এক বছরে শেয়ারবাজার থেকে ১২০০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ১৮টি কোম্পানি ও দুটি মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে এ টাকা উত্তোলন করা হলেও শেয়ারবাজার সূচক বছর শেষেও স্থির। এছাড়া রাইট ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৭ কোম্পানি তুলেছে প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা। শেয়ারবাজার থেকে মোট দেড় হাজার কোটি টাকা তুললেও বাজার মূলধন এগিয়েছে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা। এ সময় নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েও কারসাজি ঠেকাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
বিএসইসি বিনিয়োগ-কারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন।
২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পায় ২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে কোম্পানি রয়েছে ১৮টি ও ২টি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- মতিন স্পিনিং মিলস, ইমারেল্ড ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এএফসি এগ্রো বায়োটেক, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং মিলস, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেস, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্লোবাল হেভিকেমিক্যাল, গোল্ডেন হারভেস্ট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, আরগন ডেনিমস, সামিট পূর্বাঞ্চল ও সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড দুটি হলো- এঙ্মি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ও আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
তবে শেয়ারবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এই ১৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০৯২ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কোম্পানিগুলো প্রিমিয়াম নিয়েছে ৬৩৪ কোটি টাকা। এমারেল্ড ওয়েল ও মতিন স্পিনিং এ দুটি কোম্পানি এখনো অর্থ উত্তোলন করেনি। আগামী বছর কোম্পানি দুটি অর্থ উত্তোলন করবে।
কোম্পানি দুটি প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা বাজার থেকে উত্তোলন করবে। অন্যদিকে গত এক বছরে ৭টি কোম্পানি রাইট শেয়ারের অনুমোদন পেয়েছে। এরমধ্যে ফিনিঙ্ ফাইন্যান্স ৯ কোটি ২০ লাখ ৪১ হাজার ৩৯০ টাকা, পূরবী জেনারেল ১৮ কোটি ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, ফাস ফাইন্যান্স ৫৪ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯০ টাকা, ন্যাশনাল হাউজিং ৩৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া বিডি ফাইন্যান্স ৩৯ কোটি ৮৫ হাজার ১৫০ টাকা, আরামিট সিমেন্ট রাইট শেয়ারের মাধ্যমে ২৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, গত এক বছরে শেয়ারবাজারে উন্নয়ন ঘটলেও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা লাভবান হননি।
গুটি কয়েক দুর্বল ভিত্তির কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে কিছু বিনিয়োগকারী লাভবান হলেও সার্বিবভাবে এখনো লোকসান গুনছেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।