যা শিখেছি, সেখান থেকেই কিছু বলার ও করার চেষ্টা করি
আশ্বিনের এক শেষ বিকেলে চায়ের কাপ হাতে বারান্দায় বসে আছে রুদ্র । চা ঠান্ডা হচ্ছে কিন্তু সেদিকে একদম খেয়াল নেই তার। সে তাকিয়ে আছে তাদের বাড়িতে পোষা খরগোশদুটির দিকে । সিড়ির নিচে আটোসাটো হয়ে চুপচাপ বসে আছে খরগোশদুটো । হালকা হালকা শীতের বিকেলে ওদুটোর ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে শীত লাগছে ওদের ।
কিছুক্ষন পরপর কান নাড়াচ্ছে। ছোটমামা গতবছর এনেছিলেন খরগোশগুলোকে। সর্বমোট চারটা এনেছিলেন। বাকিদুটো মরে গেছে আনার ছয়মাসের মধ্যেই। এখন এই দুটো আছে।
এরা সারাদিন পুরো বাড়িতে নিজেদের মত করে ঘোরাঘুরি করে। কখনো বাগানে, কখনো ঘরে আবার কখনো পুকুরঘাটে। তবে সন্ধ্যাবেলা ঠিক খাচায় ঢুকে যায়। জোড় করে আটকে রাখার প্রয়োজন পরেনা। কেজানে হয়তো তারা এখন নিজেদেরকে এবাড়ির সদস্য ভাবতে শুরু করে দিয়েছে।
প্রকৃতি বোধহয় এমনকরেই প্রতিটি প্রাণিকে সৃষ্টি করেছে। মানুষের মত জীবজন্তুরাও হয়তো অভ্যস্ততা থেকে ভালবেসে ফেলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।