আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‎ ‎ থার্টি ফাস্ট নাইটঃলম্পট্যের উম্মাদনা!

" আজকে উমরপন্থী পথিকের দিকে দিকে প্রয়োজন---পিঠে বোঝা নিয়ে পাড়ি দেবে যারা প্রান্তর প্রাণপন। ঊষার রাতের অনাবাদী মাঠে ফলাবে ফসল যারা,দিক- দিগন্তে তাদের খুজিয়া ফিরিছে সর্বহারা..…।


থার্টি ফাস্ট নাইট। বাংলাদেশে যেটার আমদানী মাত্র কয়েকবছর আগে। এর আগে আমাদের দেশে এটার কোন নাম-গন্ধও ছিলো না।

পশ্চিমা-সাম্রাজ্যে যখন এই পঁচা " সংস্কৃতিটা" অচল হয়ে পড়ল,তখন পশ্চিমা মিডিয়াগুলো সেটার বিষাক্ত- হাওয়াকে মুসলিম রাষ্টগুলোর দিকে বইয়ে দিল। আর আমাদের দেশের কিছু অতিউৎসাহী সুশীল মিডিয়া এটাকে " তারুণ্যের উম্মাদনা" বলে আদর করে বরণ করে নেয়। কিছ লম্পট তরুণ-তরুণী এই রাত্রে ১২ টা ১ মিনিটে দেশের ভিবিন্ন স্থানে লাম্পট্যের যেই আগ্রাসান চালায়,তা সাধারণ মানুষের কাছে একেবারেই স্পষ্ট। আর কিছু এ জাতীয় মিডিয়া এটার বিষাক্ত-বাষ্পকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে তৎপর। ব্যাপারটা এতই ভয়ংকর হয়ে উঠ্ছে যে,সরকারকে এই রাত্রের জন্য দেশের ভিবিন্ন হোটেল,নাইটক্লাব,পতিতালয়ে যথেস্ট পরিমাণের আইন-শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করতে হয়।


আজথেকে চার-পাচ বছর আগে কিছু পত্রিকার রিপোর্ট ছিলো এইরকম "েই রাত্রটার জন্য ভিবিন্ন হোটেলে টিকিটের মূল্য ছিল বাইশ হাজার টাকা পর্যন্ত…" বর্তমান সময়ে এর মূল্য কত হবে তা উপরের রিপোর্ট থেকে সহজেই অনুমান করা যায়। এই চড়া মূল্যের টিকিট ক্রয়করে সুশীলদের " বাবুরা"সারা রাত সেখানে পৃথীবির যত নিকৃষ্ট অপকর্ম আছে,সব করে।
কোন মুসলমানের ছেলে-মেয়ে থার্টি ফাস্ট নাইট উদ্যাপন করতে পারে না। মুসলমান হয়ে থাকলে কারো পক্ষে এমন কাজ করা কক্ষনই সম্ভব নয়। কোন মা বাবার যদি আত্নমর্যাদাবোধ থাকে থাকে,তাহলে কক্ষনই তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে রাত বারটার পর হোটেল রুপসী বাংলা আর সোঁনার্গাওয়ে পাঠাবে না।


স্মরণ করুন!!! ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়া সহ কয়েকটি দেশে সংঘটিত সুনামীর কথা। সে সময় এমন একটি রাত্রে যখন সমুদ্র সৈকত,হোটেল,,নাইটক্লাবে পশ্চিমা পর্যটকরা সহ অনেক মানুষ আমোদ-ফুর্তিতে মত্ত,ঠিক তখনই সাগর থেকে উঠেছিল ভয়াবহ এক সুনামী যা ইন্দোনেশিয়া সহ, ভিবিন্ন দেশের দুই লক্ষাদিক মানুষ সহ অনেক বস্তি-শহর ধংস করে দিয়েছিল.…
এখনো অনেক বোবাইল-পিসিতে সেটার ভিডিও পাওয়া যায়…
আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে এমন অপস্ংস্কৃতির ছোবল থেকে হেফাজত করুন.…

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।