আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাই দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতা

সংবৎসরের হিসাব মেলানো পুরনোর আর উৎসুক-উদগ্রীব হয়ে নতুন বছরের পথে পাড়ি জমানোর নিত্য নিয়মেই প্রবাহমান সময়ের স্রোতে একেকটি নতুন বছর আসবে, থাকবে আর চলে যাবে পুরনো হয়ে। নতুন পুরনোর মাঝপথে দাঁড়িয়ে দেশের একজন সাধারণ নাগরিক একান্তভাবে এবং সামষ্টিকতায় সরকার যখন তার নিজের, সমাজ-সংসারের এমনকি দেশের অর্থনীতির সালতামামি করতে বসে তখন বিচার-বিশ্লেষণের মাত্রা ও প্রকৃতি ভিন্ন হয়েও অভিন্ন, আনন্দ সর্বনাশের সন্দেশে সবার মনের অবস্থা একই সূত্রে সজাগ ও সচকিত হয়ে ওঠে।

কেমন কেটেছে ২০১৩? একজন দিনমজুরের, ছা-পোষা কেরানির, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীর, ব্যবহারজীবীর, কলমসৈনিকের, সংস্কৃতিসেবীর, জনসেবকের, মজুদদার সিন্ডিকেটের, স্টক মার্কেটের অর্থ লোপাটকারীর, ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া ব্যবসায়ীর, মুদ্রা পাচারকারীর? এসব কথা এমন এক সময় ভাবা হচ্ছে, যখন চারদিকে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে অজানা আশঙ্কার ভোরের দিকে এগুচ্ছে বাংলাদেশ আর এর সমাজ। কুয়াশার ধোঁয়াটে পরিস্থিতিতে সবার চোখের ভিজিবিলিটি যেন যথেষ্ট অস্পষ্ট। এই হালকা-পাতলা কুয়াশারাও যে এত শক্তিশালী, সচরাচর যা আগে ঠাওর করা যায়নি।

এই কুয়াশা আকাশের বিমানকে মাটিতে নামতে দেয় না, ফেরি, লঞ্চ, স্টিমার এমনকি জাহাজকেও নদী সাগর মাঝে নোঙর করতে বাধ্য করে-সড়কপথে গাড়ির গতিমাত্রা নামিয়ে দেয়। এ দেশের রাখী বেগম বসির বৈদ্যরা লক্ষ্য করে ভোরে প্রাদোষকালে কুয়াশা যতটা দেখা যায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই কুয়াশা কেটে যাওয়ার পরিবর্তে তা যেন বেড়েই চলে। এসব কুয়াশারা কোথায় ছিল এতক্ষণ, এতদিন? আকাশে কি কুয়াশার চাষ হচ্ছিল বা রান্না হচ্ছিল? বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবেশিত হচ্ছে। ভোর দেখে দিনের অবস্থা (সড়ৎহরহম ংযড়ংি ঃযব ফধু) ঠাওর করার যে মহাজন বাক্য শিখেছিল রহমত মিয়া মাজেদা বেগমরা এখন তা আর যেন খাটছে না। যাদের জন্য, যাদের দিয়ে, যারাই সেই ভোরে যেসব স্বপ্নজাগানিয়া গান শুনিয়েছিল ভৈরবী রাগে তা যত বেলা বেড়েছে, পশ্চিমের আকাশে ঢলেছে সূর্য, সামনে অস্তাচলের পথে এসে তার বাস্তবায়নের ভিজিবিলিটি তত অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যেন।

সহজ-সরল বিশ্বাসে আস্থায় বুক বাঁধে গীতা সেন শহর আলীরা বারবার আর তা কেন জানি খান খান হয়ে যায় অতি স্বার্থবাদী, দায়-দায়িত্বহীন ধড়িবাজদের ধান্দায়। বার-তে সবাই যেমন শুনেছিল ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে কোনো কোনো অতি চালাক-চতুরেরা এবং তেরো'তে এসে সবাই দেখেছে সেসব টাকা উদ্ধারে একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে পার করছে সময়। একটি উন্নয়ন উন্মুখ অর্থনীতিতে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের বেগ যখন আরও বেগবান হওয়ার প্রয়োজনে আস্থাশীল পরিবেশ খুঁজে ফিরছে তখন এই অর্থলোপাট যেন কিছুই হয়নি, কেউ কিছু করেনি এমন একটা ভাব-ভাবনা দিয়ে পার পাইতে চাইছে।

