মানুষের চুল থেকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ল্যাবরেটরিতে বানানো সম্ভব হচ্ছে মহামূল্যবান হীরা। এভাবে কৃত্রিম হীরা তৈরিতে প্রয়োজন হয় দশমিক ৫ থেকে ২ গ্রাম পর্যন্ত চুল। চুল থেকে কার্বন কণাকে বের করে নিয়ে তা দিয়ে হীরা তৈরি হয়। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগে যে প্রাকৃতিক পরিবেশে হীরার জন্ম সেই একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় ল্যাবরেটরিতে। মেশিনের ভেতরে কার্বন কণা দিয়ে সেখানে সৃষ্টি করা হয় অতি উচ্চ চাপ ও তাপ।
এর সঙ্গে রাসায়নিক কিছু বিক্রিয়ার মাধ্যমে চুল ও দেহভস্ম থেকে সংগৃহীত কার্বন পরিণত হয় হীরায়। এভাবে উৎপাদিত হীরা হয় অনন্য। এ পদ্ধতিতে হীরা তৈরির জন্য পশ্চিমা বিশ্বে অনেক কোম্পানি গড়ে উঠেছে। তারা এ ব্যবসায় করে উপার্জন করছে কোটি কোটি ডলার।
১৯৫৬ সালের দিকে কৃত্রিম উপায়ে হীরা উৎপাদন শুরু করে জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি।
ওই সময়ে তারা যে হীরা উৎপাদন করে তা ছিল ক্ষুদ্র আকারের রত্নপাথর। তবে আরও ১৫ বছর সাধনা করে এই কোম্পানি ১৯৭১ সালে উৎপাদন করে রত্ন-মানের এক ক্যারেটের হীরা। কৃত্রিম উপায়ে হীরা উৎপাদনের ইতিহাস এখান থেকেই শুরু। উৎপাদনকারীরা বলেছেন, কৃত্রিম উপায়ে এই যে হীরা বানানো হচ্ছে এগুলো প্রাকৃতিক হীরার মতোই উজ্জ্বল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।