আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেএসসি-জেডিসিতে রেকর্ড পাস

সারা দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৩ শিক্ষাবর্ষের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফল গতকাল প্রকাশিত হয়েছে। আটটি সাধারণ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের গড় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এবার ১৯ লাখ দুই হাজার ৭৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১০৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন। এ বছর প্রথমবারের মতো চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ হওয়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর হার বেড়েছে।

গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে তিন শতাংশ। এবার আট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে জেএসসিতে ৮৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার ৯৯৭ জন, আর জেডিসিতে ১৯ হাজার ২১১ জন। চার হাজার ৯৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবার শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।

তবে ৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করেনি। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। গতকাল সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন। এরপরে দুপুর ১টায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধে দফায় দফায় পরীক্ষা পেছালেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তাসলিমা বেগমসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো ধরনের আনন্দ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। ১৮-দলীয় জোটের কর্মসূচির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফল দেখতে আসতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাসা-বাড়িতে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফল জেনেছে। বোর্ডওয়ারী পাসের হার : ঢাকায় ৮৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহীতে ৯৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যশোরে ৮৯ দশমিক ০৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, বরিশালে ৯৬ দশমিক ৬০ শতাংশ, সিলেটে ৯১ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৮৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।

আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পাস করেছে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী।

বোর্ডওয়ারী ফলাফল : ফলাফল ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিকে ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থানে রয়েছে ভিকারুনি্নসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং তৃতীয় অবস্থানে রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। রাজশাহী বোর্ডে প্রথম স্থানে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা বোর্ডে কুমিল্লা জিলা স্কুল, যশোর শিক্ষাবোর্ডে খুলনা গভ. করোনেশান সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ডা. খাস্তগীর গার্লস হাইস্কুল, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে সিলেট ক্যাডেট কলেজ প্রথম স্থানে রয়েছে। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে প্রথম অবস্থানে রয়েছে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে রয়েছে উত্তরা তানজিমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসা। বিদেশি সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলেও লিবিয়ার ত্রিপোলি কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের ফলাফল স্থগিত রয়েছে।

এই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী রয়েছে ১০ জন। কয়েক দিনের মধ্যে তাদের ফল জানানো হবে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।