গেল মৌসুমে তিন ট্রফি ঘরে তুলেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। সুপার কাপ ফাইনালে না হারলে এক মৌসুমে চার ট্রফি জিতে দেশের ফুটবল ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়ত তারা। যাক তিন ট্রফি জেতা শেখ রাসেলের এবার এক ট্রফি জেতাটাই বিস্ময়কর হবে মনে হচ্ছে। কারণ বেশ কজন তারকা ফুটবলার বের হয়ে যাওয়াতে এমনিতেই তাদের শক্তি খর্ব হয়েছে। ফেডারেশন কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও রাসেলের খেলার ভেতর সৌন্দর্যের ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কোচ মারুফ বলেছিলেন, লিগে ভালো করতে হলে অবশ্যই পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটাতে হবে। তিনি আশাও করেছিলেন ফেডারেশনের ভুল সংশোধন করে তার ছেলেরা লিগে জ্বলে উঠবে। কোচ হিসেবে মারুফ ইতোমধ্যেই যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। দেশের সেরা কোচের তালিকায় তার নাম এক নম্বরে রাখলে ভুল হবে না। সুতরাং তার যেকোনো কথার আলাদা একটা গুরুত্ব থাকে।
আর তারই প্রমাণ মিলল উদ্বোধনী ম্যাচে। তিনি লিগে জ্বলে উঠার আশা করেছিলেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় উত্তর বারিধারাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে লিগে দুরন্ত সূচনা করেছে চ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্যে মিঠুনই তিন গোল দিয়ে লিগের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করেছেন। ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল।
মাঝ মাঠ থেকে রাসেলের উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার ফ্রান্সিসকোর ফ্রি কিক থেকে গোল পোস্টে জটলা সৃষ্টি হলে মিঠুন প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিঠুনই। মাঝ মাঠ থেকে সবুজের স্কয়ার পাস থেকে বল পেয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বারিধারার জালে আরও এক গোল দেয় শেখ রাসেল। মিঠুনের পাস থেকে গোল করেন জ্যামাইকান মিডফিল্ডার রিকার্ডো।
৬৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মিঠুন চৌধুরী। প্রতিপক্ষের নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় কসোকোর পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বারিধারার জালে বল পাঠান মিঠুন। ৭৫ মিনিটে গোল করার সুযোগ এসেছিল বারিধারার। কিন্তু আকিন্দের শট গোলরক্ষক বিপ্লব দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেন। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলে জিতেই লিগে যাত্রা করে শেখ রাসেল।
আজ গতবারের রানার্সআপ শেখ জামাল মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।