আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মূল এজেন্ডা নিরাপত্তা

আজ শুরু আইসিসির দুদিনব্যাপী সভা। দুবাইয়ের সভায় যোগ দেওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দেখা করেন শ্রীলঙ্কান হাই কমিশনারের সঙ্গে। হাই কমিশনারকে আশ্বস্ত করেন শ্রীলঙ্কাকে পূর্ণ নিরাপত্তার দেওয়ার। আগামী ২৪ জানুয়ারি দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে ঢাকায় আসার কথা শ্রীলঙ্কার। শিডিউল ঠিক আছে।

তারপরও রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য সফর নিয়ে চূড়ান্ত কিছু জানায়নি শ্রীলঙ্কা। অবশ্য আইসিসির সভা চলাকালীন সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারে শ্রীলঙ্কা। দুবাইয়ে শুধু শ্রীলঙ্কা সিরিজ নয়, পাকিস্তানের আসার বিষয়ও আলোচনা হবে। আলোচনা হবে টি-২০ বিশ্বকাপের ভেন্যু বিষয়েও। এছাড়া সভায় বাংলাদেশের পাঠানো নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচিত হবে গুরুত্ব সহকারে।

এশিয়া কাপও বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ৪ জানুয়ারি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় বাংলাদেশকে ভেন্যু হিসেবেই ঠিক রাখা হয়। ফলে প্রথম ধাক্কা থেকে বেঁচে যায় বিসিবি। এখন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাক্কা সামলাতেই দুবাইয়ে আইসিসির সভায় বিসিবি সভাপতি ও সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন। এসিসি সভা শেষে ঢাকায় ফিরে আইসিসির সভার গুরুত্বের কথা জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি।

এই সভায় আগামী ১৬ মার্চ-৬ এপ্রিল টি-২০ বিশ্বকাপের ভেন্যুর বিষয়টি আলোচিত হবে গুরুত্ব সহকারে। অবশ্য আয়োজন ঠিক রাখতে বিসিবি ইতোমধ্যেই ১০০ পাতার উপর নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠিয়েছে আইসিসিকে। সেটা নিয়েও আলোচনা হবে। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট হয়েছে এসিসির সদস্যভুক্ত দেশগুলো। আইসিসিও সন্তুষ্ট হবে বলে জানান দেশ ছাড়ার আগে বিসিবির সিইও, 'আমরা প্রতিটি দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছি।

আমাদের নিরাপত্তার পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট হয়েছে এসিসি। আশা করি আইসিসিও সন্তুষ্ট হবে। '

এসিসির সভায় পাকিস্তান অংশ না নেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছুই বলেনি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে তারা খেলতে আসবে না। এসিসির সিইও সৈয়দ আশরাফুল হক জানিয়েছেন, পাকিস্তান না আসলেও এশিয়া কাপ হবে।

বিসিবির সিইও আত্দবিশ্বাসী টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের, 'আমরা যে রকম নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছি। তাতে দলগুলোর আশ্বস্থ হওয়াই উচিত। আমরা আইসিসির গাইডলাইন অনুসরণ করেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। সুতরাং আমরা আত্দবিশ্বাসী টি-২০ টুর্নামেন্ট আয়োজনের। ' শ্রীলঙ্কার বিষয়টি আজ জানা যাবে বলে শ্রীলঙ্কান হাই কমিশনারের সঙ্গে আলাপের পরে জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি।

আজ দুই বোর্ডের সিইওদের বৈঠকের পরই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে সফর। অবশ্য শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুধুমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রামেই হবে। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি সিলেটে হওয়ার কথা। সেটা নিরাপত্তার জন্য হয়তো বাতিল করা হবে। সিলেটের খেলাটা চলে আসতে পারে ঢাকায়।

তবে টি-২০ বিশ্বকাপের মহিলাদের খেলাগুলো হবে, এখন পর্যন্ত নিশ্চিত। অবশ্য বাংলাদেশ সফরে আসার আগে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। এছাড়া আইসিসির সদস্যরাও পাঠাবে পর্যবেক্ষক।

টি-২০ বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে এখনো তিন মাস বাকি। সে সময়ের মধ্যে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো যাবে বলেই বিশ্বাস বিসিবির।

সরকার থেকেও নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেও ঘরোয়া ক্রিকেট হয়েছে। আজ বাদে কাল থেকে চার দলের টুর্নামেন্ট। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূধর্্ব-১৯ ক্রিকেট দল নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে চলে গিয়েছিল।

তবে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।