আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই লিখাটা কেন ব্লগ থেকে সরানো হল না? কি পেষ্ট!



মুসলমানরা কেন নিরপরাধ, অমুসলিম রাষ্ট্র এবং এর
জনসাধারনকে নিশানা করে এবং তাদের হত্যা করে
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২২ |
অ্যাডমিন প্লিজ লেখাগুলো প্রকাশ করেন ।
আমি ইসলামের কদর্য দিকগুলো তুলে ধরছি ।
প্রয়োজনে মুসলিমরা আমার লেখার বিপক্ষে লেখা দিক
কিন্তু এদেরকে ইসলামের কালো দিক গুলো দেখতে দিন

মুসলিম জাত একটি সন্ত্রাসী জাত । আমার বহু লেখায়
এটা আমি বলেছি ।

আজকে প্রমান দিয়ে দেব
মুসলিমরা রক্তের নেশায় উন্মত্ত । রক্ত
ছাড়া তারা আর কিছুই বোঝে না । এই
জাতটি পৃথিবীতে যতদিন থাকবে ততদিন আমাদের
সবসময় আতংকে থাকতে হবে কে কোন সময় আমাদের
হত্যা করবে, কে কখন আমাদের উপর বোমা নিক্ষেপ
করবে । শাইখ আনোয়ার আল-আওলাকি একটি বই
লিখেছে; বইয়ের নাম মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত
দেশসমূহের জনসাধারনকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানোর
তরিকা । বইয়ের লিংক চাইলে বইয়ের নাম
দিয়ে গুগলে সার্চ দেবেন দয়া করে ।


আমি আমার ভাষায় নিচে এই জঘন্য মুসলিমদের
চিন্তাধারার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করছি। মমিন
মুসলমানরা আবার বলবেন না এটা সহি ইসলাম না ।
সহি ইসলাম আমি খোদ কোরআনেও পাই নাই ।
ইসলামী চিন্তাবিদগন দারুল হারাব (দারুল হারাব
হচ্ছে সেই এলাকা যা মুসলিমদের অধিনস্থ নয় অর্থাৎ
কাফিরদের স্থান; এই হিসেবে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশেরও
বেশি স্থান হচ্ছে দারুল হারাব) এর
অধীবাসীদেরকে দুইভাগে ভাগ করেছেন । এক সামরিক
এবং দুই বেসামরিক ।


সামরিক বাহিনীর সদস্যগনকে আক্রমন
করা যাবে তা অতর্কিতে এবং বিনা করনেই হোক ।
মুসলিমরা যুদ্ধের ময়দানে হত্যা করার
থেকে অতর্কিতে হত্যা করতে পছন্দ করে আর এখন
ভুঝতে পারছি ২২ মে ২০১৩ তে লন্ডনের উলউইচে এক
মুসলিম কেন অতর্কিতে একজন দেশ প্রেমিক
সেনাকে হত্যা করলো?)
ইসলাম মোতাবেক এখন যদি সামরিক এবং বেসামরিক
লোক জন এক
সাথে তাহলে সেখানে হামলা করা অতি আবশ্যক যদিও
তাতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ, কৃষক, ব্যবসায়ী কিংবা দাস নিহত
হতে পারে । রাসুলুল্লাহ এর সময় বায়াত নামক এক যুদ্ধ
ছিলো । এটা ছিলো রাতের আঁধারে, লুকিয়ে অতর্কিত
ভাবে শত্রুপক্ষকে আক্রমন করা । এই সময় ঘরে শিশু
এবং নারী থাকলেও তাদেরও হত্যা হয়ে যেতো ।


ব্যাপারে মুহাম্মদ বলেন “তারা তাদের অন্তর্ভুক্ত”
অর্থাৎ শিশু এবং নারীদেরকে হত্যার অন্তর্ভুক্ত
করা হচ্ছে । খোদ রাসুল এর অনুমতি দিচ্ছে । সালামাহ
(রা) বলেন “আমি নিজে নয়টি পরিবারের
সকলকে হত্যা করেছি”। ইমাম আহমদ (র) বলেছেন
মুসলিমরা রোমানদের সাথে যুদ্ধে বেশিরভাগ সময়ই
বায়াত এর ব্যবহার করেছেন ।
সুতরাং যে দেশগুলো বর্তমানে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত
অবস্থায় আছে তাদেরকে অতর্কিতে আক্রমন করার
জন্য জনবহুল স্থানে বোমা হামলা করা সম্পূর্ণ বৈধ ।


আর নারী, শিশু বা বেসামরিক লোকজন মারা গেলে তার
জন্য তো আর মুসলিমরা দায়ী নয় !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
কোন মুসলমানের হাতে এ ধরনের হামলায় যদি কোন
অমুসলিম হত্যা হয় তবে মুসলিমকে কোন
শাস্তি দেওয়া হবে না, আল্লাহ কোন পাপ
দেবে না এবং এই ধরনের হত্যার কোন রক্তপন নাই ।
আসলে কি ধর্ম নিয়ে মুসলিমরা বড়াই করে ।
একটা ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার জন্য মানুষ
হত্যা কিভাবে বৈধ হতে পারে ।
ফিলিস্তিনিতে বোমা হামলা যদি অপরাধ হয়
তবে মুসলিমদের এই কথিত খোদা আর কথিত রাসূলের
জন্য ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশু হত্যা করা কিভাবে বৈধ
হয় । আল্লাহ কিভাবে এই জিনিষ অনুমোদন করে ?
আল্লাহ যে নাই এটাই তার অনেক বড় প্রমান ।


