বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে ১৫৩ আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় রোববার ৫৯ জেলায় ১৮ হাজার কেন্দ্রে ১৪৭ আসনে ভোটগ্রহণ হয়।
ভোররাতে ইসি সচিবালয় থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, ১৩৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১০৫টিতে বিজয়ী হয়েছে। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) জয় পেয়েছে ১৩টি আসনে।
এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি ৪টিতে, জাসদ ২টিতে, তরীকত ফেডারেশন ১টিতে, বিএনএফ ১টিতে জয় পেয়েছে। বিজয়ী হয়েছে ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী, যাদের প্রায় সবই আওয়ামী লীগের নেতা।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে ১২৫ জন আওয়ামী লীগের, ২০ জন জাতীয় পার্টির (এরশাদ), ৩ জন জাসদের, ২ জন ওয়ার্কার্স পার্টির এবং ১ জন জাতীয় পার্টি-জেপির।
সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের ২৩২ জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় পার্টির ৩৩ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ৬ জন, জাসদের ৫ জন জয়ী হয়েছে।
অর্থাৎ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাদের ১৪ দলীয় জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদও ১১ আসনে জিতেছে।
নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে বিরোধী জোটের হরতাল ও অবরোধে সংঘাতে ২১ জনের প্রাণহানির মধ্যে রোববার ভোটগ্রহণ চলে।
গোলযোগের কারণে বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হওয়ায় দিনাজপুর-৪, কুড়িগ্রাম-৪, বগুড়া-৭, গাইবান্ধা ১, ৩, ৪, যশোর-৫ ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ফলাফল প্রকাশ হয়নি।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান স্থগিত কেন্দ্রের ভোটারের চেয়ে কম হওয়ায় আটটি আসনে পুনঃভোট করতে হতে পারে। এ বিষয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী বলেন, “অধিকাংশ আসনের ফলাফল আমরা পেয়েছি।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কেন্দ্রের স্থগিতের কারণে ফল চূড়ান্ত হয়নি কয়েকটি আসনে। পুনঃভোটের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। ”
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গোলযোগের কারণে ১৪৭ আসনের ১৮ হাজার কেন্দ্রের ৫৪০টিতে ভোট বন্ধ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা যে তালিকা পেয়েছি, তাতে সিংহভাগ কেন্দ্রেই পুনঃভোটের প্রয়োজন পড়বে না। কারণ, বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান স্থগিত কেন্দ্রের মোট ভোটারের চেয়ে বেশি হওয়ায় তার হয়ত দরকার নেই।
”
ভোটের হারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য ইসির কাছ থেকে পাওয়া না গেলেও নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ রাতে বলেছিলেন, ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়লেই তারা সন্তুষ্ট হবেন।
“৪০ শতাংশ ভোট পড়লেই আমরা খুশি। গ্রেট ব্রিটেনেও এমন ভোট পড়ে। এটাকে সেখানে স্টান্ডার্ড বলা হয়।
”
এই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ভোট বর্জনকারী বিএনপি একে ‘প্রহসন’ আখ্যয়িত করে হরতাল ডেকেছে। এই নির্বাচন বাতিলের দাবিও জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।