আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফের বন্ধ আরএকে'র বাংলাদেশ ফ্লাইট, বিপাকে যাত্রীরা

বাংলাদেশসহ এশিয়ার প্রায় দেশেই ফের বন্ধ হয়ে গেলো আর এ কে এয়ারওয়েস এর সকল ফ্লাইট। এতে বিপাকে পড়ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে প্রথম শুরু হয়ে কিছুদিন বিমানটির যাত্রা বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে সচল থাকলেও কয়েক বছরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি-জটিলতা কাটিয়ে ২০১০ সালে আবার নতুন আঙ্গিকে যাত্রা করে আরএকে এয়ারওয়েস। তবে নিজস্ব বিমান না থাকায় এ এয়ারওয়েস স্থায়ীভাবেই বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন ট্রাভেলস মালিকরা।

অন্যান্য এয়ারলাইন্স থেকে আরএকে'র টিকেট মূল্য ছিলো তুলনায় অনেক কম। ঢাকা ও চট্টগ্রামে আলাদা ফ্লাইটের সুবিধা থাকায় স্বল্প খরচেই এই এয়ারলাইন্সকেই যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতো এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কিন্তু পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাত্ করে এই বিমানটি ২০১৩ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম ও নভেম্বরে ঢাকার ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। যার ফলে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী।

অনেকেই দু'টিকেট নিয়ে দেশে যাওয়ার পর এই খবর প্রকাশ হলে চিন্তায় ভেঙ্গে পড়েন তারা।

তবে কাউকে লোকসান গুণতে হবে না বলে জানিয়েছেন আরএকে এয়ারওয়েস এর নাখিল বাজারের অফিস কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, টিকেট নিয়ে আসলেই আমরা টিকেট দেখে সাথে সাথে তাদের এই টাকা ফেরত দিবো। টাকা ফেরত পাবার এমন প্রমাণও মিলেছে সেখানে। কুমিল্লার মাসুদ আলম নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিজের ক্রয়কৃত টিকেট দেখিয়ে তার টাকা প্রেরত পান।

রাস আল খাইমাহস্থ জামাল ট্রাভেলস কর্মকর্তা ইয়াসমিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আরএকে এয়ারওয়েস এর নিজস্ব বিমান না থাকায় ভাড়া করা বিমান দিয়েই চলছিলো এতদিনের কার্যক্রম।

তবে এতে লোকসানের খাতা এতই ভারি হচ্ছে যে এয়ারওয়েস বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় নেই। তিনি আরও বলেন, এটি আর সহসা চালু হওয়ার সুযোগও নেই। শুধু বাংলাদেশে নয় ইন্ডিয়া, পাকিস্তান ও নেপাল সহ অনেক দেশেই এর ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সেৌদি আরব, কাতার ও ওমান এ এখনো ২/১টা ফ্লাইট সচল আছে।

এই এয়ারওয়েস বন্ধে অনেকটাই হতাশ রাস আল খাইমাহ'র প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

স্বল্প টাকায় আর হচ্ছে না ভ্রমণ। বিমান ভ্রমণ বা দেশে পাড়ি দিতে তাদের দুবাই ও শারজাহ বিমানবন্দর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে দূরত্ব যেমন বেড়েছে; তেমনি বেড়েছে ভোগান্তি ও খরচের পরিমাণ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।