আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ‘আলোর পথে যাত্রা শুরু’ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতিরোধের ঘোষণা ও ‘শত বাধা বিপত্তির মধ্যেও’ ৪০ শতাংশ ভোটার ৫ জানুয়ারি ভোট দেয়ায় শেখ হাসিনা সবাইকে ধন্যবাদ ও ‘সংগ্রামী’ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনের পাঁচ দিনের মাথায় শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় তিনি বলেন, “যারা শত বাধা বিপত্তি উপক্ষো করে ভোট কেন্দ্রে গিয়েছে, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই। ”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সেসব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নেরও অঙ্গীকার করেন শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামী ১২ তারিখে আমরা সরকার গঠন করব, শপথ গ্রহণ করব।
”
তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলা শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
“আলোর পথে যাত্রা শুরু। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তুলব।
“কয়েকটা রাজাকার যুদ্ধাপরাধী নিয়ে বিএনপি নেত্রীর সেই ক্ষমতা নেই এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করার। ”
নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের নামে ‘দেশের ক্ষতি’ না করে আলাপ-আলোচার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরের পরিস্থিতি এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এরপর মানুষ শান্তি ফিরে পায়। বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অসাংবিধান কোনো প্রক্রিয়া আবার চালু হোক এটাই ছিল নির্বাচন বানচালকারীদের লক্ষ্য। তবে বাংলাদেশের মানুষ চায় সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাক।
”
বাংলাদেশের মানুষ শান্তি ও উন্নয়ন চায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসীদের তারা আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
“আমাদের অনেক দায়িত্ব, মানুষের জীবন সুন্দর হবে। মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে। গৃহহীনরা ঘর পাবে। তাই আমাদের ইশতেহারে মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণের ওয়াদা করেছি।
”
শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আলোর পথে যাত্রা শুরু। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তুলব। ”
আগের সরকারে আওয়ামী লীগ যেভাবে ‘ওয়াদা পূরণ করেছে’, সেভাবে এবারও পূরণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এ জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতরাও বক্তব্য দেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।