তেরোতে ব্যাংকের নন পারফরমিং লোনের পরিমাণ বেড়েছে। কমেছে মুনাফা।

সাধারণ গ্রাহকের পুঁজির নিরাপত্তা অসাধারণ এর তঞ্চকতার কাছে হারিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের দাপট বৃদ্ধি (বছরের শুরুতে যা ছিল ৪২ হাজার কোটি থেকে বছরের শেষে বেড়ে তা তেষট্টির কাছাকাছি পেঁৗছে) দুই হাজার তেরোর ললাটে যে তিলকরেখা এঁকে দিল তা গোটা অর্থনীতির জন্য সেরা সর্বনাশ বয়ে আনবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই বড় বড় ঋণখেলাপির ঋণ নবায়নের সুযোগ অবারিত করে দেওয়ায় ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা আরও সঙ্কুচিত এবং মুনাফা অর্জনের সুযোগ সংশয়ে আপতিত হয়ে রাজস্ব আয়কে আরও অধোগতিতে নিয়ে যাবে। বড় বড় ঋণ খেলাপির পাশাপাশি সরকারই হবে বড় ঋণ গ্রহীতা। বেসরকারি বিনিয়োগ হতে পারে নিরুদ্দেশ যাত্রী।

এর মধ্যে এ বছর বেসরকারি খাতে নয়টি ব্যাংক এবং ১২টি বীমা কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বারোর মতো তেরোতেও দ্রব্যমূল্যের রাশ টেনে ধরতে চেষ্টার কমতি ছিল না, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। এর দোষ ওর দোষ যাই বলা হচ্ছে, শেষমেশ গিয়ে যত দোষ তা তো নন্দ ঘোষের ঘাড়েই চাপছে। সরবরাহ ও চাহিদায় বল ব্যাটের মিল হওয়ার সব ধরনের প্রয়াস বারবার বাধাগ্রস্ত হয়ে উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী আর ভোক্তা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশৃঙ্খল পরিবেশ পরিস্থিতি ও সিন্ডিকেটের ছুড়ে দেওয়া স্পিনিং বল বরাবরই রানআউট করে দিয়েছে ক্রেতাকে, নাকাল ও অপারগ হতে হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে।

তেরোতে রাজনৈতিক অর্থনীতির সরল সমীকরণ কথা রাখেনি, তার প্রভাব পড়েছে বিনিয়োগে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, চাহিদা সরবরাহের চাতালে, সবশেষে ধাক্কা গিয়ে পড়েছে দ্রব্যমূল্যে। এক ডিজিটের উপর-নিচে মূল্যস্ফীতির ব্যারোমিটার ওঠানামা করেছে। এটা ঠিক কখনো সখনো দু'একটা আইটেমের দাম নিয়ম মেনে নেমেছে নিচে কিন্তু তাতে উৎপাদনকারীর দুর্দশা বেড়েছে। আর সব জিনিসের দাম বাড়ার বিড়ম্বনা ছিল বছরজুড়ে। বৈশ্বিক প্রভাব অবশ্যই ছিল আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের ভোজ্যতেল শিশুখাদ্য আর ভোগ্যপণ্যের বাজারে।

দ্রব্যমূল্যের, স্থাবর-সহায় সম্পত্তির, নামিদামি যানবাহনের এবং অকারণ অপব্যয় ও ভোগবিলাসের ব্যয়ের মাত্রা দেখে বোঝা গেছে অর্থনীতিতে অসম অবস্থানের ফারাক আরও বেড়েছে, সম্পদ অর্জনে অসততা ও অপব্যবহারের গতি ও মাত্রা কমেনি বরং বেড়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন সূত্রে অর্থনীতিতে প্রকৃত বিনিয়োগ, সম্পদ ও সেবার প্রবৃদ্ধিগত মানদণ্ডের বিচার বিভাজনে খুব একটা সন্তোষ ও সমর্থনযোগ্য পরিস্থিতির পরিচয় মেলে না। দুর্নীতি দমনের বড় বড় নাটকের মহরত অনুষ্ঠিত হলেও মাঠপর্যায়ে অনিয়ম আত্দসাৎ ব্যাপকভাবে বিস্তারের তথ্য উপাত্ত মিডিয়ায় এসেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে শিল্প খাতে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশে ২০১৩-এর ২৪ এপ্রিল, রানা প্লাজা ধসে মারা যায় এক হাজার ১৩১ শ্রমিক, আহত হয় কয়েক হাজার।

