বাশার আল-আসাদ। ২০১৩ সালে বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি আলোচিত ছিলেন। সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ববাসী। খুব স্বাভাবিকভাবেই এ কারণে মিডিয়ার চোখ ছিল আসাদ সরকারের দিকে। যখন প্রতিদিনই নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে বোমা বিস্ফোরণে, তখন নানামুখী বিতর্কের চাপে আসাদ সরকার মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে নানান সমালোচনার।
বিশ্ব মিডিয়ায় সিরিয়া ইস্যুতে সংবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সিরিয়ার সহিংসতা ও আসাদ সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী রাষ্ট্রগুলো বরাবরই সিরিয়া বিষয়ে তাই থেকেছে সরব। বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন বাথ পার্টি বর্তমানে সাংবিধানিকভাবে সিরিয়ার সরকারি দল। ২০০০ সালে রাষ্ট্রপতিত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত বাশার সিরিয়ার রাজনীতিতে তেমনভাবে জড়িত হননি। রাজনৈতিক কার্যক্রম বলতে তিনি এর আগে সিরিয়ার কম্পিউটার সমিতির প্রধান ছিলেন।
বাশার আল-আসাদ ২০০১ সালে একটি গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি পদে স্থায়িত্ব অর্জন করেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাশার খুব সতর্কতার সঙ্গে একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন শুরু করেন। বাশার তার পিতার তুলনায় কিছুটা উদারপন্থি রাষ্ট্রনায়ক হলেও তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার তেমন উন্নয়ন সাধন করেননি। বাশার নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার অর্থনৈতিক আধুনিকীকরণ মূলত রাষ্ট্র মালিকানার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্যে বাশার ব্যাংকিং খাতে বেসরকারি উদ্যোগ ও ব্যবসায়-বাণিজ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগের পথকে সুগম করেছেন।
দেশটির অর্থনীতির তেলনির্ভর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার যে প্রচেষ্টা চলছে তা বিভিন্ন পরিসংখ্যানের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়। এ সবের যোগফলে বাশার আল আসাদ ও তার সরকার ২০১৩ সালে ছিলেন বিশেষভাবে আলোচিত ও সমালোচিত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোতে সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়া সংবাদের তালিকাতেও আসাদ সরকার ও সিরিয়া ইস্যু ছিল প্রথম সারিতে। এ সব কারণেই সর্বাধিক আলোচিত ব্যক্তিদের তালিকায় নাম লেখান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।