টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ট্রেনের মারাত্দক শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। গতকাল রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর এবং খুলনাগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন এ লাইনে ১১ থেকে ২২ ঘণ্টা বিলম্বে যাতায়াত করেছে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কোনো ট্রেনই সময় মতো যাতায়াত করতে পারছে না। একদিকে ঘন কুয়াশা অন্যদিকে ১৮ দলের ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের নাশকতার ভয়ভীতির আশঙ্কায় ট্রেনের গতি স্থবির করে দিয়েছে।
এ ছাড়া অনির্ধারিত অনেক স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে অন্য ট্রেন পাসিং করা এবং ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করায় চালকদের সতর্কতার সঙ্গে ধীরগতিতে গাড়ি চালানোই বিলম্বের কারণ বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতেই চালকদের অতি সতর্কতার সঙ্গে ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
গতকাল সকাল ৯টায় পাবনার ভাঙ্গুড়া রেলস্টেশনে লালমনি এঙ্প্রেস ট্রেনটি অনির্ধারিত যাত্রা বিরতি করলে ছাদের যাত্রীদের দুর্ভোগের দৃশ্য চোখে পড়ে। ভাঙ্গুড়া স্টেশন মাস্টার মো. নরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা, অবরোধ ও হরতালের কারণে খুলনা, রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং রংপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন যমুনা সেতু-টু-ঈশ্বরদী লাইনে ১১ থেকে ২২ ঘণ্টা বিলম্বে যাতায়াত করছে। যাত্রীরা জানান, সড়কপথে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনে যাত্রীদের চাপ ব্যাপকহারে বেড়েছে।
তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে নিরুপায় যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী লোডের কারণে ব্রিটিশ আমলে তৈরি রেল-সেতুগুলো রীতিমতো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহনের বিষয়ে তিনি বলেন, নিষেধ থাকা সত্ত্বেও যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাতায়াত করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।