের কনিস্টেবল পদে রাজশাহীতে কর্মরত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।