সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গতকাল সকাল ৭টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে সরাসরি আর্মি গলফ ক্লাবে গিয়ে ১০টা পর্যন্ত গলফ খেলেন। এ খবর পেয়ে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি মহাসচিবকে ধৈর্য ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে রুহুল আমিন হাওলাদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, ধৈর্য ধারণ করতে। তিনি (এরশাদ) পার্টির খোঁজখবর নিয়েছেন।
পার্টিকে আরও গতিশীল করার পরামর্শ দিয়ে যেন কোনো ধরনের স্থবিরতার সৃষ্টি না হয় এজন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পার্টিতে ঐক্য ধরে রাখার জন্য দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার কথা বলেন চেয়ারম্যান। মহাসচিব বলেন, তিনি সব সময় যাদের সঙ্গে খেলতেন গতকালও তাদের সঙ্গেই গলফ খেলেছেন। পার্টির চেয়ারম্যান নিজের সম্পর্কে কিছু বলেছেন কিনা জানতে চাইলে 'বলা কঠিন, এর বেশি কিছু জানতে চেও না' বলে থামিয়ে দেন। খেলা শেষে বের হওয়ার সময় সাবেক এ রাষ্ট্রপতি পার্টির মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা গেছে।
এ সময় এরশাদের পরনে ছিল ক্রিম রংয়ের ট্রাউজার ও মেরুন সোয়েটার। মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলার সময় তাকে অসুস্থ মনে হয়নি, স্বাভাবিক দেখা গেছে। পরে এরশাদ ক্লাবের লাউঞ্জে বসলে জাপা মহাসচিব পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলেন। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক থেকে র্যাব সাবেক এই সেনাশাসককে সিএমএইচে নিয়ে যান। ওই সময়ে র্যাব দাবি করে এরশাদ হাসপাতালে গেছেন।
তারা শুধু তাকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। এদিকে পার্টির নেতা-কর্মীরা বলছেন, পার্টির চেয়ারম্যানকে আটক রাখা হয়েছে। এরশাদকে মুক্তির দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই তারা কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করছেন। এরশাদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীর বাসাবোতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, এরশাদকে সিএমএইচে আটক রেখে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা চলছে।
একটি কুচক্রী মহল এরশাদ অসুস্থ বলে অপপ্রচার করছে। একটা মানুষ অসুস্থ থাকলে গলফ খেলতে পারে না। তাকে গলফ খেলতে দেওয়া হলো ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। তিনি বলেন, জেলে থাকলেও আত্দীয়-স্বজন এবং নেতা-কর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। সেখানে সে সুযোগও নেই।
এদিকে এরশাদকে আটকের প্রতিবাদে কাকরাইল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয় শ্রমিক পার্টি। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রমিক নেতা আবুল শিকদার, মঞ্জুর রহমান খান, আবদুল হাই, সৈয়দ আহমেদ প্রমুখ।
আনোয়ারা বেগমকে বহিষ্কার : শ্রমিক পার্টির সভানেত্রী আনোয়ারা বেগম কাজী জাফর আহমদের সঙ্গে চলে যাওয়ায় তাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার ও সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।