সাম্প্রতিককালে নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি, মুক্তবাজার অর্থনীতি এ জাতীয় শব্দমালার সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কসরত শুরু হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে তাদের দক্ষতা নিয়ে সমালোচনা উঠেছে তেরোতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা, সরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। জিএসপি স্থগিতসহ আর্থিক খাতে আস্থার যে সংকট শুরু হয়েছে, তেরোর মতো চৌদ্দতেও বাংলাদেশের বহির্বাণিজ্য গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের জগদ্দল পাথরের মতো অব্যাহত থাকবে। সবাই যেন জানে এটা নতুন কিছু নয়, দুনিয়ার তাবৎ দেশ ও অর্থনীতিতে এভাবেই পালাবদল ঘটেছে। তবে যারা সাবধানী, সজাগ, অধ্যবসায়ী ও আত্দত্যাগে সদা প্রস্তুত, তারা তাড়াতাড়ি সাফল্যের মুখ দেখেছে।

বলা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মতো মধ্যআয়ের নিচের রাষ্ট্রও নাকি উন্নত অর্থনীতিকেও টেক্কা দিয়ে চলে যাবে। যাবেই তো সভ্যতার ঘূর্ণায়মান তত্ত্ব তো সে কথাই বলে। প্রথম সহস্রাব্দে এশিয়া (বিশেষ করে ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের এশিয়া) থেকেই জ্ঞানবিজ্ঞান সভ্যতা সংস্কৃতির অর্থনৈতিক পারঙ্গমতার প্রতিপত্তি প্রভাব বলয় তৈরি। পরে সে উন্নয়নের যাত্রাপথ ছিল ইউরোপে। ইউরোপ থেকে আটলান্টিক পাড়ি দেয় সৌভাগ্য মার্কিন মুলুকে কবে? মাত্র দেড়শ দু'শ বছর আগে।

আমেরিকান জাতিনিচয়ের মধ্যে যে সৌভাগ্য এতদিন বেশ দাপটের সঙ্গে সখ্য দক্ষতার সঙ্গে তার ও পড়ন্ত বেলা এখন শুরুর পথে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন জাপান, কোরিয়া, চীন, মালয়েশিয়াকে হাতছানি দিচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত সে পথে এগুবে। তবে কথা হচ্ছে, উন্নয়ন-উন্নতি এমনি এমনি আমাদের দরজায় কড়া নাড়বে না। তাকে অর্জন করতে হবে।

এর জন্য হোম ওয়ার্ক আছে অনেক। যা হোক ঠিক এমন এক অবস্থায় বার-তের সালের বিষয়-আশয়ের মাঝখানে সামষ্টিক অর্থনীতি বিশেষ করে আর্থিক খাতের মনমানসিকতা এক বিশেষ অধ্যায়ে উপনীত হবে।

নকল নোটের জোয়ার ঠেকাতে নবনব রূপে ও রঙে সাজানো নতুন নোটের সুঘ্রাণ শুকেছে তেরোর বারোর অর্থনীতি। বৈদেশিক মুদ্রার মান নেমে সম্মান যতই যাক রিজার্ভ তো বেড়েছে ধীর ও তীরহারা আমদানির সুবাদে। প্রবাসীরা তাদের টাকা বসিয়ে বসিয়ে বাসি করার জন্য হয়তো পাঠাননি।

রিজার্ভ কম হওয়াও আশঙ্কার, তা বেড়ে বেশি দিন ধরে বসে থাকাটাও ক্ষতিকর। ঠিক রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে বেশি দিন থাকা যেমন নীরব ঘাতক ডায়াবেটিসের কারণ। দেশের আমজনতা ব্রড মানি ন্যারো মানি কি তা তেমন জানে না, তবে তারা অবশ্যই জানে কারও হাতে মওকা টাকা এসে মায়ামমতাহীন সেই অর্জন দিয়ে ৫০০ টাকার ইলিশ হাজার টাকায় হাঁকার পরিবেশ তৈরি হলে ইনফ্লেশনকে কে কত ধারায় আটকাবে? তবে ধন্যবাদের পাত্র এখনো টিকে আছেন মাঠে ঘাটে কৃষক যেখানে কৃষিপণ্য মূল্যস্তরকে সুশীতল রাখতে রাখছেন অবদান। আমনের বাম্পার ফলন, সবজি ও প্রাণিসম্পদের প্রাচুর্য অব্যাহতভাবে বেড়েছে তেরোতেও। আরও ভালো খবর, বারোতে বড় ধরনের কোনো বন্যা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বর্গীরূপে আসেনি এ বাংলায়।