এমনকি মুসলিম জনগোষ্ঠী যদি অমুসলিমদের
মধ্যে বসবাস করে এবং অমুসলিমদের হামলা করার
কারনে যদি সেই মুসলিমরাও নিহত হয় তার জন্য
হামলাকারী মুসলিমদের কোন দায় নাই । ইমাম আল
সারখাশি(রা) বলেছেন “আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা,
তাদের পানিতে বিষ মেশানো, দূষিত করা এসব
মুসলিমদের জন্য অনুমোদিত যতক্ষন পর্যন্ত অমুসলিম
জনগোষ্ঠী আত্নসমর্পন না করে জিজিয়া না দেয়,
বা তারা ধ্বংস হয় । এমনকি কোন মুসলিম বন্দি,
শান্তি চুক্তিতে আবদ্ধ কোন জাতির নাগরিক , নারী,
শিশু, বৃদ্ধ কেউ অমুসলিমদের মধ্যে আছে জেনেও উক্ত
পদ্ধতি বৈধ । যারা নিজেদের জাতি মুসলিমদের পর্যন্ত
ছাড় দেয় না তারা কিভাবে অমুসলিমদের সুরক্ষা বিধান
করবে কেউ কি বলতে পারেন? ভাইয়েরা ইসলাম বড়ই
দয়ার ধর্ম । সকল মমিন মুসলমানরা সুবাহানাল্লাহ
বলেন ।

আর এই কারনেই কি পাকিস্তানে প্রতিদিন
বোমা হামলা হয় এমনকি মসজিদেও । এখন
কোনটি সঠিক ইসলাম এটা জানার উপায় তো নাই ।
এখন যেসব মুসলিমরা এই বই
পড়ে জঙ্গি হতে চাবে তারাও তো কোরআন হাদীস
পড়েই মুসলমান হত্যা করবে । তাহলে সঠিক ইসলাম কী?
তার মানে ইসলামকে যেমন খুশি তেমন পাপোষ এর
মতোন ব্যবহার করা যাবে ? এই হচ্ছে ইসলাম যে তার
নিজের জাতিদের মধ্যেই ক্যাচাল লাগায় রাখছে ।
ইমামা শাফেয়ী (র) বলেছেন “ যে ভুমি ইসলাম
দ্বারা সুরক্ষিত নয় বা ইসলামের
সাথে শান্তি চুক্তিতে আবদ্ধ নয়
(মানে হচ্ছে জিজিয়া কর নেওয়া হচ্ছে না যেখানে)
সেখানে তাদের ফলের গাছ, বাড়িঘর সহ সব কিছুই ধ্বংস
করা বৈধ ।


ইসলামিক সন্ত্রাসীদের লেখক মুজাহিদীন বলেছেন
এবং এও বলেছেন অমুসলিমদেশ
গুলো যারা বর্তমানে মুসলমানদের সাথে লড়াইতে লিপ্ত
আছে সেইসব দেশকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক, বিষ,
আগ্নেয়াস্ত্র, আত্নঘাতী বোমা হামলা এবং অন্যান্য
উপায়ে তাদেরকে যেভাবে হোক সব্বোচ্চ
ক্ষতি করা ইবাদতের একটি অন্যতম অংগ ।
আমি বুঝি না এই রকম একটা ধর্মের জন্য আমার নিজ
জাতি আমার
ভাইয়েরা কিভাবে আমাকে মেরে ফেলতে চায় ? যে ধর্ম
এতটা বর্বর, এতটা নিষ্ঠুর সেটা কিভাবে বিশ্ব
মানবতার ধর্ম হতে পারে ? মুহাম্মদ কিভাবে শ্রেষ্ঠ
মানুষ হয় । একজন মানুষ মানুষকে এতটা ঘৃনা কেন
করবে ? আমরা নাস্তিকরাও তো মানুষ । বেঁচে থাকার
অধিকার তো আমাদেরও আছে । ইসলামের কদর্য দিক
দেখালেই আমরা ইসলাম বিদ্ধেষী নাস্তিক হয়ে যাই আর
সব মমিন মুসলমানদের কাছে থেকে সহিহ ইসলামের
চর্চার কথা শুনতে পাই কিন্তু কেউ কেন
বলে না কোনটি সহিহ ইসলাম ।

আর কতদিন
আমরা হত্যার হুমকি নিয়ে বেচে থাকবো ? ইসলামের
পতন হয়তো খুব তারাতারি হবে । সেই অপেক্ষায়
আছি এবং থাকবো ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।