আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুভ জন্মদিন নিয়াজ ভাই

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

মো . নিয়াজ উদ্দীন। একজন হৃদ লেখক ও জনপ্রিয় শিক্ষক। পেশাগত ভাবে মানুষ গড়ার কাজ করেন অনেক দিন থেকে। কারখানা বড়লেখা ডিগ্রী কলেজ।

মৌলভীবাজার জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা দেশের বিখ্যাত জলপ্রপাত 'মাধবকুণ্ড' এর এলাকা বড়লেখায় পেশা চালানোর সাথে সাথে বাসও করেন এখানে। জন্মভিটে পঞ্চখণ্ড তথা সিলেটের বিয়ানীবাজারে। আমার একি থানার বড় ভাই তিনি। এখন তিনি থানার ভাই থেকে পরিবারের ভাই হয়ে ওঠেছেন আমার কাছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুশিয়ারা নদীর তীরঘেষা নয়া দুবাগে।



উনার নামের সাথে আমার পরিচয় ২০০২ সাল থেকে। আার উনার সাথে ২০০৪ সালে বোধ হয় প্রথম চিঠি চালাচালির মাঝেই পরিচয় হয়। মানুষকে সহজে আপন করে নেয়ার গুণ নিয়াজ ভায়ের মধ্যে প্রবল। সে গুণ থেকেই কাছে টেনে নিয়েছেন আমাকে। একে একে বড়লেখায় আমি পা রাখলেই কোনো না কোনো কারণে নিয়াজ ভায়ের দুয়ারে হানা দিতাম।

একে একে বড়লেখা ও বিয়ানীবাজারে মুকুলের অনেক অনুষ্ঠান করেছি আর পেয়েছি নিয়াজ ভায়ের আন্তরিক সহযোগিতা। উনার বন্ধুসুলভ আচরণে আমি উনার খুব কাছে চলে গেছি। আমি বিদেশ আসার সময় ঘরোয়া পরিবেশে কিন্তু আন্তরিকতায় ভরপুর আমাকে যে বিদায় জানানো হয়েছিলো বড়লেখা পাতাকুঁড়ি থিয়েটারের পক্ষ থেকে সেখানেও নিয়াজ ভায়ের উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। নিয়াজ ভাইকে আমি খুব ভালোবাসি তাঁর যে গুণে তার একটি হলো সহজ করে সহজ কথা বলা অন্যটি হলো স্পষ্ট ভাষায় প্রতিবাদ করা। বাংলা বানান ভুল যেখানে সেখানেই নিয়াজ ভায়ের প্রতিবাদ।

তা ভরা মজলিস হোক বা হোক কোনো গুণীর আলোচনা। বলে রাখছি আমার লেখায় বানান ভুল হলে এবার কিন্তু মাফ করবেন নিয়াজ ভাই। আগেই বলেছি নিয়াজ ভাই আমার পরিবারের একজন হয়ে ওঠেছেন। আমার জীবনে যে ক'হজন মানুষের অবদান ভুলবার নয় তাদের একজন নিয়াজ ভাই। যাদের নিরন্তর তাগদা আমার আমিকে চেনায়।

আমার পরিবারের সবার সাথে গড়ে ওঠেছে উনার হৃদ্যতা। আমার বোনদের নিজের বোন বলে দেখেন আর ভাইদেরও দেখেন সমান চোখে। তা সকল পারিবারিক অনুষ্ঠানে উনার আন্তরিক উপস্থিতি আমার আনন্দের মাত্রা বরাবর বাড়িয়ে দিয়েছে। আমিও নিয়াজ ভায়ের বাসার প্রতিটি বই আর গাছ গাছালির সাথী হয়েছি। নিয়াজ ভায়ের একমাত্র ছেলে নীপ বাবাজি খুবই মেধাবী।

জুনিয়র নিয়াজ হয়ে ওঠুক এই ছেলেটি। এই কামনা আমাদের সবার। নিয়াজ ভাইয়ের সহধর্মিনী সেলিনা ভাবীর রোগমুক্তি কামনা করি। বাকি জীবনটা উনার আরো স্বাচ্ছন্দ্যে কাটুক।
শুভ জন্মদিন নিয়াজ ভাই।

বড়লেখা-বিয়ানীবাজারের যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছেন তা আজীবন থাকুক আপনার মাধ্যমে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।