শুক্রবার প্রকাশিত ওয়াকারের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে বলে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি রাস্তায় ওয়াকার এবং তার বন্ধু ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রজার রোড্যাসের মৃতদেহ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একটি পোরশে গাড়ির মধ্যে পাওয়া যায়।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচণ্ড আঘাত ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে ওয়াকার মারা গেছেন। আর গাড়ির চালক রোড্যাস বিভিন্ন ধরনের আঘাতজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের কারো শরীরেরই মাদকদ্রব্য বা মদের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ময়নাতদন্ত বিভাগের তদন্তকারী ক্রিস্টি ম্যাকক্রাককেন দুর্ঘটনাটি কীভাবে হয়েছে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “গাড়িটি দ্রুতগতিতে পূর্বদিকে যাচ্ছিল। অজ্ঞাত কারণে চালক গাড়িটির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এটি আংশিকভাবে ঘুরে যায় এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চলতে শুরু করে। “
“এরপর গাড়িটি ফুটপাথের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং চালকের দিক প্রথমে একটি গাছ ও পরে একটি ল্যাম্প পোস্টের সঙ্গে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা খায়। ধাক্কার তীব্রতায় গাড়িটি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে আবারো পূর্ব দিকে চলতে শুরু করে।
তখন গাড়ির যাত্রীর দিকটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। “
পুরো গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল এবং এর অর্ধেকটা প্রায় খুলে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি।
মৃত্যুর আগে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস-৭’ এ কাজ করছিলেন ওয়াকার। এ বছরের শেষে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াকার ও রোড্যাস একটি মোটর রেসিং দলের মালিকও ছিলেন এবং রোড্যাস একজন পেশাদার চালক ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।