এলে খবর ছিল, রাজনৈতিক দুর্যোগের মতো।

পদ্মা সেতুর স্বপ্ন আরও ফিকে হয়েছে তেরোতে। সবার মনে এন্তার সংশয়, সেতুর ভিজিবিলিটি কবে বাড়বে? আশাবাদীরা আশা ছাড়েন না, মাঠের মালিক দিবি্ব আরামে থাকেন। যারা হুকুম করে, তারা নয় যারা হুকুম পালন করে, কামলা খাটে তারাই আসামি হয়। যার কাঁধে বন্দুক রেখে পাখি শিকার, পাখি শিকারের দায়দায়িত্ব তার, নয় কি? বাহবা পেতে, এনাম পাওয়ার প্রত্যাশায়, বহাল তবিয়তে থাকার পরাধীন আশাতে, সরল বিশ্বাসের নামে সরল-সহজ মানুষকে বরাবর অন্যের অন্যায়ের দায়দায়িত্ব নিতে হচ্ছে।

'ষড়যন্ত্র' সন্ধান ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণী নাটকের দর্শকরা উতলা উন্মন অধীর। এদিকে এমডিজি গোলের গোল দেওয়ার সময় (২০১৫) এগিয়ে আসছে। মাওয়ায় পদ্মার দুই পাড়ে সুপার হাইওয়ে তৈরি হয়ে আছে কয়েক বছর ধরে কিন্তু পদ্মায় সেতু না হওয়ায় তার পর্যাপ্ত ব্যবহার নেই। হাইওয়ের বয়স হচ্ছে, পদ্মায় যখন সেতু হবে তখন হাইওয়ের মেরামতকাল এসে যাবে। বিদেশি টাকা মূল সড়ক তৈরিতে পাওয়া যায়, কিন্তু মেরামতের টাকা মেলে না।

তেরোতে দেশব্যাপী খানাখন্দকে ভরা রাস্তার অসহায় অবস্থা দেখা গেছে। বছরের শেষ মাসে এসে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সড়ক, রেল ও নৌপরিবহন ব্যবস্থা নানানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে নাকাল নগরবাসী, বিপাকে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীসেবা, ফেরি পারাপারে ভোগান্তি বেড়েছে ড্রেজিঙের অপারগতায়। বেড়েছে সড়ক ও নৌ-দুর্ঘটনা। এমনিতে রেলের সুদিন দীর্ঘদিন ধরে লাপাত্তা।

রেলের দুর্নীতি নতুন করে জটিলতার বলয়ে প্রবেশ করে। রেলের জন্য বছরটা মোটেই সুখকর ছিল না। যেমন সুখকর ছিল না সোনালী ব্যাংকের।

হলমার্ক এই ব্যাংকের কপালে, এর সুনাম ও স্বকীয়তাকে হলাহলপূর্ণ পরিচয় এনে দিয়েছে। শঙ্কা এবং আশঙ্কা বাড়ছে চৌদ্দতে না জানি আরও কিছু বেফাঁস তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

চৌদ্দতে সামষ্টিক অর্থনীতিকে সবল না হোক নিদেনপক্ষে সুস্থ রাখাটাই চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। রাজনৈতিক অস্থিরতা দ্রুত দূর হওয়াসহ আর্থিক তথা ব্যাংকিং খাতের প্রতি সজাগ ও সহানুভূতিপ্রবণ দৃষ্টি প্রদান আবশ্যক হবে। ব্যাংকিংসহ উন্নয়নের সব খাতকে নিয়ন্ত্রণের নানামুখী নিগড় থেকে বের করে এনে স্ব-দায়িত্বশীল হওয়ার সুযোগ রাখতে হবে, জবাবদিহিতায় আনতে হবে।

লেখক : সরকারের সাবেক সচিব এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।